আ -য়ুর্বেদে বর্ণিত সংস্কৃত শব্দ ‘আদ্রক’ বাংলা ভাষায় এসে হয়ে গেল ‘আদা’। ‘আদ্রক’ শব্দের অর্থ যা জিহ্বাকে আর্দ্র রাখে। আদাকে যখন বিশেষ প্রক্রিয়ায় শুকিয়ে আয়ুর্বেদে ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তাকে বলা হয় শুঁঠ বা শুণ্ঠী। বহু রোগহর গুণাগুণের জন্যই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আদাকে শ্রেষ্ঠ কন্দ ও মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। জানলে অবাক হবেন, চোদ্দোশো শতাব্দীতে এক পাউন্ড আদা আর একটি ভেড়ার দাম সমান ধরা হতো। আজও আদাকে একটি অত্যন্ত মহামূল্যবান দ্রব্য বলে মনে করা হয়, শুধুমাত্র এটির ঔষধি গুণ এবং রন্ধনমূল্যের জন্য। এই প্রবন্ধে আয়ুর্বেদ ও আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে আদ -ও শুঁঠের সাধারণ গুণাবলি ও রোগহর গুণের ব্যাপারে আলোকপাত করব।
কী বলছে আয়ুব্দে? ভাবপ্রকাশ নিঘণ্ট অনুসারে আদ্রক বা কাঁচা আদা-কটু রস যুক্ত, বিপাকে মধুর, রুক্ষ ও গুরু গুণযুক্ত, উষ্ণগুণধর্মী, বাত ও কফ দোষশামক একটি শ্রেষ্ঠ কন্দ। এটি ক্ষুধাগ্নি বৃদ্ধিকারক, কিন্তু হজমের ক্ষেত্রে গুরুপাক। তাই একটু সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে আদা খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া পিত্তদোষ প্রধান রোগ এবং গ্রীষ্ম ও শরৎ ঋতুতে আদার ব্যবহার আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অহিতকর বলা হয়েছে।
কাঁচা আদাকে অল্প আঁচে জল বা দুধে ফুটিয়ে শুকিয়ে নিলে বা চুন জলে ভিজিয়ে
রেখে হালকা রোদে শুকিয়ে নিলেই এটি শুঁঠ বা শুন্টিতে পরিণত হয়, যা আদার থেকে অনেক বেশি গুণযুক্ত এবং দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
এটিও আদার মতো কটু রস যুক্ত, বিপাকে মধুর, কিন্তু গুণে স্নিগ্ধ ও লঘু, উষ্ণগুণধর্মী, বাত ও কফ দোষশামক, কোষ্ঠবদ্ধতায় উপকারী, রুচিবর্ধক, বেদনানাশক ও আমনাশক। এটি লঘুপাক হওয়ায় হজমের সমস্যায় খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে সঠিকমাত্রায় শুঁঠ সেবনে কোনও বিধিনিষেধ নেই।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে যেসব রোগে আদা ও শুঁঠ ব্যবহার হয়, সেগুলি হলঅগ্নিমান্দ্য, অজীর্ণ, অতিসার, অম্লপিত্ত, অরুচি, পেটফাঁপা, আমবাত (রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস), আমাশয় শোথ (প্রদাহ), আমাশা, ইনফ্লুয়েঞ্জা (শ্লেষ্মক জ্বর), উদর রোগ, শীতপিত্ত, কফরোগ, কর্ণরোগ, কামলা (জন্ডিস),অর্বুদ, অর্শ, অশ্মরী (মূত্রপাথুরি), কাশি, গলাব্যথা ও গৃধ্রসী (সায়াটিকা) প্রভৃতি। এছাড়া গ্ৰহণী (আই.
Bu hikaye Sarir O Sasthya dergisinin December 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Sarir O Sasthya dergisinin December 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়