আলোর নয়, এ যেন রঙের ঝরনাধারা! যা ধুইয়ে দিচ্ছে আ হৃদয়ের আনাচে-কানাচে জমে থাকা ধুলোকে। জাগিয়ে দিচ্ছে ঘুমের জালে জড়িয়ে থাকা সুপ্ত প্রাণকে। প্রাণে জাগছে খুশির তুফান। এমন মন-মাতাল করা প্রকৃতি, রকমারি রঙের বাহার, প্রাণের স্পন্দনে হারিয়ে যাচ্ছে রুটিনবন্দি জীবনের রোজনামচা। নিখিলের আনন্দধারাই যেন বইছে শিরা-উপশিরায়।
পাহাড়, জঙ্গল, নদীর এমন মিশেল আগে চোখে পড়েনি। রঙের কতই না বাহার! ঘন সবুজ পাহাড়ের প্রতিফলন পড়েছে নদীতে। জল তাই সবুজাভ। উপরে নীল আকাশ। প্রতিফলনে কোথাও জলের রং নীল। রোদ পড়ে নদীর জল কোথাও আবার চিকচিক ঝলসাচ্ছে সোনার মতো। নীলচে-সবুজাভ জলের বুকে হলদেটে চর। তাতে একঝাঁক কমলা ঠোঁটের পাখি। সাদা-কালোয় মেশানো শরীর। নাম ইন্ডিয়ান স্কিমার্স। উদাত্ত প্রকৃতিতে তারা হয়ে উঠছে জীবনের প্রতীক। টগবগে প্রাণ না থাকলে প্রকৃতিও যে অসম্পূর্ণ!
টিকরপাড়ায় রঙের উৎসবে আমন্ত্রিতই লাগছিল নিজেকে। ঊর্ধশ্বাসে ছুটে চলার নিয়মে এমন রঙে রং মেশানোর হাতছানি কল্পনারও বাইরে। বড়সড় স্পিড বোটে তাই চলে এসেছি মহানদীর বুকে একেবারে চরের কাছে। হাতছোঁয়া দূরত্বে পাখিরা। ওরা অবশ্য পাত্তাই দিচ্ছে না বহিরাগতদের। নিজেদের জগতে মশগুল, ওদের মতো করেই। আপনমনে খেলছে, হাঁটছে, উড়ছে। হয়ে উঠছে প্রকৃতির অঙ্গ। ক্লিক, ক্লিক— ডিএসএলআর ক্যামেরায় শাটারের শব্দ অবশ্য অনর্গল। মুঠোফোনেও চলছে ভিডিও। একটা ফ্রেমও যেন অধরা না থেকে যায়। তবে মন-ক্যামেরায় বন্দি হওয়া মুহূর্তগুলোই সবচেয়ে সজীব। চিরকালের জন্য তা ঢুকে পড়ছে হৃদয়ের হার্ডডিস্কে। কোনও ক্যামেরারই সাধ্য নেই প্রকৃতি আর জীবনের মেলবন্ধনকে রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধভালোবাসা সমেত এভাবে ধরে রাখার !
অদ্ভু ত লাগছিল। আমাদের প্রতিদিনের চেনা জগতের সঙ্গে এখানের কী বৈপরীত্য! শহরের কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটতে ছুটতে সকাল থেকে মাঝরাত পেরিয়ে যায়। বেঁচে থাকার, প্রিয়জনদের বাঁচিয়ে রাখার সংগ্রামে আমরা প্রত্যেকেই নীরব যোদ্ধা। আকাশভরা সূর্যতারা, বিশ্বভরা প্রাণের মধ্যে স্থান পেয়েও তা উপলব্ধির মেলে না। লক্ষ্য টাঙিয়ে রেখে সারাক্ষণ চলে দৌড়নো। ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে কখন যে রোবট হয়ে উঠেছি, টেরই পাই না। অজান্তেই হারিয়ে যায় অনুভবের, উপলব্ধির মন।
Bu hikaye Sarir O Sasthya dergisinin October 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Sarir O Sasthya dergisinin October 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়