একটি মানুষ লাশ হবে আজ রাতে। বলা ভাল, রাতে খেয়েদেয়ে ঘুমোতে গিয়ে আর উঠবে না। এই ভয়ঙ্কর রাক্ষসের দেশ ছেড়ে চলে যাবে। কখন কী ভাবে কেমন করে, সে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কেউ থাকবে না। দু'দণ্ড শান্তি কিংবা একমুঠো আনন্দ দেবে বলে এই দেশে এনেছিল যারা, তারাও কথা রাখেনি, তাই চলে যাওয়ার আগে বলে যাওয়ার দায়ও সে অনুভব করে না। সে যা অনুভব করে, সেই দমচাপা অনুভূতিটাও কাউকে বলতে পারে না। বলতে বোধহয় চায়ওনি। পরদিন সকালের কাজকর্ম বাড়ির লোকেরা সম্পূর্ণ করবে কিংবা দু'বার চায়ের পাট চুকে যাবে, তখন হয়তো চায়ের আড্ডায় পলাশের কথা মনে পড়লে পলাশের খোঁজ করা হবে। যে-শিশুটা ওকে প্রথম বাবা বলে ডেকেছিল, শুধু সেই শিশুটাকে পাঠানো হবে তার বাবাকে জাগিয়ে তোলার জন্য। এই শিশুই তার বাবার কাছ থেকে গতকাল রাক্ষসের দেশ ছাড়িয়ে জন্নতের নদী দেখানোর মতো একটা দুর্দান্ত প্রতিশ্রুতি আদায় করেছিল।
এর পর মৃতের বাবা মহিদুল ভীষণ বিরক্ত হয়ে ওর মাকে বলবে, “নবাবি ছেলে নিজের কাজকর্ম ছেড়েছুড়ে এখনও বিছানায় পড়ে! এতে কি দুনিয়া চলবে!”
কথার ঠেস যে ঘরের বউ, সে কথা বুঝতে অসুবিধে হয় না জশিলার। জশিলা খাতুন থেকে জশিলা বিবি হয়েছে বছর দশেক হয়ে গেল। এখন সে তিন ছেলের মা। এত দিনে সংসারের সবার চাহিদা বুঝেছে। সেই অনুযায়ী ঘরের কাজ করে, মন জুগিয়ে কথা বলে, ফাইফরমাশ খাটে, ঠিকঠাক সব কিছু জুগিয়েও দেয়। পরিশেষে সে তার শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদ-স্বামী সবাইকে এক রকম ভয়ই করে কিংবা সমীহ করে। তাই তার শয্যাসঙ্গী যখন বহুক্ষণ ধরে বিছানা কামড়ে পড়ে থাকে, তখনও সাহসী হয়ে বলতে পারে না, ঘটে যাওয়া ঘটনার শুধু প্রত্যক্ষদর্শী সে নয়, একজন অবহেলিত জীবও বটে। মহিদুল অধৈর্য এবং রাগের মিশেলে ঘুমন্ত ছেলের পাছায় কষে লাথি মারার উদ্দেশ্যে দ্রুত পলাশের বেডরুমের দিকে এগিয়ে যায়। ঠিক আগের রাতের সীমান্তে, অদূরে খন্দে ভরা মরা নদীতে আগুনে হলকাগুলো আশপাশের অন্ধকারকে যখন ঝলসে দিচ্ছিল, আর ভয় পাওয়ানো বোমা ফাটার বিকট শব্দে ভোরের শিরশিরে হাওয়া কেঁপে কেঁপে উঠছিল, তখনই পলাশ জেগে ওঠে। দ্রুত বারান্দায় এসে ত্ৰস্ত চোখে পুব আকাশের দিকে চেয়ে অস্থির ভাবে পায়চারি করে। দেখে, গুটিকয়েক দিনচরা পাখি আর্তস্বরে চরাচরে বেঘোরে বিক্ষিপ্ত উড়ে আসে। ওরা সব ভিতু।
Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
শিখিয়েছে কে? উন্নতির পথ দেখিয়ে দিয়েছে কে? তুমি।”
সমরেন্দ্রর জীবনাবসানের পর, প্রযুক্তি আর মানুষের সম্পর্ক নিয়ে এক মনস্তাত্ত্বিক যাত্রা। পেশাদারি অ্যাপ, আধুনিক শ্মশানসেবা, আর মানবিকতার দ্বন্দ্ব এই গল্পের মূল সুর। জীবনের শেষে, সম্পর্কের হিসেব কি আসলেই মুছে যায়?
রবীন্দ্র-অনুবাদে অনুভবী স্বর
উইলিয়াম রাদিচের জীবন এক ভাষাপ্রতিভার জ্বলন্ত উদাহরণ, যার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকে বিশ্ব সাহিত্যে প্রতিষ্ঠার দৃঢ় সংকল্প ছিল। তাঁর অনুবাদ কর্ম এবং সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মানবতার স্পর্শ রেখে গেছেন।
দাপট বাড়ছে হিন্দির
মাতৃভাষা না-জানা যে সবচেয়ে বড় অশিক্ষা, এই সহজ সত্যটুকু বাঙালি ভুলতে বসেছে।
শিশুমনস্তত্ত্ব ও ভিন্ন দৃষ্টির ইতিহাস
দু'টি ভিন্নধর্মী প্রযোজনা। একটি শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে ছোটদের নাটক, অন্যটি ইতিহাসনির্ভর।
রোবট
সমরেন্দ্রের ছেলে, অনুপম, বিদেশে থাকলেও প্রযুক্তির মাধ্যমে তার বাবা-ছেলের সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখে। তবে, পুরনো দিনের স্মৃতির মাঝে সমরেন্দ্র নিজের পছন্দে জীবন কাটাতে চান, আর অনুপম তার বাবার প্রতি চিন্তিত হলেও, আধুনিক দুনিয়ায় ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করছে।
সুখের লাগিয়া
বইটি রচনার নেপথ্যে আছে লেখকের জীবনের অনেক দুঃসহ অভিজ্ঞতা ও তা থেকে বেরিয়ে আসার স্মৃতি। জীবন সংগ্রামের হতাশায় যারা ন্যুব্জ, তাদের ভরসা দেবে সেই আশায় লেখা হয়েছে এই বই।
আবু এব্রাহামের কার্টুন: দ্বিবিধ বাস্তব
এই প্রদর্শনীতে দর্শক হাঁটতে থাকেন ইতিহাসের বিবিধ উত্তাল দশকের স্মৃতিচিহ্নের মধ্য দিয়ে।
আবেগের স্মারকলিপিকার
শতবর্ষে রাজ কপূর। যতটা বিতর্কিত, ততটাই জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তাঁর ভূমিকার যথার্থ মূল্যায়ন এই সময়ে অতি জরুরি।
ক্রান্তিকালের অভিজ্ঞতালব্ধ লেখকসত্তা
চলতি বছরের শেষ মাসের প্রথম সংখ্যা সমরেশ বসুর সাহিত্য-জীবন ও বিবিধ কর্মের এক জীবন্ত দলিল। ছ'টি লেখাই সুপাঠ্য। ‘কালকূট' ছাড়াও সমরেশ বসু 'ভ্রমর' ছদ্মনামে বারোটি উপন্যাস লিখেছিলেন ১৯৭৫-১৯৮৫ পর্যন্ত। সমরেশ বসুর শতবর্ষে ‘ভ্রমর’ বিষয়ে কিছু কথা থাকলে ভাল হত।
বিশ্বাসভঙ্গের রাজনীতি
মণিপুরের যথার্থ পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে কথা না-বললে সমাধান অসম্ভব।