কখন করাবেন নি রিপ্লেসমেন্ট?

নি রিপ্লেসমেন্টএর প্রধান উদ্দেশ্য হল, ব্যথাহীনভাবে রোগীর চলচ্ছক্তিহীন জীবনের গতি ফিরিয়ে আনা।

আ -মাদের অনেকের ধারণা হাঁটুতে | বাত বা অস্টিওআর্থ্রাইটিস হলে নি রিপ্লেসমেন্ট করাতে হয়। প্রশ্ন হল, অসুখ ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছালে হাঁটু প্রতিস্থাপন করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়? কাদের রিপ্লেসমেন্টের দরকার পড়ে? এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে দেখে নেওয়া যাক অস্টিওআর্থ্রাইটিস অসুখটি আসলে কী?

নি অস্টিওআর্থ্রাইটিস হাঁটুর বাতকে দু’টি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রাইমারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং সেকেন্ডারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস।

প্রাইমারি অস্টিওআর্থ্রাটিস গাড়ি চললে যেমন টায়ারের ক্ষয় হয়, তেমনই বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে অস্থিসন্ধিরও ক্ষয় হয়। হাঁটুতে ব্যথা শুরু হয়। নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায়। এই সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে প্রাইমারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস। এই সমস্যা কারও বেশি হয়, কারও কম হয়। কারও আগে হয়, কারও পরে হয়। অর্থাৎ একটা বয়সের পরে অস্টিওআর্থ্রাইটিস কিন্তু শুরু হবেই। মোটামুটি দেখা যায় পঞ্চাশোর্ধরা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যায় বেশি ভোগেন।

সেকেন্ডারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস সেকেন্ডারি আর্থ্রাইটিস আরও কম বয়সে হতে পারে। অর্থাৎ কোনও নির্দিষ্ট রোগের

কারণে আর্থ্রাইটিস দেখা দিলে হতে পারে সেকেন্ডারি অস্টিওআর্থ্রাইটিস। সেকেন্ডারি অস্টিওআর্থ্রাইটিসের পিছনে দায়ী থাকতে পারে লিগামেন্ট ইনজুরি বা পায়ের হাড় ভেঙে যাওয়া। সঠিকভাবে লিগামেন্টের চিকিৎসা না করা হলে দেহের ওজন সঠিকভাবে হাঁটুর উপর পড়ে না। দেহের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।

আবার ভাঙা হাড় সঠিকভাবে না জুড়লে বা অস্থিভঙ্গের সঠিক চিকিৎসার অভাবেও হাড়ের ত্রুটিপূর্ণ বৃদ্ধি হয়। এর ফলে দেহের ওজন সঠিকভাবে হাঁটুতে পড়ে না ও হাঁটুর দ্রুত ক্ষয়ে যেতে থাকে। জুভেনাইল আর্থ্রাইটিসও দ্রুত হাঁটুর বাত ডেকে আনতে পারে। মূলত জুভেনাইল রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কারণে এমন ধরনের সমস্যা দেখা যায় কারও কারও মধ্যে। ফলে ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যেই হাঁটুতে বাত তৈরি হয়।