প্রাচীন ভারতবর্ষে সভ্যতার অঙ্গ এবং উচ্চ রূপবোধের পরিচায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল অসংখ্য শিল্পকীর্তি। সংখ্যায় ও উৎকর্ষে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ভাস্কর্য ও চিত্রকলা; বিশেষ করে এগুলোতে ফুটে ওঠা নারী চরিত্রগুলো। সেই যুগে সমাজে নারীর অবস্থান আর তাদের জীবনযাত্রার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি এই একেকটি শিল্পকর্ম। তাই এসব মূর্তি বা ছবিতে ভাস্করের দক্ষতা আর চিত্রকরের নৈপুণ্যই একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়, নারীর সামাজিক অবস্থান নির্ণায়কের উৎসও বটে। এমনকি ঠাহর করা যায় তাদের বসন-ভূষণ আর সাজসজ্জাও; যা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মহেঞ্জোদারোর নর্তকী-কন্যা, সিন্ধু সভ্যতার সমকালীন উর্বরতার দেবী, সাঙ্ঘোলের আসবপায়ী কন্যা থেকে শুরু করে কোণার্কের সূর্যমন্দিরের অপ্সরা, খাজুরাহোর সুরসুন্দরী, ভুবনেশ্বরের অলসকন্যা, বেলুর-হালেবিদের মদনিকার সাজসজ্জা ছুঁয়ে অজন্তা পর্যন্ত ।
ভাস্কর্যে ভাস্বর অপ্সরা, যক্ষিণী, প্রেক্ষণিকা, মদনিকা, দীপলক্ষ্মী, বৃক্ষকা, সুরসুন্দরী, অলসকন্যা, রতি, শালভঞ্জিকা ও নায়িকা- সবাই অতি সুন্দরী, যৌবনদৃপ্ত, লাবণ্যে গরীয়সী আর আবরণে-আভরণে সুসজ্জিতা। কথিত রয়েছে, সুপ্রাচীন সনাতনী এসব প্রতিমার কেউই পৃথিবীর নয়, তবু পার্থিক লাবণ্য ছড়িয়ে আছে এদের সর্বাঙ্গে । শুধু কি তাই! এই উপমহাদেশের প্রাচীন ও মধ্যযুগের নারীসমাজের প্রতিনিধিও বলা যায় এমন অসংখ্য নারীমূর্তিকে। সে সময়ের নারীর সৌন্দর্য এবং তাদের সাজসজ্জার শিল্পসম্মত রূপের প্রকাশ এ ভাস্কর্যগুলো । যাদের সূক্ষ্ম পর্যালোচনার মাধ্যমে জানা যায় সে যুগের আধুনিকারা কেমন করে চুল বাঁধতেন, কী কাজল পরতেন, গয়নার ধরন কেমন ছিল অথবা কীভাবে অঙ্গে জড়াতেন সূক্ষ্ম, সুন্দর, কারুকাজ করা বস্ত্র। তবে এটা নিশ্চিত, এ মূর্তিগুলোর কোনোটিই দেবীমূর্তি নয়। কারণ, সে সময়কার ভাস্কর বা শিল্পীদের দেবীমূর্তি নির্মাণের সময় খুব বেশি স্বাধীনতা দেওয়া হতো না। নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী দেবীমূর্তির রূপকল্পনা করার অধিকার? সে-ও ছিল অসম্ভব। শাস্ত্রকে অনুসরণ করতে হতো অক্ষরে অক্ষরে । তাই তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের সর্বোৎকৃষ্ট উপায় ছিল দেবীমূর্তির আশপাশে গড়া অসংখ্য যক্ষী, অপ্সরা, প্রেক্ষণিকা, মদনিকা, দীপলক্ষ্মী, বৃক্ষকা, সুরসুন্দরী, অলসকন্যা, রতি আর নায়িকাদের মূর্তি । রূপলাবণ্যময়ী যে দেবাঙ্গনারা আজও দর্শকদের মুগ্ধ ও অভিভূত করে।
Bu hikaye Canvas dergisinin Canvas oct 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Canvas dergisinin Canvas oct 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
রুদ্রাক্ষরহস্য
অধ্যাত্মে আস্থা, নাকি ফ্যাশনেবল হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষ উদ্দেশ্য যেটাই হোক, পরিধানে নজর কাড়বেই। শাস্ত্রোক্ত বিধি অনুযায়ী শুদ্ধ এবং অভিমন্ত্রিত হয়ে এর ধারণের অজানা আখ্যান রত্না রহিমার লেখায়
সেপ্টেম্বর রানওয়ে হাইলাইটস
