ত্বক ও চুলের সুরক্ষা

দূষণ, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, পরিবর্তিত জীবনশৈলী—এই সব কিছুর এফেক্ট পড়ছে আমাদের চুল ও ত্বকে। তাই দরকার একটু বাড়তি যত্নের

প্রকৃতি তার চরিত্র বদলাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গ্রিন হাউসের প্রভাবকে সত্যি করে প্রতিদিন তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। বৃষ্টির দেখা প্রায় নেই বললেই চলে। প্রকৃতির চরিত্র পরিবর্তনের ছাপ রয়ে যাচ্ছে আমাদের সৌন্দর্যের যাত্রাপথেও। আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় ‘আউটার লেয়ার’ বা বাইরের আচ্ছাদন, ত্বক ও চুল। তাই দূষণ হোক বা জীবনযাত্রার পরিবর্তন, তার চিহ্ন আঁকা থাকে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যে। আমাদের পরিবেশে দূষণের মাত্রা প্রতিদিন বৃদ্ধি বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ফাস্ট ফুড খাওয়া, লেট নাইট পার্টি। রাতের ঘুমে হানা দিচ্ছে স্ট্রেস। পরিবর্তিত লাইফস্টাইলের প্রভাব পড়ছে ত্বকেও। যার ফলে গরমেও শুষ্কতা বাসা বাঁধছে স্কিন ও হেয়ারে। এই জন্য আগের থেকে এখন চুল ও ত্বকের পরিচর্যায় আরও বেশি যত্নশীল হওয়ার দরকার। প্রতিদিনকার যত্ন-আত্তিতেই ফিরবে ত্বকের হারানো আর্দ্রতা।

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে আমরা অনেকেই কাজের চাপে বা আলস্যের কারণে মাঝে মাঝেই প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পরিচর্যায় গাফিলতি করে ফেলি। সেখানেই বিপত্তি হয়। তাই দিনে দু'বার সিটিএম রুটিন মেনে চলা মাস্ট।

ক্লেনজ়িং: গরমে ত্বক থেকে ঘাম বের হয়ে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অ্যাকনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই একটা ভাল মাইল্ড ক্লেনজ়ার ব্যবহার করা, ত্বকের যত্নের প্রাথমিক শর্ত। ক্লেনজ়ার কেনার আগে দেখে নিন যাতে কোনও রকম ক্ষতিকারক কেমিক্যাল না থাকে। বেশি কেমিক্যাল যুক্ত প্রডাক্ট ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলকে নষ্ট করে দেয়। এখন গরমের প্রকৃতি পরিবর্তনের ফলে স্কিন আগের মতো আর তৈলাক্ত হচ্ছে না, বরং অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। তাই এমন ক্লেনজ়ার ব্যবহার করুন যাতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, সেরামাইড প্রভৃতি হাইড্রেটিং উপাদান থাকে।

এক্সফোলিয়েশন: গরমে ঘাম ও আজকের বাড়তি দূষণ এসে জমা হয় ত্বকের উপরের স্তরে। ফলে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের সমস্যা বর্তমানে খুবই কমন। এক্সফোলিয়েশন এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। তবে অতিরিক্ত স্ক্রাবিংয়ের ব্যবহার ত্বকের আর্দ্রতাকে নষ্ট করে দেয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে একবার বা দু'বারের বেশি এর ব্যবহার করবেন না। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে গ্লাইকোলিক অ্যসিড, ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্ক্রাবার ব্যবহার করুন।