অন্ত্রের ক্যান্সার দূরে রাখবে ৮ চামচ ইসবগুল!

কিছু কিছু গবেষণার পর্যবেক্ষণ বলছে, টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ হয়ে যায় নিয়মিত ভুসি সেবন করতে পারলে।

শুধু বয়স্ক নয়, সব বয়সের লোকই ইসবগুল বা ভুসি খেতে পারেন। কারণ, ইসবগুল হল কনসেনট্রেটেড ডায়েটরি ফাইবারের একটা অংশ। সুতরাং খাবারদাবারের সঙ্গে আমরা যে ফাইবার খাই, সেই ফাইবারই হল ইসবগুল। এর কিন্তু কোনও পুষ্টিগুণ নেই। সবটাই ফাইবার। ফাইবার মল তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে মলের মাধ্যমে সমগ্র ফাইবারই শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। প্রশ্ন হল, উপযুক্ত মাত্রায় ডায়েটরি ফাইবার থাকে কোন কোন খাদ্যে? সহজ উত্তর হল শাকসব্জি ও ফলে। অথচ আধুনিক জীবনে গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে আমরা শাকসব্জি ও ফল খাওয়ার সুযোগ পাই না। সেক্ষেত্রে খুব সহজেই • ডায়েটরি ফাইবার মিলতে পারে ভসি থেকে।

কারা খেতে পারেন না? খুব অল্প লোকই আছেন, যাঁরা ইসবগুল খেতে পারেন না। স্ট্রিকচার আছে এমন ব্যক্তিরা ভুসি খেতে পারেন না। প্রশ্ন হল স্ট্রিকচার কী? অস্ত্র বা নাড়িভুঁড়ির মধ্যে কোনও অংশে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে ওই অংশটি সরু হয়ে গেলে ভুসি সেবন উচিত নয়। স্ট্রিকচার নানা কারণে তৈরি হতে পারে। ক্যান্সার বা টিউমারের কারণে এমন হতে পারে। ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিজিজ-এর মতো পরিস্থিতি যেমন ক্রোনজ ডিজিজ, টিউবারক্যুলোসিস, অপারেশনের কারণেও এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন ছোটখাট দুই-একটি পরিস্থিতি ছাড়া বাকি সকলেই ভুসি খেতে পারেন।

প্রশ্ন হল, অন্ত্রের কোনও অংশ সরু হয়ে গিয়ে থাকলে তা একজন ব্যক্তি বুঝবেন কীভাবে? তিনি যদি না জেনে ভুসি খেয়ে ফেলেন? আসলে এই ধরনের অসুখ একদিনে তৈরি হয় না। তাছাড়া স্ট্রিকচার থাকলে যে কোনও খাদ্য খাওয়ার পরেই রোগীর শরীরে কোনও না কোনও লক্ষণ দেখা দেবেই। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পরেই বমি হওয়া, পেটে অত্যন্ত ব্যথা হওয়ার মতো উপসর্গ তৈরি হয়। ফলে এমন ধরনের রোগ থাকলে তা রোগীকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। রোগ অনেক আগে ধরা পড়ে যায়। তাই না জেনে ইসবগুল খেয়ে ফেলার ঝক্কিও থাকে না।