সম্পর্ক ও অবচেতন

সম্পর্কের পথে কীভাবে কাজ করে আমাদের অবচেতন মন? জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সাইকো অ্যানালিস্ট ডা. ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন পৃথা বসু।

পৃথিবী জুড়ে এত যে প্রেম ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে প্রতিদিন, কী তার ভিত্তি? কেন সেই মানুষটিই হলেন তাঁর • সঙ্গী? এতে রয়েছে মানবমনের অবচেতন স্তরের প্রভাব।

অবচেতন মনের পুঞ্জীভূত আকাঙ্ক্ষা যখনই কোনও ফাটল পায়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসে লাভার মতো। এই প্রকাশের উপরই নির্ভর করে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব কীরকম হবে? অ্যাংজ়াইটিভিত্তিক, অ্যাগ্রেশন-কেন্দ্রিক, দুঃখবিলাসী, নাকি ফুরফুরে মেজাজের। ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠার মধ্য দিয়েই এই ব্যক্তিত্ব বিকাশের পথটি তৈরি হয়ে যায়। ফ্রয়েডের মতে এই বড় হয়ে ওঠার কতগুলো পর্যায় রয়েছে। তিনি বলছেন, একজনের যৌন বাসনা যদি ভালভাবে পূর্ণ না হয়, তবে তাঁর ব্যক্তিত্বের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মানসিক পরিতৃপ্তির সঙ্গে তিনি সরাসরি শরীরের সংবেদনশীলতার যোগাযোগ দেখিয়েছেন। যেমন জন্মের প্রথম আঠেরো মাস এক শিশুকে সবচেয়ে বেশি পরিতৃপ্তি দেয় তার মুখ, কারণ ব্রেস্টফিডই তখন তার একমাত্র পরিতৃপ্তির জায়গা। এইভাবে যত সে বড় হতে থাকে, এই সংবেদনশীল অংশগুলো পরিবর্তিত হতে থাকে। কোনও স্তরে যদি তাকে বাধার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে সেই সঙ্কট বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয় বাকি জীবন। কিছু ক্ষেত্রে তা হিস্টেরিয়া, নিউরোসিসের মতো রোগের দিকেও পরিচালিত করতে পারে। অনেকসময় দেখা যায়, বিছানায় ফিমেল এমপাওয়ারমেন্ট বেশি হলে পুরুষটি তা অপছন্দ করেন। পৌরুষের স্বাভাবিক শর্তে তাঁর মনে হয়, পুরুষ হিসেবে কেবল তিনিই ডমিনেট করবেন। ইগো ডেভেলপমেন্টের স্তরে খামতি থাকলে এই সমস্যাটি তৈরি হয়।