• নাটকপাড়ার মেয়ে আমি। শ্যামবাজারের বাড়িতে মেজদির কাছে মানুষ হয়েছি। দিদিদের থেকে আমি অনেক ছোট। ওরা মাতৃস্নেহই দিয়েছে। আমাদের বাড়িতে বড় বেলজিয়ান গ্লাসের আয়না ছিল। মেজদিকে দেখতাম, সিনেমা দেখে এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সুচিত্রা, সুপ্রিয়ার অভিনয় করছে। এদিকে আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওরা ভাবছে আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। কিন্তু খাটে শুয়ে এক চোখ খুলে ওকে দেখছি। যেই মেজদি চলে যেত, জামা তুলে মাথায় ঘোমটা দিয়ে ওদের মতো অভিনয় করতাম। ছোট থেকেই অভিনয়ের ইচ্ছে ছিল।
নাটকের শুরু পাড়ার গলিতে। পুজোতে ‘মেঘে ঢাকা তারা’ হয়েছিল, আমি নীতা করেছিলাম। ১৯৮৯ সাল থেকে পেশাদার অভিনয় শুরু। ‘বালুচরী’ নাটক করতে শুরু করেছিলাম সুপ্রিয়াদির সঙ্গে। নাটক করতে করতেই ছবিতে সুযোগ পাই। তরুণ মজুমদার, প্রভাত রায় প্রথম আমাকে মঞ্চে দেখেছেন। তরুণ মজুমদারের এই লেখাটা আমার চোখে এখন জ্বলজ্বল করে। তনিমা, আপনার অভিনয় আমার ভীষণ ভালো লাগল। আপনি যদি আমার ছবিতে কাজ করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে স্টুডিওতে এসে আমার সঙ্গে দেখা করুন।’ ‘পথ ও প্রাসাদ’ ছবিতে প্রথম সুযোগ দিলেন। সেই শুরু। তারপর ‘অভিমানে অনুরাগে' বলে একটা ছবিতে ডেকেছিলেন। জীবনে সেই প্রথম আমার আউটডোর যাওয়া। কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য, নানা কারণে ছবিটা বন্ধ হয়ে গেল।
This story is from the July 2023 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 2023 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।