ক্যানসেল কালচারে বিশ্বাস করি না

সম্প্রতি কলকাতায় অনুষ্ঠিত একটি চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক অনুরাগ কশ্যপ। তাঁর সঙ্গে আড্ডায় উপমা মুখোপাধ্যায়।

কলকাতায় প্রথমবার 'ফেঞ্চ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'। সেখানে আপনার ছবি 'কেনেডি' দেখানো হচ্ছে। স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত পৌঁছনোর গল্পটা একটু জেনে নিই। ‘কেনেডি' অনেকটাই ফ্রেঞ্চ ফিল্মের দ্বারা প্রভাবিত। ‘কেনেডি' যখন তৈরি করছি, তখন আমিও বেশ একটা ডার্ক ফেজ়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। সিনেমাটা সেই ফেজ থেকেই বেরিয়ে এসেছিল।

সম্প্রতি কেরালার একটি প্রতিষ্ঠানে পড়াবেন বলেছেন। একজন পরিচালক হিসেবে কী মনে হয়, ফিল্ম-মেকিং কি সত্যিই শেখানো সম্ভব? একজন মানুষের কীভাবে কোন জিনিসটা করা উচিত, সেই বিষয়ে পড়ানো বা শিখিয়ে দেওয়াতে আমি বিশ্বাসী নই। ফিল্ম ডিরেক্টররা খুব সহজে নিজেদের ক্লোন বানিয়ে ফেলেন। আমি কখনওই চাই না নিজের ক্লোন বানাতে। আমার অ্যাসিস্ট্যান্টদেরও আমি সবসময় বলি আমার চেয়ে আলাদা রকমের সিনেমা বানাতে। আমি ‘টিচিং’য়ের বদলে ‘মেন্টরিং’ করতে চাই। আমার ছাত্রদের আমি নিজেকে খুঁজে পেতে সাহায্যটুকু করতে পারি মাত্র। আই ওনলি ওয়ান্ট টু এম্পাওয়ার পিপল টু ফাইন্ড দেমসেলভস্। নিজের কণ্ঠ, নিজের ক্রাফট খুঁজে পেতে আমি তাঁদের সাহায্য করব, সেটাই আমার কাছে ‘টিচিং’।

আপনি তার মানে ফিল্ম-স্কুল বিরোধী? ঠিক সেটা নয়। আসলে ফিল্ম-স্কুলে বা যে কোনও স্কুলেই যেভাবে সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা হয়, সেটা ডিগ্রি, সার্টিফিকেট বা চাকরি জোটানোর জন্যই। সেটা সমস্যাজনক। সিলেবাসের পড়া পড়ে আমি যা শিখেছি, একটা লাইব্রেরি খুঁজে পাওয়ার পর তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু শিখতে পেরেছি। আমি থিয়োরি পড়ানোয় বিশ্বাস করি না ।