ট্রামের কফিনে শেষ পেরেক

রাষ্ট্রীয় নীতি ভ্রান্ত বা বিভ্রান্ত হলে একটি পরিবহণ সংস্থার জান কড়া হলেও যে মৃত্যু এড়ানো যায় না, তার উদাহরণ কলকাতার ট্রাম। কলকাতায় প্রথম ঘোড়ায় টানা ট্রাম শিয়ালদহ এবং আর্মেনিয়ান ঘাট স্ট্রিটের মধ্যে ২.৪ মাইল (৩.৯) কিমি ছুটেছিল ১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি। সেই পরিষেবা অবশ্য ওই বছরেরই ২০ নভেম্বর বন্ধ হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক ট্রাম চলা শুরু হয় ক্যালকাটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সিএমসি)-এর সঙ্গে ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ কোম্পানি (সিটিসি)-র ১৮৭৯ সালের এক চুক্তির ফলে। অবিভক্ত বাংলার বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ অ্যাক্ট, ১৮৮০' ওই ১৮৭৯-র ২২ ডিসেম্বর লন্ডনে গঠিত এবং নিবন্ধিত কোম্পানিকে একুশ বছরের অঙ্গীকারবদ্ধ মেয়াদ দেয়। কিন্তু সেই সময় শেষ হলে যখন সিএমসির কাছে সুযোগ আসে তাকে অধিগ্রহণ করার, তখন সিএমসি তার সুযোগ না নিয়ে বরং ‘ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ অ্যাক্ট, ১৯০০'-র মাধ্যমে এই অঙ্গীকারপত্র আরও ত্রিশ বছর বাড়িয়ে নেয়। নতুন চুক্তিপত্রে ত্রিশ বছরের শেষে স্থিরীকৃত ক্রয়মূল্য ছিল চুক্তিকাল শেষের আগের সাত বছরের মোট আয় এবং মোট কার্যব্যয়ের পার্থক্যের পঁচিশ গুণ। আরও ঠিক হয় যে, ১৯৩১-এর ১ জানুয়ারি, অথবা তার পরে প্রতি সাত বছর পরপর এক বছরের আগাম নোটিসের ভিত্তিতে সিএমসি ট্রামওয়েজ়কে অধিগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত কলোনিয়াল প্রদেশ সরকার সিএমসিকে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়নি।
Bu hikaye Desh dergisinin March 17, 2025 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Desh dergisinin March 17, 2025 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

আজও সমকালীন
নাটকের সংলাপে আবেগনির্ভর দীর্ঘ স্বগতোক্তি, এলিজাবেথীয় যুগের ইংরেজি নাটকের সংলাপ মনে পড়িয়ে দেয়। প্রকৃতির প্রতিশোধ-এ নাটক রচনায় রবীন্দ্রনাথের ভাবনা আরও স্পষ্ট চেহারা নেয় রাজা ও রাণী ও বিসর্জন নাটকে। এর পরে তিনি যখন মালিনী লেখেন তখন তাঁর নাটকে শেক্সপিয়রের একটা প্রচ্ছন্ন প্রভাব দেখা যায়।

গভীর সত্যের সংলাপ
রক্তকরবী নিয়ে লিখতে বসে একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে প্রথমে কেন এই গল্পটাই মনে এল, আপনারা নিশ্চয়ই তা আন্দাজ করতে পারছেন। দর্শক বা পাঠক যে পরিবেশে আছেন, যে কোনও মহৎ নাটকের মতো রক্তকরবী-ও সেই পরিবেশটা ছেঁকে নিয়ে সেই মতো মানে তৈরি করতে পারে।

আত্মপ্রতারক
ছেলেবেলার দুঃসহ অভিজ্ঞতা আমাকে গড়ে তুলেছিল সংযমী, আত্মনিয়ন্ত্রণে দক্ষ এক মানুষে—যে নিজেকে চরিত্রবান রাখতে শিখেছে সব লোভ ও মোহের ঊর্ধ্বে। কিন্তু সেই সংযমের আড়ালেই চাপা ছিল এক আনচান করা আকাঙ্ক্ষা, যা আমাকে একসঙ্গে গর্বিত ও অপরাধবোধে জর্জরিত করেছে।

অবতরণের রাজনীতি
কোম্পানি যখন ইলন মাস্কের, প্রশাসনে যখন ট্রাম্প, তখন বিষয়টি কেবলমাত্র মহাকাশ গবেষণায় সীমাবদ্ধ থাকে না।

এক প্রতিবাদী-স্বপ্নের মাস্তুল
বাংলায় একবিংশ শতকের প্রথম দশকেও ছিল নানা অস্থিরতা। বাম শাসনের শেষ পর্ব এবং দরজায় অপেক্ষমাণ অধীর বিরোধীরা। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও অভিযোগের উত্তর-প্রত্যুত্তরে বাতাস ভারী। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের জন্য।

জানালায় পৃথিবী
অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সহযোগী। মহাকাশ অভিযানও স্পর্শ করল এক ইতিহাস।

ধূমায়িত চায়ের কাপ
হেমন্তের কুয়াশায় চা-কাপ হাতে দামিনী, উষ্ণ স্মৃতি আর শীতল বাস্তবের মাঝে ঝিমিয়ে থাকা দুই নারী। চায়ের ধোঁয়ায় ভেসে ওঠে অগোচরে জমে থাকা কথা, চাওয়া-পাওয়ার হিসেব, আর জীবনের অদেখা কষ্ট।

যক্ষপুরী-নন্দিনী-রক্তকরবী
রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ নাটকের রয়েছে বহু পাঠান্তর ও স্তরভিত্তিক রূপান্তর, যা তাঁর সৃষ্টিশীল গভীরতার সাক্ষ্য। নাটকটি শুধুই নাট্য নয়—এ এক দীর্ঘ ভাবনার যাত্রা, যেখানে যক্ষপুরী, নন্দিনী থেকে রক্তকরবী হয়ে উঠেছে মানবতার প্রতীক।

অতলস্পর্শ
নেড়ুদা আমার অভিভাবক, গাইড, আর অস্ত্র—চন্দননগরের ছায়াসঙ্গী। আমি বাপ্পি, যুদ্ধে জন্মানো, বিশ্বাসে গড়া এক অনাথ সৈনিক।

অভিব্যক্তির স্বাতন্ত্র ও নব আঙ্গিক
আলোচ্য প্রদর্শনীতে তিনজন শিল্পীর কাজে সাম্প্রতিক শিল্পআবহের একটি স্পষ্ট আভাস প্রকাশিত হয়।