আপনার সাক্ষাৎকার আন্তর্জালে নেই বললেই চলে। আপনি কি ‘কথা কম, কাজ বেশি' নীতিতে বিশ্বাসী? এর আসলে তিনটে উত্তর হয়। প্রথমত, আমি নাট্যচর্চাতেই বেশি করে মনোনিবেশ করতে চাই। যা আমি বলতে চাই, দর্শক আমার অভিনয়ের মাধ্যমেই তা দেখুন। দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যম বা কোনও মিডিয়াতেই আমার কোনও যোগদান নেই। আমি কোনও সামাজিক মাধ্যমেও নেই। রিলও বানাই না। নিজের স্ট্রাগলের কথা ফলাও করে বলতে ভালবাসি না। আমাকে যতটুকু মানুষ দেখছেন, আমি ততটুকুই। তৃতীয়ত, আমি তো মিডিয়াকে নিজের কাজ ছাড়া আর কোনও— যাকে বলে 'সসি' খবর বা সেন্টিমেন্টাল গল্প... এসব দিতে পারব না! তাই হয়তো মিডিয়াও রেশমি সেনের থেকে কিছুটা দূরেই থেকেছে বরাবর! আরও একটা জিনিস হল, নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে যাবতীয় আন্দোলনে কৌশিক যেভাবে সামনে থেকেছে, আমিও সেভাবেই জড়িয়ে থেকেছি, কিন্তু হয়তো সামনে থাকিনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যম হয়তো ভেবেছে কৌশিকের সঙ্গে কথা বলা হলেই আমার কথাগুলোও জানা হয়ে যাবে! ডিজিট্যাল মিডিয়া তো আমার থেকে কোনও ব্যাপারেই বক্তব্য চায় না।
এটা কি সাধারণভাবে সমাজের ডিসঅ্যাডভান্টেজ? তা তো বটেই! আপনি যদি নামী কারও স্ত্রী হন, তাহলে সমাজ-সচেতনতা বা আপনার কাজ নিয়ে আপনার যে ভাবনা, সেটাকে তেমন তুলে ধরা হয় না। সিঙ্গল মাদার বা কোনও মহিলা যদি একা প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁদের অনেক বেশি তুলে ধরা হয় মহিয়সী নারী হিসেবে। যে কারও স্ত্রী হয়েও ততটাই মহিয়সী হতে পারেন, এটা সমাজ যেন ভাবেই না! প্রচলিত ধারণা রয়েছে না, যে একটি মেয়ে যদি রোজগার না করে, তার মানে তার কোনও সমস্যা নেই! আর আমার ক্ষেত্রে তো সমস্যা নেইই, কারণ আমার বর কৌশিক সেন, ছেলে ঋদ্ধি সেন! ধরেই নেওয়া হয়, ওরা আমার ব্যাক-আপ হিসেবে রয়েছে। সেই জন্যই হয়তো আমার প্রচার কম। বাট ইট'স ভেরি আনফেয়ার! একটি সংসারী মেয়েরও সংসার চালানোর ততটাই অধিকার আছে, যতটা আছে পুরুষটির। সেল্ফ-আইডেন্টিটির জন্য তাঁর কাজ করাও সমান প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে সানন্দা-কে ধন্যবাদ দিতে চাই। যে মহিলাদের কথা সানন্দা তুলে ধরে...
যেমন বেণী বসু, জলি চন্দ বা আঁকিবুকি অদিতির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আপনারা... এই মহিলারা সত্যি স্বনির্ভর। এঁদের স্ট্রাগ্ল এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোঁচাখুঁচি করেননি।
This story is from the March 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the March 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।