যেদিন থেকে ফুটবল উৎসব শুরু হয়েছে প্রায় রোজই কোনও না কোনও ঘটনা ঘটেই চলেছে। সবটাই যে অশান্তির তা নয় বরং আনন্দেরই বলা যায়। কিন্তু সেই আনন্দে কেউ বাদ সাধলেই বিপত্তি! এই যেমন প্রতিবেশী দেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক পাত্র ব্রাজিল সমর্থক পাত্রীকে সপক্ষে টানতে না পেরে বিয়েটাই বাতিল করে দিয়েছে। খবরটা যখন তর্কসিদ্ধান্ত লেনে এল সাতসকালে পল্টুর দিদা গলা ফাটিয়ে গালাগাল দিয়ে পাড়া মাত করে দিচ্ছে। বারে বারে বলছে, ‘এত বড় আস্পদ্দা বলে কি না পল্টু গাল দিয়েছে। পল্টু আমার সাতেপাঁচে থাকে না— সে দিয়েছে গাল! নিজের নাতি বলে বলছি না, অমন মাটির মানুষ পাবি না!’
একজন পরোপকারী বয়স্ক মানুষ উপযাচক হয়ে বললেন, ‘কমলাদি পল্টু কাকে গাল দিয়েছে?'
‘সে কি আমি শুনিচি – ওই অভয় আগরওলার ব্যাটাটা কাল এখেনে দাঁইড়ে দাঁইড়ে বলছিল— পল্টু গাল দিয়েছে! গাল নাকি আবার গুনে গুনে দিয়েছে গা!’ বয়স্ক মানুষটি বললেন, ‘এ তো ভারী অন্যায়, তবে আগরওলা নয় ওরা আগরওয়াল— আচ্ছা দাঁড়ান ডাকছি।' এই বলে তিনি মোবাইলে ডাকলেন, ‘অভয়বাবু বলছেন, আমি অমিত আঙ্কল। আপনার ছেলেকে একবার এখানে পাঠিয়ে দিন তো।' বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুজনের মধ্যে দড়ি টানাটানি হল। একপক্ষের কথা শুনে মনে হল কেস যদি সত্যি হয় তাহলে
আগরওলার-পো কান ধরে ওঠবোস করবে। একটু পরেই অভয়বাবুর ছেলে মনোজ গুটিগুটি পায়ে হাজির হল। রোগা, ফর্সা, গোঁফের রেখা সবে গাঢ় হতে শুরু করেছে। চেহারাটা এমনই দেখে মনে হচ্ছে ট্রেসিং পেপারে আঁকা ফিনফিনে ছবি। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে লোক জমে গেছে। মনোজ খুব ভালো বাংলা জানে। ভয়ে ভয়ে বলল, ‘আঙ্কলজি, কী হয়েছে? বাবা খুব ঝেড়ে দিল। বলল মাফি মেঙে আয়!’ বয়স্ক মানুষটি বললেন, ‘অ্যাই শোন, পল্টু তোকে কী গালাগাল দিয়েছে! সে তোর থেকে বয়েসে কত বড়, তোকে গালাগাল দেবে কেন!'
কমলাবুড়ি এতদিন পর একটা বিচারসভা পেয়ে আহ্লাদে আটখানা হয়ে বলছে, ‘একদম মিথ্যে বলবিনি! মারব কানের গোড়ায়—পরশু সকালে এখেনে দাঁইড়ে দাঁইড়ে তুই তোর দুটো মেড়ো বন্ধুর সঙ্গে সমানে বলছিলি আগের রাতে পল্টু নাকি গাল দিয়েছে। ওরে ও একটু আধটু নেশা করে বলে একটুও বেচাল করে না। ও গাল দেবে! শোন, আমার পল্টু ইনসুরেনে কাজ করে রে!’
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 31 December 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 31 December 2022 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।