স্নেহাশিসের দ্বিতীয় ইনিংস

দীর্ঘদিনের বান্ধবী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে আইনত স্ত্রী-র মর্যাদা দিলেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের বড় ছেলে স্নেহাশিস। এখন আলোচনার কেন্দ্রে একটাই প্রশ্ন, এই বিয়েতে গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের সম্মতি আছে, নাকি নেই? উত্তর পাওয়া যাবে ৭ অগস্ট, ২০২৪। লিখছেন কৌশিক পাল

- কৌশিক পাল

অস্বশেষে বিবাহ সম্পন্ন হল। পাত্র, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (বয়স ৫৯ বছর), ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা। পাত্রী, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (বয়স ৪৫ বছর)। প্রখ্যাত শিল্পপতি সুব্রত বণিকের প্রাক্তন স্ত্রী। নিজের দাবী অনুসারে, “আমি একজন সফল ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট। ছত্তিসগড়ে আমার নিজের কেমিক্যল ফ্যাক্টরি আছে। যে ফ্যাক্টরি আমি নিজে দাঁড় করিয়েছি।

দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে আইনত স্ত্রী-র মর্যাদা দিলেন গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের বড় ছেলে। গত বছর মে মাসে স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর তৎকালীন স্ত্রী মোম গঙ্গোপাধ্যায়ের করা এফআইআর-এর (৪৯৮এ, অর্থাৎ বধূ নির্যাতনের পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৩৪১, ৩২৩ এবং ৪০৬ ধারাতে) স্টোরিটি যখন আনন্দলোক-এ ব্রেক করা হয় (১২ মে ২০২৩ সংখ্যায়), তখনই আক্ষরিক অর্থে ‘কেঁচো খুড়তে কেউটে’ পাওয়ার সামিল হয়েছিল! শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের মতো ভয়াবহ সব অভিযোগের পাশাপাশি মোম জানিয়েছিলে, “মোমিনপুরে বড় সোসাইটিতে ফ্ল্যাট কেনে স্নেহাশিস। ওই বিল্ডিংয়েরই দুটো ফ্লোর তলায় থাকতেন আমার বাবা-মাও। সেই ফ্ল্যাটেই অর্পিতা বণিককে নিয়ে গিয়ে ফুর্তি করে স্নেহাশিস! ভাবুন একবার, নীচের তলায় আছেন শ্বশুরশাশুড়ি, আর সেই একই বিল্ডিংয়ে কিনা...” সেই প্রথম, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্নেহাশিসের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ার সামনে কেউ মুখ খুলেছিলেন। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের অন্দরমহলেও যে ব্যাপারটি ছিল ওপেন সিক্রেট, সেকথাও কোনওরকম রাখঢাক না করেই বলেন মোম। স্নেহাশিসের সঙ্গে অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে তাঁর শাশুড়িমার প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে মোম জানিয়েছিলেন, “একমাত্র শাশুড়িমা ছাড়া আমি কখনও কারও সরাসরি সমর্থন পাইনি। বাড়িতে কিছু মানুষ স্নেহাশিসকে সাপোর্ট করত, বাকিরা ছিল মূক। আপনাদের সৌরভ গাঙ্গুলিও সব জেনে চুপ করে থাকত। মানছি, তখন ও অনেক বেশি ব্যস্ত, প্রায়শই ট্র্যাভেল করত... কিন্তু ওর সামনেও তো ওর বৌদির উপর অত্যাচার করা হয়েছে, অথচ ওর কোনও স্ট্যান্ড ছিল না। বলত, “দাদাভাই তুই মাথা ঠান্ডা কর, এসব করিস না...' এরকমই ক্যাজুয়াল একটা অ্যাপ্রোচ!”