ইস্ফলে বড় হচ্ছিলেন যখন, তখন নাচ নয় বরং গানই ছিল আপনার যাপনের অঙ্গ। তাই তো? কলাবতী দেবী: হ্যাঁ। গুরু গম্ভিনী দেবী তখন মণিপুরের ‘বাসক’-এ গাইতেন। ‘বাসক' হল মণিপুরের একটি পারফর্মিং ট্র্যাডিশন। সেখানে গান ও অভিনয়ের মাধ্যমে অষ্টনায়িকাকে উপস্থাপিত করা হয়। আমিও ধীরে ধীরে 'বাসক'-এর সঙ্গে জড়িয়ে গেলাম, গাইতে লাগলাম। মণিপুরে নাচ-গানকে আলাদা করা যায় না। যিনি নাচ জানেন, তিনি গানও জানেন। বাসক হল আসলে এক ধরনের ফুল। প্রথা অনুযায়ী, ওই ফুল দিয়েই কৃষ্ণের জন্য অপেক্ষারত রাধা শয্যা সাজান। সেখান থেকেই ওই শিল্পের জন্ম। আগে গান-অভিনয়ে সংস্কৃত বেশি ব্যবহার হত, এখন মূলত মেইতেই (মণিপুরের ভাষা) ব্যবহার হয়। ‘বাসক’ শিল্পী হিসেবে ছোটবেলায় পরিচিত হই। এর পরে গুরু বিপিন সিংহ (পরবর্তীতে স্বামী) মণিপুরে আসেন। আলাপ হয়। ওঁর ছাত্রী ছিলাম প্রথমে। দর্শনা ঝাভেরিও (পদ্মশ্রী প্রাপ্ত মণিপুরি নৃত্যগুরু) ওঁর ছাত্রী ছিলেন। আমি বম্বে গিয়ে ঝাভেরি সিস্টারসের পারফর্মিং ট্রুপে যোগ দিই। বিয়ের পর ১৯৭৩ নাগাদ আমি ও গুরু বিপিন সিংহ কলকাতায় চলে আসি।
কলকাতায় এলেন কেন? কলাবতী দেবী: গুরুজির (স্বামী বিপিন সিংহ) জীবন শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। ওঁর আদি বাড়ি ছিল অসমের কাছাড় জেলার সিঙ্গারি গ্রামে। ছোটবেলায় গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় চলে আসেন। কলকাতার জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতায় উনি শিল্পচর্চা করতেন। পরে বম্বে (অধুনা মুম্বই) যান, ওখানে ঝাভেরি সিস্টারদের সঙ্গে আলাপ হয়। ভি. শান্তারামের সিনেমাতে নৃত্য পরিচালনাও করেন। কিন্তু ওঁর গবেষণা ও ভাল লাগার জায়গা যেহেতু মণিপুর ছিল, তাই মণিপুরে ফিরে যান উনি। মণিপুরি নৃত্যশৈলীকে গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানসম্মত করে তুলেছিলেন। তবে মণিপুরে আমাদের বাড়ি হলেও বড় শহর হিসেবে কলকাতাকেই বেছে নেন গুরুজি। উনি বলতেন, কলকাতায় যে আন্তরিকতা ও উষ্ণতা রয়েছে, তা অন্য কোথাও নেই। অন্য বড় শহরে সকলে বিজ়নেস মাইন্ডেড। কলকাতায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে সংস্কৃতির চর্চা হয়। ওঁর সূত্রেই আমারও তখন কলকাতায় আসা।
This story is from the September 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।