য “ত দূর দৃষ্টি যায়, শুধু ফ্যাকাসে হলদে রঙের বালি আর বালি। দুপুরের প্রচণ্ড তাপে মরুভূমির মেঘহীন নিষ্করুণ নীল আকাশ ঝকঝক করছে অসংখ্য ঢেউয়ের মতো বালিয়াড়িগুলোর উপর। হু-হু হাওয়ায় তাদের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে রাশি রাশি তপ্ত বালুকণা। সেই অসহনীয় রোদে স্থির ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ছোট্ট ফণীমনসা গাছটা দেখল, দূরে দিগন্তরেখার গায়ে কী যেন নড়ছে। তাকিয়ে রইল সে। নড়তে থাকা আকৃতিটা বড় হচ্ছে। কে যেন আসছে এদিকেই। একটু অবাক হল ফণীমনসা। কতকাল এই পরিত্যক্ত মরুভূমিতে কেউ পা দেয়নি। দেবেই-বা কী করে? কেউ থাকলে তো দেবে। একজন মানুষ এগিয়ে আসছে বালির উপর দিয়ে। তার দীর্ঘ সাদা দাড়ি উড়ছে মরুভূমির হাওয়ায়। তার পদক্ষেপ ধীর, মনে হচ্ছে যেন অনেক কষ্টে পা টেনে টেনে চলছে সে। এক বৃদ্ধ বালির সমুদ্র পেরিয়ে এসে দাঁড়ালেন তার সামনে। অবাক চোখে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন, তুমি কোথা থেকে এলে? এখানে কী করছ? ফণীমনসা গাছটা বলল, আমি তো বরাবর এখানেই আছি। আপনি কি আমাকে চিনতে পারছেন না?
রোদে ভয়ানক গরম হয়ে আছে বালি, কিন্তু বৃদ্ধের ভ্রুক্ষেপ নেই। ধপাস করে সেই বালির উপরেই বসে পড়লেন তিনি। বললেন, “না, আমি এখন আর কাউকে চিনতে পারি না। এক সময় ওরা সবাই ছিল এখানে, এখন আর কেউ নেই। এখন আর কেউ আমাকে চেনে না। কী করেই-বা চিনবে? আমি নিজেই কি আর নিজেকে চিনি?” ফণীমনসার মনে হল, বৃদ্ধের নিজের পরিচয়টুকুও মনে নেই। সে বলল, আমি কিন্তু আপনাকে চিনতে পারছি দেবতা। গতবার আপনি
যখন এসেছিলেন, তখনও আমি ছিলাম এখানে। বৃদ্ধ দেবতা মুখ তুলে তাকালেন, আমাকে মনে আছে তোমার? এর আগে আমি এসেছিলাম এখানে?” ফণীমনসা বলল, হ্যাঁ। সেবার এসে আপনি কী করেছিলেন, আপনি মনে করতে পারছেন না? অসহায় ভাবে মাথা নাড়লেন বৃদ্ধ, না। এইটুকু শুধু মনে আছে, আমি খুব ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। এখানে একটা বিরাট জঙ্গল ছিল, না?
Bu hikaye Desh dergisinin April 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin April 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
মুক্তিপণ
শহরটা এই দিকটায় বেড়েছে কম।
যে-হাতের খোঁজ মেলেনি
গামার চোখে স্তালিনের প্রতিকৃতি কেবল একজন নেতার ছবি নয়; তা ছিল সাম্য, সংগ্রাম ও স্বপ্নের প্রতীক। এই আখ্যান বস্তির নিঃশ্বাসহীন ঘর থেকে বিপ্লবের মশাল জ্বালানো এক সাধারণ মজদুরের অসাধারণ গল্প।
টিকিট
এই গল্পটি একটি দূর গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া একজন হেডমাস্টারের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি গ্রামে এসে স্কুলের অবস্থান ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে গিয়ে স্থানীয় চরিত্রদের বিভিন্ন রকম আচরণ, হাস্যরস, এবং বাস্তব চিত্রের সম্মুখীন হন। একদিকে নীহারবাবুর মতো মহৎ ব্যক্তি, অন্যদিকে তার স্বার্থপর ভাই দিবে। এই দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় শিক্ষার অবস্থা এবং ব্যক্তিগত লড়াইয়ের একটি রূপক চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিচারের অন্তরাল: প্রত্যাশা ও প্রশ্ন
আইনের দেবীর চোখের পট্টি খুলে গেলেও আইনের দৃষ্টি আদৌ সক্রিয় কি, সন্দেহ সেখানেই
কবিতায় প্রেমে, প্রতিরোধে শাশ্বত
আধুনিকতাকে কাটিয়ে কবি এরিখ ফ্রিড প্রবেশ করেছেন উত্তরাধুনিক চিন্তার আনাচেকানাচে।
অল উই ইমাজিন অ্যাজ় লাইট
ছবিটি হয়তো অসামান্য নয়। কিন্তু এ ছবির একটি হৃদয় রয়েছে, যা আলো জ্বেলে যায় দর্শকের চেতনায়।
নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল আর সমরেশ
কাঁঠালপাড়ার চাটুজ্যেবাড়ির ভোজপুরী দারোয়ানের কথা মনা বেদের জবানিতে তুলে এনেছিলেন সমরেশ তাঁর জগদ্দল-এ। এই মনা বেদেরাই সময়ের ভ্রুকুটিকে হেলায় অস্বীকার করে হয়ে উঠেছিলেন সমরেশের অতি আপনজন।
ট্রাম্পের জনমোহিনী নীতি এবং বিজ্ঞাপনী স্লোগান
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে অত্যাচার চলছে, সে সম্পর্কে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে এ রকম কখনওই হত না। বাইডেন প্ৰশাসন বাংলাদেশের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন, এখন ট্রাম্প সেই অর্থে কাটছাঁট করতেও পারেন।
পাটিয়ালার শিল্পবাসনার সন্ধানে
পাটিয়ালা রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় জন্ম নিয়েছিল এক মিশ্র রীতির চিত্রধারা। সমালোচকদের ভ্রুকুটি অনুসরণ করে তার সন্ধানে এক জিজ্ঞাসু পরিক্রমার বৃত্তান্ত।
মনোজ মিত্র (১৯৩৮-২০২৪)
“আমি তো আর রবীন্দ্রনাথ-শেক্সপিয়রগিরিশচন্দ্র-ব্রেশট-দারিও ফো-কে পাব না, কাছে যদি পেয়েছি মনোজকে, প্রযোজনার স্বার্থে সুবিধেটুকু আদায় করে নেব না কেন?”