ত্বকের অ্যান্টি এজিং চিকিৎসা

সঠিক চিকিৎসা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ত্বকের বয়সের ঘড়িকে উল্টোদিকে চালানো যেতেই পারে। আলোচনায় স্কিন স্পেশ্যালিস্ট ডা. রোশনি মিশ্র। লিখছেন দেবলীনা অধিকারী।

সু ন্দর হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষা কিন্তু মানুষের আজকের নয়। শোনা যায়, রানি ক্লিওপেট্রা ৭০০ গর্দভের দুধ দিয়ে স্নান করতেন। কথাটা আজব ঠেকলেও সুন্দর হয়ে ওঠার জার্নিতে এমন কত অদ্ভুত ঘটনাই না ঘটেছে! এই দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড পাওয়া যায়। আর এই উপাদানটি ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে কতটা জরুরি, তা আজকের দিনে অনেকেই জানি। আরও এক অদ্ভুত গল্প শোনাই। রানি এলিজাবেথ এমনিতেই রূপচর্চার জন্য অদ্ভুত রকমের ঘটনা ঘটানোর জন্য বিখ্যাত ছিলেন। শোনা যায়, তিনি নাকি তাঁর ত্বকে কাঁচা মাংসের টুকরো রাখতেন। এতে ত্বকের বলিরেখার পরিমাণ কমবে – এই ছিল তাঁর বিশ্বাস। সে যাই হোক, সেই যাত্রাপথে ২০০২ সাল এল। এই বছর ত্বকে বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে বোটক্সকে মান্যতা দেওয়া হল। তারপর ত্বকের বয়সকে থামানো বেশ খানিকটা সহজ হতে লাগল। আর সেই যাত্রায় যুক্ত হল মেডিক্যাল গুণাবলি। -

ত্বকের বয়সের সংজ্ঞা প্রত্যেকটা মানুষের ত্বকের নির্দিষ্ট একটা বয়স থাকে। ত্বকে অয়েল সিক্রিশন বা কোলাজেন প্রডাকশনের উপর এই বয়স নির্ভর করে। এছাড়াও দূষণ, ধূমপান, খারাপ ডায়েট, লাইফস্টাইলের কারণে চোখের চারপাশে, কপালে, গলায় বলিরেখা পড়তে শুরু করে।

মেনোপজের পর এই বয়স বৃদ্ধির গতি অনেকটাই বেড়ে যায়। এ প্রসঙ্গে বলতে হয়, এক একজনের ত্বকের বার্ধক্য আসে এক এক সময়ে। অনেকের ৫০ বছর বয়সে ত্বকে সামান্য বলিরেখা দেখা যায়। অনেকের দেখা যায় সেই বয়সে চামড়া কুঁচকে গিয়েছে বা ঝুলে গিয়েছে। কিন্তু ওই যে সকলেই সুন্দর থাকতে চায়। সময়ের সঙ্গে বায়োলজিক্যাল বয়সকে ধরে রাখা না গেলেও ত্বকের বয়সকে ধরে রাখাই যায়।

অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট কেবল বয়স হয়ে গেলেই নয়, ত্বকের বয়সকে ধরে রাখতেও এই চিকিৎসা হয়। সাধারণত ১৮ বছরের পর থেকেই এই ধরনের ট্রিটমেন্ট করা যায়।