থাইরয়েডের বিপদ থাবা

থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়া মানেই কি শিয়রে দাঁড়িয়ে ডায়াবেটিস? কী কী খাবেন, কী কী বাদ? সবরকম জিজ্ঞাসার উত্তরে পিজি হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ শুভঙ্কর চৌধুরি।

থাইরয়েড একটি এন্ডোক্রিন গ্রন্থি। এই গ্রন্থি কখনও অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে গেলেও বিপদ, আবার কম সক্রিয় হয়ে পড়লেও সমস্যা। শরীরের অন্য যে কোনও অঙ্গের ক্ষেত্রে সমস্যা শুরু হওয়া থা মানে সেই অঙ্গটি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া। কিন্তু এন্ডোক্রিন গ্রন্থির সমস্যা তা অতিরিক্ত সক্রিয় হলেও সমস্যা হবে।

কেন বাড়ে টিএসএইচ আমাদের শরীর একটি নির্দিষ্ট নিগড়ে বাঁধা। সেটিকে যদি ‘অফিস ঘর’ ধরা হয়, তাহলে মস্তিষ্ক হল শরীরের ‘টপ বস’। বাকিরা কর্মী। অফিসে কর্মীর কাজে কোনও গাফিলতি যেমন ভালো বস সবসময়ই টের পান, শরীরের ক্ষেত্রেও মস্তিষ্ক সকলের আগে তা টের পায়। যেই মুহূর্তে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বাভাবিক পরিমাণে টিএসএইচ হরমোন ক্ষরণ করছে না, অর্থাৎ কাজে ফাঁক তৈরি হচ্ছে, সে তৎক্ষণাৎ এই হরমোনটি ক্ষরণ করার জন্য থাইরয়েড গ্রন্থিকে তাগাদা দিতে থাকে। সময়ের ভিতর কোনও কাজ শেষ করতে না পারলে অফিসের বস যেমন তাগাদা দিতে থাকেন, অনেকটা সেরকম। ফলে মস্তিষ্কের চাপে পড়ে থাইরয়েড গ্রন্থি পড়িমড়ি করে কাজ শেষ করতে গিয়ে বেশি পরিমাণে হরমোন ক্ষরণ করে। শরীরে টিএসএইচের মাত্রা বাড়ে।

কোন কোন লক্ষণে সাবধান থাইরয়েড হরমোন শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাকে সাহায্য করে। তাই টিএসএইচএর ক্ষরণ কমে গেলে তাকে বলে হাইপোথাইরয়েডিজম। তখন কিছু লক্ষণ শরীরে দেখা দেয়। যেমন• শরীরে ক্লান্তি বেড়ে যায়। • ঘুম ঘুম ভাব বেড়ে যায়। মুখে একটু ফোলা ফোলা ভাব থাকে। -