সৃজিত অনেকবার কাস্ট করতে চেয়েছে, কিন্তু তা হয়ে ওঠেনি

‘গানস অ্যান্ড গুলাবস’, ‘দহাড়’এর পর ‘দুরঙ্গা’ সিজ়ন টু-তেও প্রশংসা পাচ্ছেন গুলশন দেবাইয়া। তাঁর জার্নি ও নতুন সিরিজ নিয়ে জুম আড্ডায় | মধুরিমা সিংহ রায়।

আপনি নাকি ইনস্টাগ্রামে ফ্যানদের মেসেজের উত্তর দেন নিজে... এটা সত্যি? হ্যাঁ। আমি খুব চেষ্টা করি সকলকে উত্তর দেওয়ার। প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ দিতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তা হয়ে ওঠে না। সেটা করতে গেলে সপ্তাহের পর সপ্তাহ শুধু ওই কাজটাই করতে হবে। গত দু’বছরে সেটা আরওই কঠিন হয়ে গিয়েছে। আমি নিজে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল করি, কোনও সহকারী নেই। আমার কাজের প্রতি মানুষের এত ভালবাসা আমাকে আপ্লুত করে। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা আমার পাশে ২০১১-১২ থেকে আছেন। তাঁদেরকেও নিয়মিত উত্তর দিতে পারি না। বাট দ্যাটস দ্য প্রাইস ইউ হ্যাভ পে, ফর গ্রোথ।

ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে প্রথম সিজ়ন সফল হলে দ্বিতীয় সিজ়ন থেকেও প্রত্যাশা থাকে তুঙ্গে। প্রত্যাশার অতিরিক্ত চাপ কি অনুভব করছেন? একদমই না। প্রথম সিজ়নের প্রি প্রোডাকশন দারুণ ছিল। ‘দুরঙ্গা’ সিজন টু-এর আগে একটু ভয়ে ছিলাম, মনে হয়েছিল আত্মতুষ্টিতে যেন না ভুগি! সিজ়ন ওয়ানে পাওয়া সাফল্য আর প্রশংসার উপর ভর করে বসে থাকলে চলবে না। মনে মনে বলতাম, ডু ইয়োর রিভিশন। ভাগ্যবশত, রোহন সিপ্পি পরিচালক হিসেবে দ্বিতীয় সিজ়নেরও অংশ ছিলেন। শুটিং শুরু হওয়ার পর আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকল। তবে চাপ কখনওই মনে হয়নি। এই ওয়েব সিরিজের একটি অনুগত ফ্যানবেস রয়েছে, তাঁরা সব সময়ই আগ্রহী ছিলেন গল্প কোনদিকে মোড় নেয় তা দেখার জন্য। সিজ়ন টু ইজ্ ভেরি ওয়েল অ্যান্টিসিপেটেড।