
মা টির রূপ-রস-গন্ধ যে গানে ধরা দেয়, তাই-ই হল লোকগান। উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্যের লোকসঙ্গীতে মিশেছে তাদের অপরূপ প্রকৃতির স্পর্শ। মিশেছে শ্রমের কথকতা, আধ্যাত্মবাদ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যূথবদ্ধ নাচের সহযোগী হিসেবে উঠে এসেছে এখানকার লোকগানগুলি।
অসমের লোকগান কথায় বলে, “যা নাই বিহুগীতে, তা নাই অসমে; যা নাই অসমে, তা নাই বিহুগীতে।” বিহুগীতের সাহিত্যিক ও সাঙ্গীতিক ভিতের উপরই দাঁড়িয়ে আছে অহমিয়া সংস্কৃতির উপসৌধটি। ধর্মের অনুশাসন যেখানে নেই, শ্রমই যেখানে জীবন-যাপনের মূল মন্ত্র, বিহু দর্শন সেখান থেকেই শুরু। ধর্মীয় আচার-বিচার থেকে বিহু মুক্ত। বরং সমাজের বিধি-নিষেধ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদই এর প্রধান উপজীব্য। প্রত্যেক বিহু উৎসবে তৈরি হয় নতুন নতুন গান। আর তাতে ধরা পড়ে সমাজ বিবর্তনের এক ধারাবাহিক পরিচয়। এক সময় ছিল, যখন শহর ও গ্রামের অভিজাত সমাজের কাছে বিহু ছিল ‘নিষিদ্ধ অন্ত্যজের অশ্লীল নাচ-গান'। মাটিকে উর্বর করার জন্য যুবক-যুবতীর যৌথ নৃত্য-গীতের উপর এল নিষেধাজ্ঞা। সমাজপতিদের এই শাসন সাধারণ মানুষ মেনে নেননি। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও তির্যক মন্তব্যে বিহুগীত হল ভরপুর— “শিলে বালিচরাই গিলে ওই লাহরী শিলে বালিচরাই গিলে আরুবেলি বিহুখন চাবলৈ নাপালো মতামহ রখিয়া দিলে!” বালিচরাই অর্থাৎ খঞ্জনি পাখিকে পাথরে গিলছে, এটা যেমন উদ্ভট কথা, কোনও মেয়েকে বিহুর সময় ঘরে বেঁধে রাখা তেমনই আশ্চর্যের। আর ততটাই আজগুবি কোনও মেয়েকে দুরন্ত মোষের
রাখালি করতে দেওয়া। এখানে কোনও পুরুষকে ইঙ্গিত করে মোষ বলে ব্যঙ্গ করাও হতে পারে। ১৮২৬-এ ইয়ান্দাবোর সন্ধির পর অসম এল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কবলে। ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রামজীবনে নিয়ে এল ভাঙন। অসমের দুর্গম অঞ্চল, জলাভূমিতে গড়ে উঠল চা-বাগিচা। ব্রহ্মপুত্রের তীরে সিটি বাজিয়ে এল বড় বড় জাহাজ। জাহাজের সিটি মিশল বিহুর সুরের সঙ্গে— “উজাই আহিলে কোম্পানির জাহাজ ওই পিরথিবী টলেমল দেখো চপাইদে চপাইদে কলিকাতার জাহাজ ওই মনোমতীর বাতরি সোধো।”
Denne historien er fra August 15, 2023-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent ? Logg på
Denne historien er fra August 15, 2023-utgaven av SANANDA.
Start din 7-dagers gratis prøveperiode på Magzter GOLD for å få tilgang til tusenvis av utvalgte premiumhistorier og 9000+ magasiner og aviser.
Allerede abonnent? Logg på

নো ডে উইদআউট আ লাইন
পরেশ মাইতি ও জয়শ্রী বর্মণের জীবন জুড়ে রয়েছে রং আর তুলি। যদিও তুলির টানে, রঙের রেখায় তাঁদের দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু মিলে যান অন্তরের আহ্বানে। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে পারমিতা সাহা।

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ
স্বামী-স্ত্রী-সন্তান, দাম্পত্যনামার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্তানলাভের পরেও কি অটুট থাকে দাম্পত্যের রসায়ন? সম্পর্কের ব্যতিক্রমী প্রবাহে কতটা ‘সুখী’ হয় দাম্পত্যজীবন? বোঝার চেষ্টায় অনিকেত গুহ।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।