আত্মনির্ভর থেকে জোটনির্ভর
Desh|June 02, 2024
তারপর খোঁজ শুরু হবে এক তরুণ মোদীর, যিনি ঈশ্বর প্রেরিত অর্থাৎ 'নন-বায়লজিক্যাল' না হয়ে হবেন 'লজিক্যাল' এবং সংবিধানের ও সঙ্ঘের পারস্পরিক ভারত ধারণা প্রতিযোগিতায় রত থাকবেন আগামী দিনে।
সু মি ত মি এ
আত্মনির্ভর থেকে জোটনির্ভর

এই প্রবন্ধ যখন লিখতে শুরু করেছি, ৫ জুন, তখন যে-ভবিষ্যৎটি অস্বচ্ছ তা হল, সাধারণ নির্বাচন সমাপ্তির পর নরেন্দ্র মোদীই কি আবার ফিরে আসছেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে? তাঁকে কি সরকারের নেতা হিসেবে মেনে নেবেন সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট এনডিএ-র প্রধান নেতারা, যেমন তেলুগু দেশম পার্টির সর্বাধ্যক্ষ নারা চন্দ্রবাবু নায়ডু বা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর কর্ণধার নীতীশ কুমার? মেনে নেবে খোদ ভারতীয় জনতা পার্টি, যাকে ‘আগলি বার চারসো পার' বুলি দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন মোদী এবং সেই সুযোগে তাঁর দোসর গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ ইচ্ছামতো বিতরণ করেছেন দলের মনোনয়ন? পাঠকের জ্ঞাতার্থে জানাই, কে হবেন এবারের প্রধানমন্ত্রী তা জানার জন্য আমার কাছে অপেক্ষা করার মতো সময় নেই, কারণ ছাপাখানার তাগাদা। তা ছাড়া এই প্রবন্ধের বিষয়ও ভিন্ন। তা হল, মোদীর মতো মানুষের পক্ষে কি সত্যই সম্ভব একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-থাকা সত্ত্বেও কোনও কোয়ালিশন সরকারে সকলের সঙ্গে মিলেজুলে কাজ করা?

এক কথায় উত্তর, না। যারা গত তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারের পরিচালক রূপে (২০০১-এ গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী ও ২০১৪ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী) তাঁর কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাঁরা স্বীকার করবেন, মোদী এমন কোনও নির্বাচন লড়েননি যেখানে তিনি লাভ করেননি একক গরিষ্ঠতা। শুনেছি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি কাজ করতেন একাকী তাঁর দফতর থেকে, যা গান্ধীনগরে পরিচিত সিএমও নামে। সেকালের এক বিশিষ্ট আমলার মুখে শুনেছি, ২০০২ সালের গোধরা অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, যার ফলে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, চলাকালীন রাজ্য মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক প্রায় হয়ইনি। দরকার হলে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রী বা অফিসারদের ডেকে পাঠাতেন সিএমও-তে। একই অভিজ্ঞতা দিল্লিতে গত দশ বছরে সচিবকুলের। যাঁদের অটলবিহারি বাজপেয়ী বা মনমোহন সিংহ-র কালের স্মৃতি এখনও আছে তাঁরা বলেন, তখন ক্যাবিনেট বৈঠক কখনও কখনও তিন-চার ঘণ্টা ধরেও চলেছে। কিন্তু মোদীর আমলে যেমন বৈঠকের স্বল্পতা তেমন তার দৈর্ঘ্য। বস্তুত গত এক দশক যাবৎ কেন্দ্রে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণই হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও কেন্দ্রিক। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হয়ে গুজরাত থেকে দিল্লিতে এসে নৃপেন্দ্র মিশ্রই হয়ে ওঠেন সরকারের মধ্যমণি, এবং এক অর্থে মন্ত্রীদের চেয়েও ক্ষমতাবান।

Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

Bu hikaye Desh dergisinin June 02, 2024 sayısından alınmıştır.

Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.

DESH DERGISINDEN DAHA FAZLA HIKAYETümünü görüntüle
কবিতার খাতা
Desh

কবিতার খাতা

দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।

time-read
8 dak  |
January 02, 2025
কলের গাড়ি
Desh

কলের গাড়ি

এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
উপেনবাবুর মেয়ে
Desh

উপেনবাবুর মেয়ে

গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।

time-read
10 dak  |
January 02, 2025
ভালবাসার গল্প
Desh

ভালবাসার গল্প

বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।

time-read
9 dak  |
January 02, 2025
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
Desh

তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন

জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।

time-read
4 dak  |
January 02, 2025
সুখলালের কিস্সা
Desh

সুখলালের কিস্সা

সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
১৯৬৪
Desh

১৯৬৪

শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।

time-read
10 dak  |
January 02, 2025
রক্ষক
Desh

রক্ষক

আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।

time-read
10+ dak  |
January 02, 2025
ফুলের তোড়া
Desh

ফুলের তোড়া

বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”

time-read
9 dak  |
January 02, 2025
সমাজের শিকড়ে
Desh

সমাজের শিকড়ে

মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।

time-read
5 dak  |
January 02, 2025