বইটি নকশালবাড়ি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ, প্রধান কারিগর ও তাত্ত্বিক চারু মজুমদারের (১৯১৯-১৯৭২) একটি তথ্যনিষ্ঠ জীবন-আলেখ্য। যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে, প্রচুর পরিশ্রম করে লেখক এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন। তথ্যের সিংহভাগ অংশ হল চারু মজুমদারের নিজস্ব রচনা এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের স্মৃতিতে উঠে আসা তাঁকে নিয়ে নানা ভাবনা। ফলে পাঠক দু'টি বিষয় সম্পর্কে অবহিত হন। একটি হল চারু মজুমদারের যাঁরা মন্ত্রশিষ্য ছিলেন, তাঁরা তাঁকে কী চোখে দেখতেন। অপরটি হল পরবর্তী সময়ে তাঁর অনুগামীদের মধ্যেই যাঁরা তাঁর রাজনৈতিক লাইনের বিরোধিতা করলেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
দুই মলাটে বন্দি চারু মজুমদারের এই রাজনৈতিক জীবনবৃত্তান্তে যে বিষয়গুলি প্রাধান্য পেয়েছে তার অনেকটা আমাদের জানা। এক ঝলকে তাঁর বিপ্লবভাবনার মূল কথাগুলো এরকম: সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও মতাদর্শগত সংগ্রাম জারি রেখে তার বিকল্প হিসেবে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে। এই সংশোধনবাদ আন্তর্জাতিক স্তরে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল ১৯৫৬ সালে অনুষ্ঠিত সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির বিংশতিতম কংগ্রেসে। তার বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মাও ৎসে দং-এর সশস্ত্র কৃষিবিপ্লবের ধারণা এবং সেটিই হল বর্তমান সময়ে শ্রেণিসংগ্রামের শ্রেষ্ঠ অভিব্যক্তি। তাই চিন বিপ্লবের পথই ভারতের পথ, চিনের চেয়ারম্যান হয়ে দাঁড়ান আমাদের চেয়ারম্যান, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি প্রশ্নাতীত আনুগত্য প্রদর্শন করাটাই একজন বিপ্লবীর অবশ্যপালনীয় কর্তব্য হিসেবে গণ্য করতে হবে। এই পথেই আসবে ভারতবর্ষের শোষিত জনগণের বন্ধনমুক্তি।
Bu hikaye Desh dergisinin 02 July, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin 02 July, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
বিশ্বাসভঙ্গের রাজনীতি
মণিপুরের যথার্থ পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে বসে কথা না-বললে সমাধান অসম্ভব।
দেখি ফিরে ফিরে
বামপন্থী ইন্টেলেকচুয়াল, নাক উঁচু প্রগতিশীল মহল থেকে সেই বার্তা রটি গেল ক্রমে যে, বিবর শুধু অশ্লীল নয়, সাহিত্য-সমাজের জন্য অতি ক্ষতিকর। অতএব এই বই বর্জন, এই বই যে-পড়বে তাকেও বর্জন! তবে শুধু বর্জন নয়, অন্যদিকে প্রশংসাও ছিল।
মুক্তিপণ
শহরটা এই দিকটায় বেড়েছে কম।
সমরেশ বসুর সন্ধানে
‘কালকূট’ ছদ্মনামে সমরেশ বসু লিখলেন দীর্ঘ উপন্যাস কোথায় পাবো তারে। সে-ই উপন্যাসে পুরনো ঢাকার একরামপুর, নারিন্দার পুল, ডালপট্টি, দোলাইখাল, কলুটোলা, সূত্রাপুর বাজার, দোলাইখালের ওপর লোহারপুল আর গেণ্ডারিয়ার কথা আছে। বুড়িগঙ্গার কথা তো আছেই।
বিধ্বংসী পৌরুষের ভাষ্যকার
সমরেশ বসুর \"বিবর,\" \"প্রজাপতি,\" এবং \"পাতক\" উপন্যাসের অনামা নায়কদের মাধ্যমে বিষাক্ত পৌরুষের গভীর দিকগুলি উন্মোচিত হয়েছে। নারীর শরীরের উপর আধিপত্য, আগ্রাসী আচরণ, এবং সমাজের তৈরি পৌরুষের ছাঁচে পুরুষ-নারীর সম্পর্কের জটিলতা—সবই এই উপন্যাসগুলিতে জীবন্ত। আজকের টক্সিক ম্যাস্কুলিনিটির আলোচনার সঙ্গে এই চরিত্রগুলি যেন আরও প্রাসঙ্গিক।
যে-হাতের খোঁজ মেলেনি
গামার চোখে স্তালিনের প্রতিকৃতি কেবল একজন নেতার ছবি নয়; তা ছিল সাম্য, সংগ্রাম ও স্বপ্নের প্রতীক। এই আখ্যান বস্তির নিঃশ্বাসহীন ঘর থেকে বিপ্লবের মশাল জ্বালানো এক সাধারণ মজদুরের অসাধারণ গল্প।
টিকিট
এই গল্পটি একটি দূর গ্রামীণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য যোগ দেওয়া একজন হেডমাস্টারের অভিজ্ঞতা নিয়ে। তিনি গ্রামে এসে স্কুলের অবস্থান ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে গিয়ে স্থানীয় চরিত্রদের বিভিন্ন রকম আচরণ, হাস্যরস, এবং বাস্তব চিত্রের সম্মুখীন হন। একদিকে নীহারবাবুর মতো মহৎ ব্যক্তি, অন্যদিকে তার স্বার্থপর ভাই দিবে। এই দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় শিক্ষার অবস্থা এবং ব্যক্তিগত লড়াইয়ের একটি রূপক চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিচারের অন্তরাল: প্রত্যাশা ও প্রশ্ন
আইনের দেবীর চোখের পট্টি খুলে গেলেও আইনের দৃষ্টি আদৌ সক্রিয় কি, সন্দেহ সেখানেই
কবিতায় প্রেমে, প্রতিরোধে শাশ্বত
আধুনিকতাকে কাটিয়ে কবি এরিখ ফ্রিড প্রবেশ করেছেন উত্তরাধুনিক চিন্তার আনাচেকানাচে।
জলবায়ুর কথা ভাবছে কে? রাজনীতির অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক ক্ষমতায়ন প্রবেশ করেছে পরিবেশ-ভাবনার বিভিন্ন দিক ও উন্নয়নে।
প্যারিস চুক্তিতে সই করা দেশগুলোর আলোচনার ভিত্তিতেই জাতিসংঘের তত্বাবধায়ক একটি সংস্থা পূর্বেই বসে ঠিক করেছিল কার্বন অপসারণ ও মূল্যায়ন প্রকল্পের মান কীভাবে নির্ধারণ করা হবে।