সিনেগ্রাফ

উত্তেজনা সৃষ্টি করার মতো বিরামহীন অ্যাকশন দৃশ্যগুলি দর্শকদের মন জয় করবে। অভিনেতাদের মধ্যে আশিস বিদ্যার্থী, আশুতোষ রানা, জিমি শেরগিল বেশ ভাল অভিনয় করেছেন।

দ্য বাকিংহাম মার্ডারস শেষ বাদে বাকিটা বেশ

পরিচালনা: হনসল মেহতা অভিনয়ে: করিনা কপূর খান, কিথ অ্যালেন, রণবীর ব্রার

হনসল মেহতার নতুন ছবি 'দ্য বাকিংহাম মার্ডারস'-এর ট্রেলার দেখে মনে হয়েছিল এতে বোধহয় কেট উইন্সলেট অভিনীত ‘মেয়ার অফ ইস্টটাউন'-এর ছাপ থাকবে। গল্পের প্রেক্ষাপটও লন্ডন। তবে গল্পের 'ফিল' অনেকটা ওই বিদেশি ছবির মতো হলেও পোড়খাওয়া পরিচালক তাতে ভারতীয়ত্ব গুঁজে দিয়েছেন ষোলো আনা। গল্পের চিত্রনাট্যকার অসীম অরোরা, রাঘব রাজ কক্কর ও কশ্যপ কপূর নতুন ভাবে সাজিয়েছেন গল্পটিকে। মুখ্য চরিত্র জসমিত ভামরা ওরফে জ্যাজ় (করিনা কপূর খান) এখানে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার। তার জীবনে এক অসম্ভব যন্ত্রণাময় অধ্যায় আছে। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জসমিতের ছোট্ট ছেলে মারা যায়। দোষী শাস্তি পেলেও সেই যন্ত্রণার অতীত মাঝেমাঝেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এক কঠোর পুলিশ অফিসারের সত্তার পাশাপাশি মায়ের পেলব মন, দুই-কে দারুণ মিলিয়েছেন করিনা। ইশমিত বলে এক কিশোরের খুনের রহস্যের কিনারা করতে মাঠে নামেন তিনি। পারিবারিক শত্রুতা না মাদকচক্রের যোগ.....

খুনের রহস্য উন্মোচনের পরতে পরতে এক একটি জট খুলতে থাকে। মার্ডার মিস্ট্রির যে টানটান উত্তেজনা তা চিত্রনাট্যে ধরে রাখতে পেরেছেন লেখক ও পরিচালক। সঙ্গে করিনা কপূরের পারফরম্যান্স। ছবিটির প্রেক্ষাপট লন্ডন, সংলাপে ইংরেজির আধিক্য রয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে ছবির বেশিরভাগ চরিত্রাভিনেতা বিদেশি। পুলিশ প্রধান মিলারের ভূমিকায় কিথ অ্যালেন। তাঁকে বেশ লেগেছে ছবিতে। ছবির চমক সেলেব্রিটি শেফ রণবীর ব্রার। ভাল শেফ হওয়ার পাশাপাশি তিনি যে অভিনয়ও করতে পারেন, তা দেখিয়ে দিলেন। তবে এই ছবির প্রাপ্তি অবশ্যই করিনা কপুর খান। আবেগের নানা স্তর নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ওয়ান ম্যান (না কি ওম্যান) শো বলা যেতে পারে। কিন্তু ক্লাইম্যাক্স অতটা মনে ধরল না। তবে ছবিটির আরও একটু প্রচারের প্রয়োজন ছিল।

অপ্রকাশিত একবার দেখার মতো পরিচালনা: সোহম আচার্য অভিনয়: জয় সেনগুপ্ত, আরিয়ান ভৌমিক, দেবলীনা দত্ত