পাওয়ারফুল দুই অভিনেতার মেলবন্ধন অঙ্কুশ ও প্রিয়াঙ্কা সরকার

মুক্তি পেতে চলেছে তাঁদের নতুন ছবি ‘কুরবান’। অভিনেতা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে দু’জনে সুখ্যাতি কুড়োলেও, নিজেদের মনমতো চরিত্র কি পেয়েছেন তাঁরা? মন খুলে আড্ডায় অঙ্কুশ ও প্রিয়াঙ্কা সরকার। সাক্ষী আসিফ সালাম

‘কুরবান’-এর মতো ছবি বেছে নেওয়ার কারণ কী? অঙ্কুশ: অভিনেতা হিসেবে তৃপ্তি বলে একটা ব্যাপার থাকে। আমাদের কেরিয়ারে খুব কম সংখ্যক ছবি থাকে, যা আমাদের সেই তৃপ্তি দিতে সক্ষম হয়। এই ছবি সেই তালিকাতে থাকবে। সাফল্য বা ব্যর্থতা পরের কথা। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে চেরিশ করার মতো গল্প বা উদাহরণ তৈরি করার চরিত্র আমার কাছে খুব একটা আসে না। শৈবালদার (পরিচালক শৈবাল মুখোপাধ্যায়) ন্যারেশন শুনে বুঝতে পারছিলাম, উনি কীভাবে পুরো জিনিসটা দেখছেন। প্রিয়াঙ্কা: আমার ক্ষেত্রেও তাই। অনেক কাজই আমাদের করতে হয় জীবনধারণের জন্য। কিন্তু যে গল্প শুনে শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জিং মনে হয়, মনে হয় যে আমিও এখানে কিছু অবদান রাখতে পারি, সেই চরিত্র করতে ভাল লাগে। শৈবালের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল ও আমাদের মধ্যে থেকে নতুন কিছু বের করে আনতে পারবে আর আমরাও নিজেদেরকে নতুন করে দেখতে পাব।

আপনাদের দু'জনের মধ্যে একটা কমন বিষয় আছে। দু'জনেই শুরুর দিকে আদ্যোপান্ত বাণিজ্যিক ছবি করতেন, এখন অন্য ধারার কনটেন্ট নির্ভর ছবি করছেন। যদিও অঙ্কুশ পাশাপাশি 'মির্জা’ও করছেন। বাণিজ্যিক ধারার ছবি মিস করেন? প্রিয়াঙ্কা: বাণিজ্যিক ছবি করা কিন্তু খুবই চ্যালেঞ্জিং ও কঠিন। নায়ক যখন একটা ঘুষি মারছে, সামনে প্রতিপক্ষ দশখানা ডিগবাজি খেয়ে উলটে পড়ছে... এই ব্যাপারটাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা খুব বড় চ্যালেঞ্জ। আসলে বাণিজ্যিক ছবি দর্শকদের স্বপ্ন দেখায়। আমার দৃশ্য দেখে কেউ হয়তো বিশ্বাস করবে, সে-ও একদিন তার বান্ধবীকে বরফে ঢাকা পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে যাবে। এই স্বপ্ন দেখাকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা খুবই কঠিন। সেই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি, উপভোগও করেছি। আবার ‘কুরবান’-এর মতো ছবিও এখন করছি, যেখানে রোজকার দিনযাপনের ক্রাইসিস তুলে ধরা হচ্ছে। এটাকেও রিলেটেবল করে তোলা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। আমি পারফর্মার হিসেবে পুরো ব্যাপারটাকে সৎভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করি। তাই কোনওকিছুকেই আলাদাভাবে মিস করি না। সম্প্রতি ‘বিবাহ অভিযান’ করেছি, সেখানে বিদেশে নাচগানও করেছি, আবার ‘ছোটলোক’-ও করছি। আমি খুবই ভাগ্যবান।