মেঘেরা যেখানে থাকে। মেঘের সেই বাড়ির নামই মেঘালয়। মেঘ আমাদের দার্জিলিঙেও হোটেলের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে যায় ঠিকই, কিন্তু মেঘের ঠিকানা কেউ সঠিক চিনতে চাইলে তাকে যেতে হবে মেঘালয়ে। জলভরা মেঘ সেখানে হাঁটতে বেরোয় নদীর বাঁক ধরে, বিশ্রাম নেয় জঙ্গলের সুগভীরে, ঘুমিয়ে পড়ে পাহাড়ের ঢালে, খেলে বেড়ায় হ্রদের উপর, ঠান্ডা বাতাসের হাত ধরে।
পুব দিকের রাজ্য মেঘালয়ে মানুষজন উঠে পড়েন ভোর ভোর আর বিকেল পাঁচটে নাগাদ পাহাড়ের আড়ালে সূর্য মুখ লুকোলে দোকান বাজার বন্ধ করে তাঁরাও বাড়ি ফেরেন। আবার মেঘালয়ের মৌসিনরামেই নাকি সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়, এ খবর কে না জানি! চেনাজানারা তাই জানতে পেরে আগেই সাবধান করেছিলেন, ঘোর বর্ষায় ও সব জায়গায় বেড়াতে না যাওয়াই ভাল। সেই মতো বর্ষায় নয়, মেঘালয় গেলাম ডিসেম্বর মাসে।
শিলংয়েই উমিয়াম হাতে সময় কম, এ দিকে দেখার মতো জায়গা মেঘালয়ে বহু। গাড়ি ছাড়া তাই সেখানকার পাহাড়ি রাস্তায় গতি নেই। এই সূত্রে কলকাতা থেকেই যোগাযোগ হল মেঘালয়ের শেম ফাং-এর সঙ্গে। শেম ফাং গাড়ি ভাড়া দেন। আমাদের চার দিনের সফর-পরিকল্পনা জেনে তিনিই অভয় দিলেন, ঠিক ঠিক সময়ে আমাদের জন্য গাড়ি পৌঁছে দেবেন। ডিসেম্বরের এক মেঘলা দুপুরে শিলং এয়ারপোর্টে নেমে দেখি, সত্যিই গাড়ি হাজির। সেই গাড়ি আমাদের পৌঁছে দিল উমিয়াম হ্রদের গা ঘেঁষা একটা সরকারি অতিথিশালায়। শিলংয়ের উমিয়াম নদীর গায়ে বাঁধ দেওয়ার ফলে তৈরি হয়েছে বিশাল উমিয়াম হ্রদ। অতিথিশালায় স্নান খাওয়া সেরে হেঁটে দেখে এলাম হ্রদের সামান্য ঝলক। যেখানে আছি, তার ঠিক পিছনে লম্বা একটা বাগানের মধ্যের পথে ধরে হাঁটছিলাম, যে-রাস্তায় আরও হেঁটে গেলে হ্রদের একেবারে সামনে পৌঁছোনো যেত। কিন্তু সেই বিকেলেই সেটা সম্ভব হল না কারণ চারটে বাজতেই আকাশের মুখ ভার হল। পাঁচটায় ঘনিয়ে এল আঁধার। তাতে কুছ পরোয়া নেই, কারণ উমিয়ামের সৌন্দর্য দু’চোখ ভরে দেখব বলে হাতে ছিল আরও একটা দিন।
This story is from the August 15, 2023 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the August 15, 2023 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।