
আমি তখন ইলেভনে পড়ি। একবিংশ শতাব্দী আসব-আসব করছে, তখন সকলের মধ্যে ‘শতবর্ষের সেরা’ বেছে নেওয়ার হিড়িক। আমিও ব্যতিক্রম ছিলাম না। ব্র্যাডম্যান না সোবার্স, পেলে না মারাদোনা, উত্তম না সৌমিত্র... মনের মধ্যে তোলপাড় করত। এমন সময় একদিন মৃণাল সেনের সঙ্গে দেখা। তিনি আমার বাবার কাকা, কিন্তু ততদিনে আমাদের সম্পর্কে একটা বাধো বাধো ব্যাপার এসে গিয়েছে। কারণটা আমার বয়ঃসন্ধির লজ্জা।
ছোটবেলায় যাঁর কোলে বসতে দ্বিধা হয়নি, বিভিন্ন নামে সম্বোধন করতে ঠোঁট কাঁপেনি, এখন বিলক্ষণ বুঝি, তিনি কে! তাই সেদিন তিনি সোফায় বসে আর আমি যতটা দূরত্ব রাখা যায়, ততটা দূরে একটা মোড়ায় বসেছিলাম। যতটা সম্ভব আড়াল রেখে মাথা নিচু করে....
“তুমি বাংলায় ভাল নম্বর পেয়েছ শুনলাম?” জিজ্ঞেস করেছিলেন আমাকে। আমি মুখ ফুটে আর বলিনি গর্বের কথাটা। “শুধু টেক্সট বই পড়ো, নাকি একটু সাহিত্যটাহিত্যও পড়ো?” “পড়ি।” “শতাব্দীর সেরা তিনটে বাংলা উপন্যাস নিয়ে তোমার মতটা জানতে চাই...” আমার মত! ঠিক শুনছি? মৃণাল সেন জানতে চাইছেন আমার মত...আমি কে? সত্যি আমার মত কিছু ছিল না সেদিন। শুধু ‘পথের পাঁচালী’ বলতে-বলতেও কেন জানি না আটকে গেলাম। বললাম, “আরণ্যক।” “বেশ।” “পুতুলনাচের ইতিকথা।” “আচ্ছা।” অনেক সাহস সঞ্চয় করে বললাম, “খোয়াবনামা।” ‘‘গুড। তবে তুমি দেখছি বিখ্যাতর ভক্ত। লোকে যাকে ভাল বলে, তুমি তাকে ভাল বলো, তাই না?” কী উত্তর দেব বুঝতে না পেরে বোকার মতো তাকিয়ে মাথা নাড়লাম। “আমি যদি বলি বিভূতিভূষণের ‘অনুবর্তন’ উপন্যাসটা বিংশ শতাব্দীর সেরা উপন্যাস, মানবে? পড়েছ?” “না।”
“নাম শুনেছ?” এবারও মাথা নাড়লাম। “শেক্সপিয়রের কিছু পড়েছ? কোনও লাইন মনে আছে?” আমার একটা লাইনই মনে ছিল, “By my troth, I care not; A man can die but once." “গুড, তোমার সঙ্গে পরে আলাপ হবে আমার। আর একটু বড় হও।” তার অনেকদিন পরে তিনি তখন মৃত্যুশয্যায়। মাথা ছাড়া বাকি সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তখন বিদ্রোহী। এমন একদিন তিনি আমাকে বলেছিলেন, “বুঝলে হে, you must edit your own conclusions."
Bu hikaye ANANDALOK dergisinin 12 May, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye ANANDALOK dergisinin 12 May, 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

স্পোর্টস
ভারতের মেয়েরা টানা দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচের সেরা ও বিশ্বকাপের সেরা হলেন জি তৃষা।

বিরাটরোহিত কতদিন?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রোফির পরই ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে এই দুই ক্রিকেট মহাতারকার।

মুম্বইতে কোল্ডপ্লে ম্যাজিক
চাকচিক্য, আতিশয্য ও তারকা ছটা...মুম্বইতে কোল্ডপ্লে কনসার্টের বিস্তারিত গল্প তুলে ধরলেন আসিফ সালাম

আমি অন্যের মতো হতে গিয়ে একটা খারাপ নকল হয়ে গেলাম: সোহিনী সরকার
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘অমরসঙ্গী'। বাস্তব জীবনেও নিজের সঙ্গীকে খুঁজে পেয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে স্পষ্টবক্তা হিসেবেই পরিচিতি তাঁর, তাই বন্ধু সংখ্যাও কম। নায়িকা সোহিনী নন, মানুষ সোহিনী সরকার-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় আসিফ সালাম

আমার চুল পড়ে যাচ্ছে কেন, তা নিয়েও লোকে অভিযোগ করতে পারেন: ঋত্বিক চক্রবর্তী
‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ ‘অপরিচিত’, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই'...একের পর এক ছবি মুক্তি পাচ্ছে তাঁর। সঙ্গে চলছে নতুন ছবির শুটিং। তার মধ্যেই সময় বের করে কথা বললেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। শুনলেন আসিফ সালাম

মহম্মদ রফি এক সাধকের শতবর্ষ
পেশা হিসেবে বাছতে হয়েছিল ক্ষৌরকর্মকে। কিন্তু গান যাঁকে বেছে নিয়েছে, তিনি অন্য কোনও কিছু করবেন কী করে? মহম্মদ রফি সারাজীবন নিজের গানের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়ে গিয়েছেন। শেষে সেই ঈশ্বরের জন্যই ছাড়তে গিয়েছিলেন গান! কেন? জন্মশতবর্ষে পা দেওয়া এই সঙ্গীত সাধকের জীবনকে ফিরে দেখলেন সায়ক বসু

মুহূর্তরা ছুঁয়ে যায়
আনন্দলোক পুরস্কার, সেই সঙ্গে আনন্দলোকের ৫০তম জন্মদিন বলে কথা। দ্বিগুণ উদ্যাপনে সামিল হলেন সকলে। লিখছেন অংশুমিত্রা দত্ত

পরিবারই ছিল আব্বার কাছে ফার্স্ট প্রয়োরিটি
কাজ শেষ হলেই, কোথাও দু'দণ্ড দাঁড়াতেন না। বাড়ি ফিরে খেলতেন বাচ্চাদের সঙ্গে। বলতেন, সেদিনকার রেকর্ডিংয়ের গল্প। ৫৫ তম ইফির মঞ্চে মহম্মদ রফির জীবনের নানা গল্প শোনালেন শিল্পীর দ্বিতীয় পুত্র শাহিদ রফি

রফিজি আমার কাছে ভগবানের দূত
অনেকটা একলব্যের মতো করেই রফিজির কাছ থেকে গানের শিক্ষা নিয়েছেন তিনি, সোনু নিগম। নিজের ‘ভগবান' সম্পর্কে তিনি তুলে ধরলেন আবেগের কথা

প্রেমের ব্যাপারে আমি খুব প্রাচীনপন্থী: অন্বেষা দত্তগুপ্ত
একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন, সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন। এর মধ্যেই বার বার এসেছে অভিনয়ের প্রস্তাব। তবে অন্বেষা দত্তগুপ্ত কীভাবে দেখেন তাঁর এই যাত্রাপথকে? তাঁর সঙ্গে কথা বললেন সায়ক বসু