সে পর্ব-৩ ই সময়ের লেখিকাদের মধ্যে যাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট বেশ নজর কাড়ে, তিনি সরলা দেবী। স্বর্ণকুমারী দেবীর এই কন্যা মায়ের ধারা বজায় রেখে সাহিত্যচর্চায় আত্মনিবেশ করেছিলেন। সরলার সামগ্রিক সাজসজ্জার আধুনিকীকরণ ভীষণভাবে চোখে পড়ে। তাঁকে খোলা চুলেই বেশিরভাগ ছবিতে দেখতে পাই। খোলা লম্বা ঘন চুল। কপালের সামনের দিকে নিপুণ চর্চায় ঢেউ খেলিয়ে কেশবিন্যাসের পরে মুক্তো জড়ানো হেয়ারব্যান্ড দিয়ে চুল নিয়ন্ত্রণ করার আর্টটি অসাধারণ। ডাগর ভাসা ভাসা চোখে হালকা কাজল, গয়না বলতে সরু সাতনড়ি হার। সেই হারের ডিজাইন
এতটাই আর্টিস্টিক যে তারিফ না করে উপায় নেই। ডিজাইনার ব্লাউজ তখনও পরতেন লেখিকারা। বিশেষ করে ঠাকুরবাড়ির মেয়ে তথা লেখিকারা অত্যন্ত ফ্যাশন-সচেতন ছিলেন। সরলা দেবীকে ও নানারকম ডিজাইনের ব্লাউজ পরতে দেখি। গলার কাটিংয়ে কখনও পাঞ্জাবি গলা, কখনও শার্টের কলার, কখনও কুচি বা ফ্রিল দেওয়া। সামনে বা পিছনে বোতাম এবং হাতা, কখনও লম্বা ঝুলের, কখনও থ্রি-কোয়ার্টার, কখনও বা কনুই পর্যন্ত হাতায় ফ্রিল দেওয়া, কখনও ঘটি হাতা! সরলার একটি ছবি তাঁর স্মার্টনেস-এর অসাধারণ পরিচয় দেয়। তাঁর কনভোকেশনের দিনের সাজ!পাতাকাটা কপাল ঢাকা চুল যা পিছনে টেনে বাঁধা, হাই নেকলাইনের অপূর্ব কারুকাজ করা থ্রি কোয়ার্টার ফ্রিল দেওয়া হাতা ব্লাউজ, নকশা পাড়ের শাড়ি, সেই শাড়ি থেকে কেটেই ব্লাউজটি বানানো বোঝা যায়; হাতে কয়েক গাছা সোনার সরু চুড়ি! এই লালিত্যপূর্ণ সাজটি যে কী চমৎকারভাবে ক্যারি করেছিলেন তিনি! অর্থাৎ কোন অনুষ্ঠানে কীরকম পোশাক ও প্রসাধন করতে হবে, তা নিয়ে নে ঠাকুরবাড়িতে রীতিমতো চর্চা হতো তা বলাই বাহুল্য। অর্থাৎ লেখিকারা মেধাচর্চার সঙ্গে সঙ্গে রূপ ও ফ্যাশনের চর্চায় অনেকখানি সময় দিতেন।
প্রসঙ্গক্রমে এই বিষয়টিও আমাদের ভাবিয়েছে এই সময়কার বা তার পরবর্তীপূর্ববর্তী অনেক লেখিকা সাহিত্য অঙ্গনে পা দিলেও তাঁরা প্রকাশ্যে আসেননি! গৃহকর্ম সেরে কলম ধরেছেন গোপনে কেউ কেউ, কারও পরিবার বিষয়টি জানলেও খুব একটা উৎসাহ যে দিয়েছে তা নয়।
Bu hikaye Sukhi Grihakon dergisinin August 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Sukhi Grihakon dergisinin August 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
পুরানো জামা
তারপরেই কাঁদো কাঁদো গলায় শ্রেয়সী বললেন, 'কিন্তু আমার আর একটি জিনিস কি আর ফিরে পাব? সেটাও আমার কাছে খুব মুল্যবান!
পুজোয় খাওয়া জমজমাটি
দুর্গাপুজোয় বাড়িতেই রেঁধে ফেলুন ভালোমন্দ বাঙালি পদ। রেসিপি জানালেন দেবারতি রায়।
সেরার সেরা গিনি
আমার কাঁধে পড়া দু-ফোঁটা গরম জলের অনুভূতি যেন আমাকে সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি এনে দিল!
আপনার Recipe
আপনার রেসিপি রান্না করতে ভালোবাসেন? বাংলায় রেসিপি পাঠান আপনারাও। নিজের তৈরি কোনও আমিষ বা নিরামিষ পদ উপকরণ, প্রণালী (অনধিক ১০০ শব্দে) লিখে ও রান্নার ছবি সহ পাঠিয়ে দিন আমাদের দপ্তরের ঠিকানায় বা sukhigrihakon@bartamanpatrika. com-এ। শিরোনামে ‘আপনার রেসিপি' কথাটা লিখবেন। বছরের সেরা রেসিপির জন্য থাকবে আকর্ষণীয় পুরস্কার। লেখার সঙ্গে নিজের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও ছবি পাঠাতে ভুলবেন না ।
পুজোর ভোজে মাংস
পুজোর ভোজে মাংস পুজোয় বাড়িতে মাংস রাঁধুন ভিন্ন স্বাদে। রেসিপি জানালেন শেফ রঞ্জন বিশ্বাস।
সমাদ্দারের স্কটি
তুই আর মা মিলে বরং বাইরে থেকে ভালো খাবার আনা ডিনারের জন্য।'
জন্মদিনে মা তৈরি করতেন ফ্রুট কাস্টার্ড।
খাবারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ছোটবেলার গল্প ভাগ করলেন অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে৷ সাক্ষাৎকারে স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
টেক্কা
টলিউডে নানা ধরনের ছবি তৈরি হচ্ছে। তেমনই একটি ছবির কথায় স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
‘যা বলতে চাই’
কারও অভিনয় জীবন দীর্ঘ, কারও বা সবে শুরু। কেউ আবার ক্যামেরার পিছনে কাজ করতেই বেশি ভালোবাসেন। ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা, ভালোলাগামন্দলাগা, চাওয়া-পাওয়া মন খুলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এবার কলম ধরলেন সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়।
‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’
সেপ্টেম্বর মাসের অণুগল্পের বিষয় নিয়ে দপ্তরে এসেছিল অসংখ্য লেখা। তা থেকে বাছাই করে সম্পাদকমণ্ডলীর বিচারে সেরা লেখাটি প্রকাশ করা হল।