
ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার। এবার ঢা আমাদের বেড়ানোর পরিকল্পনাটাও খানিক এমনই হয়েছিল! হোটেল বুকিং নেই, ডাক্তারি শংসাপত্র নেই, ভ্রমণের জন্য জরুরি পারমিটও নেই। অথচ আমরা যুদ্ধংদেহি মনোভাব নিয়ে রওনা দিয়েছি উত্তরাখণ্ডের উদ্দেশ্যে। তাও আবার নৈনিতাল, কৌশানির মতো শৈল শহরে নয়। একেবারে শিবঠাকুরের আপন দেশ আদি কৈলাস। যাচ্ছিলাম নেপাল, চলে গেলাম উত্তরাখণ্ড! বেড়ানোর এমন ‘হাঁসজারু' দশার কারণ বিস্তারেই বলি। গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে সড়ক পথে নেপাল যাব বলে তৈরি। কিন্তু সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। আর তখনই মনে হল আদি কৈলাসের কথা। তিব্বত সীমান্তে বলেই এই পথে যেতে সরকারি পারমিট নিতে হয়। প্রচণ্ড উচ্চতার কারণে সরকারি ডাক্তারের থেকে প্রাপ্ত ফিট সার্টিফিকেটও জরুরি। এসব কিছুই আমাদের নেই। আছে শুধু ধারচুলা গ্রামের একটি হোটেলের ফোন নম্বর। সেটা পকেটে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। রাতের অন্ধকার ফুঁড়ে গাড়ির হেডলাইট এগিয়ে চলেছে। প্রথম রাত কাটবে বেনারসে। দিনের আলো ফুটতে ফোনের মাধ্যমে শুরু হল হোটেলের খোঁজ। বেশ কয়েকটা ঠিকানা বাতিল হওয়ার পর বেনারস শহরের মাঝে একটা হোটেলে স্থান মিলল। আমাদের আত্মবিশ্বাসও খানিক বেড়ে গেল। ভাবলাম এযাত্রা তবে শিব ঠাকুরও হয়তো ফেরাবেন না। রাস্তার ম্যাপ দেখে ঠিক করলাম দ্বিতীয় রাত কাটাব কাঠগোদামে। সেখান থেকে তৃতীয় দিন ভোরে বেরিয়ে সন্ধে নাগাদ পৌঁছব ধারচুলা। ইতিমধ্যে ধারচুলার হোটেলে ফোন করে আমাদের যাত্রার বৃত্তান্ত জানিয়েছি। হোটেল মালিক জিৎ নেগি (জিতু ভাইয়া নামেই গোটা ধারচুলায় যাঁর পরিচিতি) ঘর ও পার্কিং দুই-ই আছে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।
তৃতীয় দিন ভোরে বেরিয়ে সন্ধে নাগাদ পৌঁছব ধারচুলা। ইতিমধ্যে ধারচুলার হোটেলে ফোন করে আমাদের যাত্রার বৃত্তান্ত জানিয়েছি। হোটেল মালিক জিৎ নেগি (জিতু ভাইয়া নামেই গোটা ধারচুলায় যাঁর পরিচিতি) ঘর ও পার্কিং দুই-ই আছে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন।
This story is from the December 2024 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the December 2024 edition of Sukhi Grihakon.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

হেশেলে দোল স্পেশাল
কিছু আমিষ, খানিক নিরামিষ আর ঠান্ডাই। এই নিয়েই . দোলের বিশেষ মেনু। রেসিপি জানালেন সোমা চৌধুরী।

ডেস্ক সাজানোর উপায়
কেউ অগোছালো স্বভাবের। কারও বা গুছিয়ে রাখাটাই স্বভাব। কেমন ভাবে গুছিয়ে রাখবেন কাজের ডেস্ক? রইল পরামর্শ। লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

হৃদয়
তাছাড়া যে মানুষের মান-সম্মান জ্ঞান নেই, গ্রামের সবার বাড়ির চাকর খাটে, পাত পেড়ে খায়, তাকে আর যাইহোক, ভালোবাসা যায় না।' চমকে ওঠে গ্রামের মানুষরা!

এখন নিজের কাজের প্রেমে মেতে আছি
মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু। আপাতত মন দিয়েছেন প্রথম ধারাবাহিকে। সুকন্যা চট্টোপাধ্যায়ের কেমন কাটছে অভিনয় জীবন? লিখছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

শেষনাগ হ্রদ
ভারতীয় সংস্কৃতিতে নদীকে ভগবান হিসেবে পূজা করা হয়। নদীর তীরে গড়ে ওঠে সভ্যতা, তাই বোধহয় এই রীতি। লিখেছেন পূর্বা সেনগুপ্ত।

কেরিয়ারে অগ্রগতির জন্য কীভাবে এগবেন?
জ্যোতিষে কেরিয়ারের উন্নতির জন্য ‘রাশি ও লগ্ন'কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। লিখছেন পণ্ডিত মলয় শাস্ত্রী।

স্থাপত্য আর ইতিহাসের শহর
নীলে আকাশের নীচে নীল শহর যোধপুর। দুর্গ আর সৌধের শহরে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা শোনালেন অমিতাভ ঘোষ।

প্ৰশংসা নিন্দা কিছুতেই ভেসে যাই না
টালিগঞ্জে এই মুহূর্তে সিনেমা, ওয়েব সিরিজে যাঁকে অনিবার্য বলে মনে করছেন নির্মাতারা, তিনি অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী। কেরিয়ার কেমন চলছে? কথা বললেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

ছাদ
টলিউডে নানা ধরনের ছবি তৈরি হচ্ছে। তেমনই একটি ছবির কথায় স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

এক যে ছিল দোল
বসন্তের দ্বারে জাগ্রত হলেই মন ধেয়ে যায় রাঙামাটির শান্তিনিকেতনে। সেখানে দোল উৎসবেই যেন মেলে বিশ্বলোকের সাড়া। মনের আদান-প্রদানের সঙ্গে যোগ হয় উৎসবের ভরপুর আমেজ। লিখছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ঋতা বসু।