পরান ভরা ভালবাসা রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা

কে বেশি ভাল নাচে? কে বেশি ফ্যাশনেবল? কে কথা বলে বেশি? সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে প্রথম বিবাহবার্ষিকীর পর আনন্দলোকের মুখোমুখি রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা। প্রশ্ন করলেন অংশুমিত্রা দত্ত ও আসিফ সালাম

পত্রলেখার কি মনে আছে আপনি পাঁচ-সাত বছর আগে আনন্দলোকের সঙ্গে একটি ফোটোশুট করেছিলেন মুম্বইতে? রাজকুমার: সেই বাঙালি শাড়ির শুটটা? (পত্রলেখার দিকে তাকিয়ে) পত্রলেখা: অবশ্যই! কী দারুণ ছিল শাড়িগুলো! আপনাদের গেস্ট হাউজ়ে গিয়েই তো রেডি হয়েছিলাম আমি। আমি তো বাংলা খুব ভাল পড়তে পারি না। কিন্তু মা আনন্দলোক নিয়মিত পড়ে। ফলে মা বাপের বাড়ি গেলে, আমিও দেখি কে আছে কভারে, কাদের গসিপ বেরোল (হাসতে হাসতে)।

আচ্ছা, স্ত্রীদের সামনে তো অধিকাংশ সময় বরেদের মুখ খোলে না। রাজকুমার আজ কথা বলবেন তো? রাজকুমার: না না, আমরা দু'জনেই প্রচুর কথা বলি। মাঝেমধ্যে বেশিই বলি। পত্রলেখা: আমাকে দেখে মনে হচ্ছে বেশি কথা বলি, না? রাজকে আন্ডার-এস্টিমেট করবেন না। ও আপনাদের ভুল প্রমাণিত করে দেবে।

পত্রলেখার বিয়ের ওড়নায় বাংলা হরফে লেখা ছিল একটি লাইন। আপনি প্রবাসী হওয়া সত্ত্বেও বাংলা ভাষার সঙ্গে নিজের বিয়ের দিনটিকে বেঁধে ফেলার ভাবনাটা কার ছিল? পত্রলেখা: আমি পুরোদস্তুর বাঙালি। বাইরে বড় হওয়ার কারণে ভাষাটা খুব স্ট্রং নয় আমার। তবে মনেপ্রাণে বাঙালি। আর সব্যসাচীও (ডিজ়াইনার) বাঙালি। আমি ওকে বলেছিলাম, আমার বিয়ের পোশাকে যেন বাংলার ছোঁয়া থাকে। বাংলা ভাষায় কিছু একটা লেখা থাকতে হবে। ‘আমার পরান ভরা ভালবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম' লেখাটা ওর আইডিয়া ছিল।

দাম্পত্যজীবনের একবছর পার করলেন। সম্পর্কে কোনও পরিবর্তন উপলব্ধি করছেন? দু'জনের মন্দদিকগুলো বেশি চোখে পড়ছে কি?