অ *জস্র চেরিফুল ঝরে পড়ছিল তিতিরের মাথার উপর, মেঘফুলের মতো জমছিল ওর চারপাশে। আঙুলে ধরে থাকা নীলাভ কাগজটা তিরতির করে কাঁপছিল হাওয়ায়। বুকের ভিতর গলতে থাকা সমস্ত অনুতাপ তিতিরের দু’গাল বেয়ে টুপটুপ করে ঝরতে ঝরতে মিশে যাচ্ছিল বাতাসের সঙ্গে।
বহুদিন পর সোনাঝুরি গ্রামে ফিরে এসেছে তিতির। অনেক স্মৃতি ভিড় করেছিল এতদিন। স্বপ্নের পরতে পরতে মিশে থাকা এই গ্রামের পাখপাখালির ডাক, পুকুরের জলে বাতাসের হেঁটে যাওয়া, বর্ষাকালে সারারাত টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ একসময় তিতিরের ডায়েরির পাতায় কবিতা হয়ে উঠেছে। একটা অদ্ভুত মাদকতা ছিল এই সোনাঝুরির পরিবেশে। কতদিনই বা ছিল এখানে ওরা, মাত্র দু’বছর। কিন্তু এই দুটো বছর তিতিরের জীবনের সবচেয়ে স্বপ্নিল সময়।
আজ সেই হারিয়ে যাওয়া সময়কেই খুঁজতে এসেছিল তিতির, ফিরে পেতে চেয়েছিল তার কৈশোরের সঙ্গীদের। বিশেষ করে নির্বাণকে। নির্বাণ তার মনের সমস্তটুকু দখল করেছিল সেইসময়। খুব সাধারণ চেহারার একটা রোগা ক্যাংলা ছেলে, কিন্তু ওর চোখদুটোতে যেন বিশ্বসংসারের মায়া। কী অদ্ভুত ভাবে ওর দিকে তাকাত নির্বাণ! যেন তিতির জগতের সবচাইতে দুঃখী এক কিশোরী, আর তার দুঃখ মেটানোর যাবতীয় দায় নির্বাণের রোগা কাঁধে এসে পড়েছে। এমনভাবে আগলে রাখত ছেলেটা, ওই দু’বছর তিতিরের জীবনে এখনও পর্যন্ত শ্রেষ্ঠতম সুখের সময়।
সোনাঝুরি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে তাদের ক্লাসের একেবারে শেষের বেঞ্চিতে পিছনের দেওয়ালটার মতোই শান্ত এবং অবিচল হয়ে বসে থাকত নির্বাণ। এতই না থাকার মতো থাকত ছেলেটা, যে স্যার ম্যাডামরাও ওকে ঠিক মনে করে উঠতে পারতেন না। আর তিতির! সে ছিল ক্লাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। শহর থেকে হঠাৎ করে আসা এক স্বর্গীয় ফুল, যার চারদিকে ভ্রমরের মতো ভিড় করে থাকত বাকি ছেলেমেয়েরা। তিতিরের ঝকঝকে নতুন ইউনিফর্ম, সাদা ধবধবে জুতো মোজা, কপালের উপর ঘূর্ণি হয়ে থাকা থোপাথোপা চুল, সবটুকুই বিস্ময়ের, সবটুকুই দেখতে থাকার।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 28 January 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 28 January 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
দেবীমহিমা
হিমালয় বাহন রূপে সিংহকে দান করলে দেবীরূপ সম্পূর্ণ হল। দেবীর বারংবার অট্টহাস্যে চারদিক প্রকম্পিত হতে লাগল।
প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত
‘র’: প্রতিক্ষণে অশনি সঙ্কেত ৷ মৃণালকান্তি দাস ৷৷ নৈত প্ৰকাশন ৷৷ ৫৫০ টাকা। • নিজস্ব প্রতিনিধি
স্বপ্নের দেশ সিমলা মানালি
এখানকার আবহাওয়া প্রচণ্ড খামখেয়ালি স্বভাবের। কোনও নোটিস ছাড়াই আবহাওয়া খারাপ হতে পারে।
মনখারাপের ছুটি
শুধু চাল-ডাল-তেল-নুন আর শেয়ার বাজারের হিসেব দিয়ে পৃথিবী চলে না। তার আরও বেশি কিছু লাগে।
শ্রীলঙ্কায় পালাবদল
সময়ই বলে দেবে অনুরা কুমারা দিশানায়েক আসলে কতটা বিপ্লবী।
দাবা ওলিম্পিয়াডে ইতিহাস গুকেশদের
জয়ীদের বরণ করে নিতে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। তরুণ দাবাড়ুদের ফুলের মালা পরিয়ে আবেগে ভাসেন অনুরাগীরা।
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য আগেই ঘটেছিল প্রত্যাবর্তন। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে। বিশ্বজয়ের স্বাদও মিলেছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটই সর্বোত্তম পরীক্ষার আসর। সেখানে কামব্যাক ম্যাচে সেঞ্চুরি সত্যিই অবিশ্বাস্য।
বাংলা রাগপ্রধান গানের আসর
সঞ্চালনায় মহুয়া দাস ও সুখময় মণ্ডল। পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ডঃ রাজীব করচৌধুরী
পঞ্চকবির গান
যন্ত্রসঙ্গীতে ছিলেন প্রেমাংশু সেন (এসরাজ), পলাশ রায় (তালবাদ্য), রানা দত্ত (কিবোর্ড)। অনুষ্ঠানের সংকলন, বিন্যাস ও পরিকল্পনায় ডাঃ অংশু সেন।
নান্দীমুখের লন্ঠন সাহেব
নাটকটির নির্দেশনা, সম্পাদনা ও পরিকল্পনায় অসিত বসু। আলো বাদল দাস।