স্টেশনে নামতেই কার্তিকের ঠান্ডাটা ঝাপটা মারল বিভৃতি মুখুজ্জের গায়ে। বহু বছর পর গাঁয়ে ফিরছে সে। মা-বাপ তাকে চিনতে পারলে হয়...। তিন-তিনটে দশক হয়ে গেল, সবই তো অচেনা, নতুন ঠেকছে। বর্ধমান থেকে বাসে শুধু গ্রামের নামটুকু বলতে পেরেছিল। কন্ডাক্টারকে বলে দিয়েছিল ঠিক জায়গায় নামিয়ে দিতে...।
যেখানে নেমেছে সেটা একটা চৌমাথা। প্রচুর বাইক, স্কুটি, অটো, টোটোর চলাচল...। এক সাইকেল যাত্রীকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই, টিপিক্যাল বর্ধমানের টানে জিজ্ঞেস...
‘কাদের বাড়িতে যাবেন গো? কোথা থেকে আসা হচ্ছে?'
ঠিকানা জেনে উত্তর, 'ও... সে তো পূর্বপাড়া। ওই রাস্তা বরাবর গিয়ে ডানহাতি বটগাছ পেরলেই পূবপাড়া।' বিভূতি নির্দেশ মতো চলল। গাছপালা, ধানখেত, মাটির বাড়ি, পুকুর সবই কত কমে গিয়েছে। বাড়ির সামনের সেই খালটাও নেই। বাড়িটা কোথায়? তাকিয়ে দেখে, একটা ভাঙা পাঁচিল আর ইটের জরাজীর্ণ কঙ্কাল। খামারবাড়ি, শিবমন্দির কই? উঁকিঝুঁকি দিতে খাটো ধুতি পড়া এক বৃদ্ধ থমকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কাকে খুঁজছেন, মশাইয়ের কোথা থেকে আসা হচ্ছে?'
পরিচয় দিয়ে বাবার নাম বলতেই উনি বিভূতিকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। ‘এতদিনে মনে পড়ল বাবা? আমি তোমার তিনুকাকা, তিনকড়ি চক্কোত্তি..., এই পাশের বাড়িতেই থাকি। এসো আমার সঙ্গে।'
This story is from the November 2022 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the November 2022 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।