এসে গিয়েছে আলোর রঙে রাত রাঙিয়ে তোলার ঋতু, দীপাবলি। প্রদীপ সাজানো, আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড়, চোদ্দ শাক থেকে শুরু করে রকমারি ব্যঞ্জনে উদরপূর্তির আনন্দে যার তুলনা নেই! কিন্তু পাশাপাশি দীপাবলির রাত মানেই বাজির আওয়াজে মন-মাথা সুস্থ রাখা দায় হয়, বায়ুতে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ! মনে হয়, এমন আনন্দের একটা দিন কেন জড়িয়ে থাকে শব্দদূষণ, বায়ুদূষণের সঙ্গে? চাইলে কি দীপাবলিকে দূষণের কবল থেকে বার করে আনা যায়? প্রথমেই যেটা মনে রাখা দরকার তা হল, বাজি ফাটলে, ধোঁয়া হবেই। তাই বিভিন্ন স্তরে চেষ্টা করা হচ্ছে বাজিকে যতটা দূষণমুক্ত করা যায়, তার। তা ছাড়াও প্রত্যেকে যদি কিছুটা করে সচেতন হই, পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন হতে শেখাই... তা হলে হয়তো একদিন সকলেই আর একটু পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নিতে পারব!
সবুজ দীপাবলি কেন জরুরি? দুর্গাপুজোর পর থেকে কালীপুজো, দীপাবলি পার করে মোটামুটি ক্রিসমাস-নতুন বছর পর্যন্ত সময়ে বাতাসে একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (যার সাহায্যে বায়ুদূষণের মাত্রা মাপা হয়), প্রবল ভাবে বেশি থাকে। একিউআই যত বেশি, দূষণও ততটাই। পিএম টেন এবং পিএম টু পয়েন্ট ফাইভের মতো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণার আধিক্যও বাড়তে থাকে। অর্থাৎ শ্বাসের কষ্ট, হার্টের সমস্যার প্রকোপ তো বাড়েই, তা ছাড়াও বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য সময়টা সাধারণ ভাবেই খারাপ। যদি কেউ মনে করেন, তিনি বাজি ফাটান না বা বাজির আশপাশে থাকেন না বলে তিনি সুরক্ষিত, ব্যাপারটা তেমন নয়। বাজি থেকে যে দূষিত পদার্থ নির্গত হয়, তা বায়ুতেই মেশে! ফলে যে কোনও ব্যক্তিরই ক্ষতি হতে পারে। আর শব্দদূষণ তো সকলেরই ক্ষতি করতে পারে! ফলে দীপাবলি যত দূষণমুক্ত হবে, ততই প্রতিটি মানুষের জন্য ভাল।
দূষণমুক্ত, সবুজ দীপাবলি কি আদৌ সম্ভব? ‘পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতি'র সাধারণ সম্পাদক, শুভঙ্কর মান্নার মতে, এই ‘সবুজ' শব্দটাই আপেক্ষিক। জানালেন, পশ্চিমবঙ্গে সবুজ বাজির রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণ যাতে সরকারি উদ্যোগে বিনা পয়সায় হয়, সে ব্যাপারে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনিই। চেষ্টা করা হচ্ছে, বাজির ফলে আগে যতটা পরিবেশ দূষণ হত, তা কমানোর। সবুজ বাজিও সেই লক্ষ্যেই তৈরি করা।
This story is from the October 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the October 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।