ক্যানসার ও কয়ারগিভাররা...

ক্যানসার আর তার শিকারের মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়ান তাঁরাই। কিন্তু তাঁদের সাফল্য, ব্যর্থতা, মানসিক চাপ বা হতাশার হিসেব কই? শহরের বিশিষ্ট অঙ্কোলজিস্ট, নার্স ও সাইকোঅঙ্কোলজিস্টদের সঙ্গে কথা বলে লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

হি পোক্র্যাটিক ওথ। নব্য ডাক্তারদের নেওয়া শপথ, যার মাধ্যমে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে তাঁরা একজন রোগীর পাশে থাকার কথা দেন। • প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন এই বলে যে, রোগের উপশম না করতে পারলেও তার যন্ত্রণা লাঘব করার চেষ্টা তিনি করবেন। মানবজীবনের প্রতি এক অমোঘ শ্রদ্ধা লালন করেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী যখন কর্কটরোগ, যেখানে এখনও চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে ওঠা এক দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রাম, সেখানে কতটা শারীরিক ও মানসিক চাপ সামলাতে হয় তাঁদের প্রতিনিয়ত? কোন জাদুবলে তাঁরা প্রস্তুত করেন নিজেদের?

বার্নআউট যখন নিত্য সঙ্গী ক্যানসারের মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে রোগী ও তাঁর পরিবারের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার ভাগিদার হয়ে পড়েন তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা অঙ্কোলজিস্ট, নার্স ও সাইকো-অঙ্কোলজিস্টরাও। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করতে করতে অপ্রত্যাশিতভাবে পেশেন্টের অভিভাবকের জায়গা পেয়ে গেলে তা থেকেও স্ট্রেস তৈরি হয় ডাক্তারদের মধ্যে। তাঁরা নিজেরা ভালভাবেই জানেন যে, কোনওভাবে আবেগপ্রবণ হয়ে না পড়ে রোগীর চিকিৎসা করাটাই রীতি। কিন্তু রোগীর মানসিক অবস্থা, বা লড়াই করার