এই তো কিছু দিন আগের ঘটনা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কয়েকজন মা একজোট হয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন। তাঁদের দাবি, 'ক্লিন এয়ার' বা স্বচ্ছ বাতাস দিতে হবে! মূলত হাসপাতালগুলির আশপাশে যাতে ‘লো এমিশন জোন' তৈরি করা যায়, সেই অনুরোধই করেছেন তাঁরা মন্ত্রীকে। দাবিটা কি খুব অমূলক? এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ভারতে যে হারে বায়ু দূষণ বাড়ছে তা এক ধাক্কায় গড়ে অন্তত বছর তিনেক কমিয়ে দিচ্ছে মানুষের আয়ু। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি এখন আর একটি বিষয় অপরিহার্য – প্রাণভরে শ্বাস নেওয়ার উপযোগী পরিবেশ। এই মায়েরা, যাঁদের পোশাকি ভাষায় বলা হচ্ছে ‘ওয়ারিয়র মমস', তাঁরা চিন্তিত তাঁদের সন্তান, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে। ২০২৩-এর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ১০০টি সর্বাপেক্ষা দূষিত শহরের মধ্যে ৮৩টিই ভারতে! পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১-এ দূষণ-সংক্রান্ত অসুখের কারণেই মারা গিয়েছেন ২১ লাখ ভারতীয়! এ হেন বায়ুদূষণ মোকাবিলায় প্রয়োজন জনসচেতনতা থেকে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ। কিন্তু সমাধান খোঁজার আগে দেখে নেওয়া যাক, কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা....
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স কী? যে সূচকের সাহায্যে বায়ুদূষণের হার পরিমাপ করা হয়, তা-ই হল এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স। একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাতাস কতটা দূষিত, তা এই সূচকের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা সংক্ষেপে একিউআই-এর মাত্রা ০ থেকে ৫০০ অবধি হতে পারে। যেখানে বায়ুদূষণ যত কম, সেখানে এই সংখ্যাও তত নিম্নগামী। সাধারণ ভাবে, এই সূচককে ছ'টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে : > ভাল: এ ক্ষেত্রে একিউআই-এর মান মোটামুটি ০-৫০-এর মধ্যে থাকে। ‘সবুজ' বা গ্রিন জোন ধরা হয় একে। অর্থাৎ দূষণের হার যথেষ্ট কম ও শারীরিক অসুস্থতার আশঙ্কা নেই। > মডারেট বা মোটামুটি: ৫১-১০০-র মধ্যে সূচক থাকলে তা ‘মডারেট’ বা ‘হলুদ’ একিউআই-এর নির্দেশক। এ ক্ষেত্রে কারওর কারওর দূষণের ফলে সমস্যা হতে পারে। >> সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর: ১০১-১৫০-এর মধ্যে সূচক থাকলে তা ‘অরেঞ্জ' একিউআই বলে ধরা হয়। ফুসফুসের সমস্যা যাঁদের রয়েছে এবং বয়স্ক, বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারে।
This story is from the October 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the October 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।