রানির দেশে প্রথম গিয়েছিলাম আশির দশকের শেষে। তখন বিদেশ যাত্রা যাকে বলে, রা বেশ একটা রোমাঞ্চকর ব্যাপার ছিল। হিথরোয় নেমে এয়ারপোর্টের মধ্যেই ট্রেন, শহর থেকে একটু বেরোলেই ছবির মতো বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয় দুর্লভ জিনিসপত্র... দেখে ঘোর লেগে যেত। এবার এসেছি মেয়ে-জামাইয়ের কাছে, নিছকই অবসর যাপনে। ওদের বাড়ি সেন্ট্রাল লন্ডন থেকে টিউবে আধঘণ্টা দূরত্বে, বার্কিং বলে একটি জনপদে। ঐতিহাসিক জায়গা, তবে নতুন বার্কিং গড়ে উঠেছে কিছু হাইরাইজ় অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স নিয়ে। এখনও চারপাশে অনেক ফাঁকা জায়গা, পার্ক, ফোয়ারা ইত্যাদি।
প্রথমেই দু'দিনের বাথ-কটসওয়ার্ল্ডস টুর করে এলাম। এখানে আগে আসা হয়নি। মনোরম অভিজ্ঞতা। বাথ প্রায় দু'হাজার বছরের পুরনো, সুসজ্জিত রোমান শহর। তবে সফরের প্রধান আকর্ষণ ছিল দ্বিতীয় দিনে কটসওয়ার্ল্ডের গ্রাম-সফর। পাঁচ-ছ'টি গ্রাম ও আধা-শহরে নিয়ে যায়, সবকটিই ছবির মতো সুন্দর। দু'-একটি প্রায় চারশো বছরের পুরনো। পাথরে বাঁধানো নির্জন রাস্তার দু'দিকে সারি দিয়ে মধু রঙের পাথরের কটেজ, স্লেট রঙের চিমনি, পুরনো আমলের গজাল-আঁটা কাঠের দরজা। চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে চোখ জুড়নো বোগেনভিলিয়া ও অন্যান্য ফুলগাছ। একপাশে অভিজাত ভাবগম্ভীর চার্চ ও গ্রামের শান্ত প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র। সব মিলিয়ে সত্যিই রূপকথার রাজ্য!
ফিরে এসে একদিন সকালে পার্কে গিয়ে জাহ্নবী নামে এক দক্ষিণ ভারতীয় তরুণীর সঙ্গে আলাপ হল । ছোটখাটো চেহারা, শ্যামলা রং, মুখটি ভারী মিষ্টি। একটি স্কুলে পড়ায়। বলল, “আঙ্কল, আপনি মাটির তলার লন্ডন দেখেছেন? অনেক রাজপথের তলায় প্রাচীন এক সাম্রাজ্যের অবশেষ লুকিয়ে আছে, জানেন?” মনে পড়ল, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রোমান সভ্যতার কিছু স্মারক দেখেছি বটে। জাহ্নবী হেসে বলল, “বেরিয়ে পড়ুন, সব বুঝিয়ে দেব।” জাহ্নবী যা বলেছিল, বলি ।
This story is from the June 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।