হোমিওপ্যাথিতে ত্বকের খেয়াল

পরামর্শে বিশিষ্ট | হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ রথীন চক্রবর্তী।

ত্বক শরীরের সবচেয়ে বড় ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ত্বক যেমন শরীরকে সুরক্ষিত রাখে, তেমন শরীরের নানা দূষিত পদার্থ এই ত্বক দিয়েই বাইরে বেরয়। ফলে ড্রেনেজ সিস্টেমে ত্বকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ত্বকের রোগকে মূলত দু’ভাবে ভাগ করা যায়। শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা সমস্যা থেকে ত্বকের উপর কোনও র‍্যাশ বা দাগ হতে পারে। আবার ত্বকের স্থানীয় সমস্যা অর্থাৎ ত্বকের নিজস্ব কোনও অসুবিধার কারণেও চামড়ার রোগ হতে পারে। তাই হোমিওপ্যাথির বিজ্ঞানে প্রথমেই বিচার করতে হবে অসুখের উৎস কোথায়। এর পর খেয়াল রাখতে হবে, ত্বকের কোথায় সমস্যাটি হয়েছে। শরীরের এমন কোনও জায়গায় যদি অসুখটি হয়, যেখানে ত্বকটি বারবার ঘষা খেতে থাকে তাহলে চিকিৎসকের সেইদিকটিও খেয়াল রাখা উচিত। শরীরের বিশেষ কিছু স্থান রয়েছে, যেখান থেকে অন্যান্য অসুখ বা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, মাথায় রাখতে হবে সেটিও।

সচেতনতার পাঠ রোগীভেদে ত্বকের ধরন এক এক রকম হয়। কারও ত্বক নরম, কেউ আবার শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। ত্বকের ধরন বিভিন্ন হয় বলেই কেউ ঋতুভেদে ছত্রাকজাত ত্বকের অসুখে ভোগেন, কেউ আবার ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে আক্রান্ত হন বেশি। কারও ত্বক রোদে সমস্যায় পড়েন, কারও ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়েন বর্ষায়। হোমিওপ্যাথি যেহেতু রোগী নয়, রোগের চিকিৎসা করে তাই যে কোনও ত্বকের অসুখের সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের অনেকর বেশি সচেতন হয়ে রোগ নির্ণয় করতে হয়। তবেই ওষুধ অব্যর্থভাবে কাজ করে। অনেক জটিল ত্বকের অসুখের সমাধানও হোমিওপ্যাথিতে আছে। স্কিন ইমিউনোলজি বাড়াতেও হোমিওপ্যাথি খুব কাজে আসে।