সেপ্টেম্বরকে বলা যায় ফ্যাশন ক্যালেন্ডারের জানুয়ারি। নতুন বছরের প্রথম মাস যেন। যাকে ঘিরে আয়োজিত হয় নামীদামি ফ্যাশন উইকগুলো। চূড়ান্ত হয় আসছে বছরের ট্রেন্ড! একই সঙ্গে শেখা এবং শেখানোর সময় এটি। বলা যেতে পারে ফ্যাশন বাজারের ব্যাক টু স্কুল মোমেন্ট। বিস্তারিত লিখেছেন সারাহ্ দীনা
শিল্পসূচক
নারীচরিত । নির্মাণের আনন্দ অনির্ণেয় । তাই তো বেদ-উপনিষদের এ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাচীন শাস্ত্র, পুরাণ, কাব্য থেকে শুরু করে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় নানাবিধ নারী চরিত্র তৈরির আকর্ষণ শাশ্বত । হোক তা আধিদৈবিক, পৌরাণিক কিংবা মানবীয় । যুগে যুগে শাস্ত্রকার, পুরাণকার, কবিরা তো বটেই, সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে ছিলেন ভাস্কর আর চিত্রকরেরাও । যার কিছু এখনো প্রত্যক্ষ করা যায় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে অবশিষ্ট কিংবা রক্ষা পেয়ে যাওয়া গগনস্পর্শী মন্দিরের স্থাপত্যে, বর্ণোজ্জ্বল বিস্তৃত চিত্রকর্মে আর নানা আকৃতির অসংখ্য মূর্তিতে । প্রাচীন সেসব নারী ভাস্কর্য আর চিত্রকলা দেখে মানসপটে হঠাৎ ভেসে ওঠে সেকেলবাসিনীর জীবনযাত্রার স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি । পুরাকালের সেসব শিল্পকলায় নারীদের বস্ত্র, অলংকার আর সেগুলো পরিধানের নানা কায়দা আজকের আধুনিকাদের বিস্মিত করে এতশত যুগ পরেও। এ যুগের মানুষের কাছে যেগুলো আজও উপস্থিত হয় বিশেষ সময়ের বিশেষ প্রবণতার প্রতীক হয়ে । সেই উৎস খোঁজের কিয়দংশ জাহেরা শিরীনের লেখায়
সায়েন্টিফিক্যালি ইওরস
দেখাবে ফ্যাশনদুরস্ত । দূর হবে দশার দুর্দশা। এক পোশাকের এত গুণ! শাস্ত্রে এ নিয়ে চর্চা বহু আগের। সম্প্রতি মিলেছে বিজ্ঞানসম্মত সমর্থন । আর কী চাই
পলিটিক্যালি পলিশড
লাইট, ক্যামেরা, রানওয়ে আর রেড কার্পেটে আটকে থাকার দিন শেষ। ফ্যাশন বিশ্ব ব্যস্ত এখন জনসভা, ভাষণ আর রাষ্ট্রীয় সফরে। সারাহ্ দীনার লেখায় বিস্তারিত
নিবিড়ের নিউইয়র্ক জয়
দেশের গণ্ডি পেরিয়েছেন বহু আগে। যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে হেঁটেছেন নিউইয়র্ক কতুর ফ্যাশন উইকের র্যাম্পে। অর্জনের সোনালি মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক
কাঁসাকথন
প্রায় পাঁচ হাজার বছর পুরোনো আয়ুর্বেদিক সাধনী । নানামুখী ত্বকসমস্যা নিরাময়কল্পে। অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ভিড়ে আবার শিকড়ে ফিরে দেখা
অভয়াঙ্গ গুণে
নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা পুরোটাই । হাতের কারিশমার সঙ্গে প্রকৃষ্ট তেলের যুগলবন্দীতে প্রশান্তি প্রাপ্তির প্রয়াস । যেন স্বকীয় সত্তার যত্নের উপাখ্যান
কুণ্ডলকৃপায়
সৌন্দর্যের আধার । শক্তির উৎসও বটে। রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত বিশ্বের বহু সংস্কৃতি ও কৃষ্টিতে । যোগী, সাধু আর যোগব্যায়ামকারীদের আস্থায়। সাত্ত্বিক এ তত্ত্বের বিশ্বাস, এতে বাড়ে জীবনীশক্তি, অন্তর্দৃষ্টি আর মনের প্রশান্তি
ফেস ম্যাপিং ফ্যাক্ট
শাস্ত্র মেনে মনোযোগী চোখ মুখশ্রীর বিভিন্ন অংশে । তারপর? অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা