খাদ্যের সঙ্গে কি দীর্ঘায়ু হওয়ার কোনও যোগ আছে? •• প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা গড় আয়ু আছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আয়ুষ্কাল মোটামুটি ৭০ বছর। ২৫ বছর আগে যা ছিল ৬২! আবার একজন মার্কিনির আয়ু প্রায় ৮০ বছর! ভারত বা বিদেশ— এতখানি আয়ুবৃদ্ধির পিছনে চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নতির যথেষ্ট হাত রয়েছে। তাহলে আয়ুবৃদ্ধি মানে যদি শুধু বেঁচে থাকা হয় সেক্ষেত্রে একজন গত একযুগ ধরে শয্যাশায়ী শতায়ু রোগীও দীর্ঘায়ু হতে পারেন! আবার ডাম্বেল-বারবেল নিয়ে এক্সারসাইজ করেন এমন নবতিপরও দীর্ঘায়ু! তাহলে প্রশ্নটা হওয়া উচিত খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে কি সুস্থ সবলভাবে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব?
• তাহলে ডায়েট দিয়ে কী করা সম্ভব? অসুখ-বিসুখ দূরে রাখা যায়? নিশ্চিতভাবে দূরে রাখা যায়। ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, ইউরিক অ্যাসিড— এমন নানা মেটাবলিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস ও ক্রনিক অসুখের যোগ আছে। তাই প্রতিদিন নিয়ম মেনে যতটুকু দরকার ততটা খাবার খাওয়া প্রয়োজন। খেতে হবে সুষম খাবার। অর্থাৎ প্রতিদিনের ডায়েটে থাকতে হবে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি। তাহলেই আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ স্বাভাবিক থাকবে ও অসুখও হবে না। আরও কিছু অসুখের কথা আলাদা করে বলা দরকার। যেমন লিভারের সমস্যা। আমরা যদি নিয়মিত ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড খেতে থাকি তাহলে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের লিভার নষ্ট হতে থাকবে। কিংবা সঠিক সময়ে যদি আমরা খাবার না খাই তাহলে লিভার থেকে যে এনজাইম বেরয় তা খাদ্য হজম করতে না পেরে বরং লিভারের কোষগুলিকেই ধ্বংস করতে শুরু করে। সেখান থেকে লিভার সিরোসিস হওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যায় না। আবার কেউ কেউ শুধু কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান। তাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি খাওয়ার অভ্যেস তৈরি হয় যা আবার একসময় ডেকে আনে ডায়বেটিস, ফ্যাটি লিভারের আশঙ্কা। আবার কিছু ব্যক্তি কার্বোহাইড্রেট খুব কম খান। শুধু প্রোটিন খান। তাতে আবার কিডনির উপর খুবই চাপ পড়ে। কিডনির কার্যকারিতা কমতে থাকে। সুতরাং ব্যালেন্স ডায়েট চালিয়ে যেতে পারলে সেক্ষেত্রে যেসব অসুখ আমরা নিজেদের কুঅভ্যেসের কারণে ডেকে আনি, সেসব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারব।
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 03 August 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 03 August 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।