তবুও মানব থেকে যায়

মানুষের মৃত্যু হ'লে তবুও মানব থেকে যায়; অতীতের থেকে উঠে আজকের মানুষের কাছে প্রথমত চেতনার পরিমাপ নিতে আসে। -জীবনানন্দ দাশ
শেষ নিঃশ্বাসের পর আর কোনও শ্বাস নেই। জানি। তবুও সকালে হঠাৎই যখন তাঁর মৃত্যু সংবাদ এল, মনে হল, খবরটা মিথ্যা হওয়ার কি কোনও সম্ভাবনাই নেই!
তাঁকে আমি দেখছি প্রচণ্ড প্রতিকূলতার মধ্যেও অচঞ্চল। এ রাজ্যে যুব আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক কালপর্বের নেতা ছিলেন বলে কিনা জানি না, তাঁর চিন্তার তারুণ্যের আকর্ষণ ছিল অনিবার্য। বয়স তাঁর হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তিনি কখনই অতীতচারণা-সর্বস্ব হননি। এক বিরল প্রাণবন্ত গলায় আগামী দিনগুলির জন্য গত প্রায় দু'দশক ধরে তাঁর বলা কথাগুলি এখনও ইউটিউবে ভিড় করে আছে। পাম অ্যাভিনিউ-এর বাসার ছোট কামরায় চৌকির উপর একটু পাশ ফিরে শায়িত তাঁর প্রাণহীন দেহ দেখামাত্র মন ভরে উঠল একরাশ বিষাদে।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে মুখোমুখি আমি ‘বুদ্ধ দা' সম্বোধন করেছি বলে মনে করতে পারছি না। ২০০৬ সালের আগে তাঁর সঙ্গে সেভাবে কখনও কাজ করিনি। কথাবার্তাও যে খুব বেশি হয়েছে তেমন নয়। তাঁর সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরিচয়ের সূত্রপাত হয়েছিল ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর। ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরে প্রশাসনিক স্তরে আরও নিবিড় ভাবে কাজের সুযোগ মেলে। সেই কাজের অভিজ্ঞতা খুব দীর্ঘ মেয়াদী না হলেও সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে কাজের সেই দিনগুলি আমার জীবনে অবশ্যই এক দুর্লভ ও শিক্ষনীয় অভিজ্ঞতা। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সিপিআই (এম) নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সাহিত্যসেবী ও সংস্কৃতিমনস্ক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কোনও আলাদা আলাদা মানুষ ছিলেন না। সব মিলিয়েই তিনি ছিলেন বহুমাত্রিকতায় সজীব ও সংবেদনশীল ব্যক্তিত্ব। নিজস্বতায় ভাস্বর।
অস্বাভাবিক নয় যে, তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে কথায় কথায় মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া পরিসর উপছে পড়ছে। মূল্যায়নের ছোট বড় চেষ্টাও কম নয়। রাজ্যে প্রায় দু'দশক ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং এক দশকের উপর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তির জীবন তা হয়তো এড়াতে পারে না। তবে মূল্যায়নের জন্য সময়ের কিছুটা দূরত্ব লাগে। সঙ্গে হয়তো কিছুটা নৈর্ব্যক্তিকতাও। ভাবনাকে থিতু হতে দিতে হয়।
Bu hikaye Desh dergisinin August 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin August 17, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

পুলকেশীর রত্নভান্ডার
সবাই এসে ঘিরে ধরল ওকে। ছোটকাকা কলার ধরে তুলে আরও কয়েকটা কিল ঘুষি বসিয়ে দিল। মার খেতে খেতে পুলু দেখল ইভাকে। মেয়েটার চোখে খুনে চাহনি। ওকে কি সবাই মেরে ফেলবে!
পাশের বাড়ির মেয়ে
আমায় নাকি তাদের গাঁয়ের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের কেষ্ট ঠাকুরের মতো দেখতে। কোনও রসিক নাগর তাকে বাড়ি থেকে ভাগিয়ে এনেছিল। ক'দিন ফুর্তি-ফার্তা করে দালালের হাতে বিক্রি করে কেটে পড়েছে।

প্রত্যাবর্তন
সে মাছ নিয়ে বাজারে বসা শুরু করে। কেননা সে লক্ষ করেছিল বাজারে বেশ কিছু মাছওয়ালা সকালে লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে মাছ বেচলেও, বিকেলে গলায় বগলে পাউডার মেখে হেভি ড্রেস দিয়ে বাইকে চেপে ঘোরে।

হারানোর পরের খোঁজ
আত্মীয়স্বজনের কাছে মা হেরে যেতে যেতেও জিতে গেছে, মা তো এখনও সবাইকে বলে, ‘আমার মিতুন ওই পাষণ্ড ছেলেটার কাছ থেকে এক পয়সা নেয়নি। এই জন্য আমরা খেয়ে না-খেয়ে মেয়েকে পড়িয়েছি।'

ছবির নিসর্গ
কত্তামা চোখে আগুন ঢেলে বললেন, “যা তো এখান থেকে। শুধু ছুকছুক করবে।” বড়বৌকে বললেন, “দরজাটা বন্ধ কর তো মা। এই সব আর নিজের কাছে রাখব না। কার্শিয়াং থেকে এসে সব লকারে দিয়ে দেব।”

আলো থরথর, গৃহ প্রতিপক্ষ
সে এদিকেই আসেনি। মাঝে মধ্যে রাতে দরজা খুলে আলো জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে। বা সকালের আলোয় দেখেছে। দূর থেকে অবলোকন, না-গিয়ে। আজ মুখোমুখি হচ্ছে সে, মাতৃযোনিসদৃশ এক গহ্বরের।

মাত্রা ছাড়ানো দুর্নীতির পরিণতি
সীমাবদ্ধ দলীয় ভাবনার উপরে উঠে ভাবার সময় এসেছে। না হলে এ-রাজ্যে শিক্ষার মানের উপর আস্থা থাকবে না।

নদীর ছায়া
চেহারায় অদ্ভুত এক আবেদন রয়েছে, পড়ন্ত যৌবনের এক শান্ত দিঘি মনে হচ্ছে ওকে, একবার ডুব দিলেই নিস্তরঙ্গ জল আলোড়নে অস্থির হয়ে যাবে। বিপাশার আকর্ষণ তাকে টেনে নিয়ে এসেছে এখানে।

পদাঘাতের আমরা-ওরা
দুর্নীতির কবলে শিক্ষা। শিক্ষকরা প্রহৃত, লাথি মারছে পুলিশ। কবি ব্যস্ত লাথির তুলনায়।

সিঁড়ি
মুন্নাজ্যাঠার বগলে বালিশ বিছানা। আর কাঁধে কাঠের বাক্স। দোতলার বারান্দা থেকে দেখেছিল মোহনা। তারপর অসহায় আক্রোশে কাঁদতে শুরু করেছিল। হারমোনিয়ামটা থেকে গিয়েছিল মোহনাদের ফ্ল্যাটে।