পিডব্লুডি-র ঝাঁকড়া কৃষ্ণচূড়া গাছটায় বকেদের জমায়েত বসেছে। প্রতিদিন এই সময়টায় নন্দিতা দোতলার ব্যালকনিতে বসে গাছটাতে বকেদের উড়ে উড়ে ফিরে আসা দেখে আর তাদের ডাক শোনে। গাছটায় যেন মুখরিত এক মেলা বসে যায়। আরেকটা দিন অবসানের অপেক্ষা করে নন্দিতা। অনিন্দ্য-নন্দিতার জীবনে এখন দিন গোনাই সার। জীবনটাও এইভাবে একদিন শেষ হয়ে যাবে। নন্দিতা ভাবে।
এই সময়েই বাড়ি ফেরে অনিন্দ্য। ব্যালকনিতে বসে তার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে নন্দিতা। আজ অনিন্দ্যর দেরি হচ্ছে ফিরতে। অবশ্য বাস-ট্রেনের যা অবস্থা দেরি একটু হতেই পারে। দেরি হলে অনিন্দ্য ফোন করে জানিয়ে দেয়। আজ অনিন্দ্য তার মোবাইল ফোন নিয়ে যেতেই ভুলে গিয়েছে। ইদানীং বড়ই অন্যমনস্ক হয়ে যাচ্ছে মানুষটা। সন্ধে সাড়ে সাতটাতেও অনিন্দ্য যখন এল না নন্দিতার ছটফটানি শুরু হল। সারাদিন সে একা এই ফাঁকা বাড়িটায় পড়ে থাকে। সন্ধে পেরিয়ে রাত নামছে তবু অনিন্দ্য ফিরল না। অনিন্দ্য তো এরকম কখনও করে না। দু'বছর আগেও তাদের জীবনে এইসব সন্ধেগুলো কত আলোকিত ছিল, কত দামি ছিল! বুকটা তার টনটন করে ওঠে। সাড়ে আটটা বাজতেই নন্দিতা মনে মনে শঙ্কিত হয়ে উঠল। এক অজানা আশঙ্কায় সে অস্থির হয়ে পড়ে। অনিন্দ্যর কোনও বিপদ হল না তো? অনিন্দ্যর সিনিয়র কলিগ মল্লিকদাকে ফোন করল সে। 'হ্যালো, আমি নন্দিতা বলছি, মল্লিকদা।' 'হ্যাঁ, বল।'
‘অনিন্দ্য এখনও ফেরেনি? আপনি কিছু জানেন? ' ‘আমি তো আজ ব্যাঙ্ক যাইনি। ক্যাজুয়াল লিভ নিয়েছি।' নন্দিতা ঘাবড়ে গেল। মল্লিকদা শুধু অনিন্দ্যর সহকর্মী নয়, সহযাত্রী। একই ট্রেনে রোজ চন্দ্রকোণা যায়, সেখান থেকে বাস ধরে গোয়ালতোড়ে নামে। বিহ্বল নন্দিতা বলল, 'ও তাহলে এখনও ফিরল না কেন?' ‘তোমাকে ফোনে কিছু জানায়নি?”
'না। ও তো মোবাইল নিয়ে যেতেই ভুলে গেছে।' 'হ্যাঁ, অনিন্দ্য আজকাল প্রায়ই অন্যমনস্ক থাকে। ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। আচ্ছা, আমি ব্যাঙ্কের স্টাফদের ফোন করে খোঁজ নিচ্ছি। ওরা নিশ্চয়ই কিছু বলতে পারবে।'
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 21 September 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Saptahik Bartaman dergisinin 21 September 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
পশ্চিমবঙ্গ ও নতুন বছর
পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, এবং আবহাওয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন গ্রহের গোচরের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ আসতে পারে, তবে কিছু ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভারত ও নতুন বছর
২০২৪-কে বিদায় দিয়ে ২০২৫-কে স্বাগত জানাই এক নতুন আশার আলো নিয়ে। জ্যোতিষশাস্ত্রের আলোকে আসন্ন বছর নিয়ে আলোচনায় থাকুন!
পাহাড়-হ্রদ সঙ্গে রবি ঠাকুরের স্মৃতি
\"উত্তরবঙ্গের পাহাড়, নদী আর জঙ্গলের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যের মাঝে সিটং আর মংপু যেন প্রকৃতির অবারিত ক্যানভাস। কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা, কমলালেবুর বাগান আর রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য স্থান এখানে এক অনন্য অভিজ্ঞতার দান।
‘বগলার বঙ্গদর্শন’ অন্য ঋত্বিকের ভিন্ন গপ্পো
বগলার বঙ্গদর্শন’ ঋত্বিক ঘটকের অপূর্ণ এক নির্মাণ। ইতালীয় গল্পের বাংলা রূপে সমাজ ও মানুষের হাস্যরসাত্মক কাহিনি, যা একসময় পূর্ণতা পেতে পারত।\"
অভিনয় মঞ্চে কাপুরদের সঙ্গে মোদি
মার্লন ব্র্যান্ডো বলেছিলেন, \"মানুষ প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তেই অভিনয় করে।\" এটি সত্যি, কেননা রিসেপশনিস্ট থেকে এয়ারহোস্টেস, রাজনীতিবিদ থেকে দোকানদার—সবাই নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী মোদির রাজ কাপুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং চলচ্চিত্রের মধ্যে গেরুয়াকরণের প্রভাব একটি অভিনয়ের মত মনে হয়েছে। সবকিছুই যেন এক নাটক—অভিনয়ের পর্দায় জীবন চলছে!
জাকিরজির পা ছুঁতে পেরেছি, আমি ধন্য
পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীর আশি বছরের জন্মদিনে উস্তাদ জাকির হোসেনের তবলা লহরা শোনার অভিজ্ঞতা অবর্ণনীয়। সঙ্গীতে বাঁচার মন্ত্রে গভীরভাবে ডুবে গিয়ে আমি শিখলাম, বাজনা শুধু বাজানোর জন্য নয়, তা আত্মার মধ্যে ঢুকিয়ে নিতে হয়। তাঁর বাদনশৈলী প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে বিরাজ করবে, আমি নিজেও তার প্রভাবিত।
আফশোস করা ছেড়ে দিয়েছি
২০২৪ সালটা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্য বেশ সফল ছিল। তিনি একাধিক ছবি এবং নতুন চরিত্রে অভিনয় করেছেন, বিশেষত 'দেবী চৌধুরানি' তাঁর কেরিয়ারের একটি মাইলফলক হতে চলেছে। এছাড়াও, শ্রাবন্তী আসন্ন ছবিগুলোর মাধ্যমে দর্শকদের নতুন রূপে দেখতে পাবে, যেমন 'ও মন ভ্রমণ' এবং 'বাবু সোনা'।
সাফল্যকে সরিয়ে রেখে এগিয়ে যাওয়ায় বিশ্বাসী
সম্প্রতি জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে মনোজ বাজপেয়ি অভিনীত 'ডেসপ্যাচ', যেখানে তিনি ক্রাইম রিপোর্টার জয় বাগ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির চিত্রনাট্য ও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করা তার জন্য এক কঠিন অভিজ্ঞতা হলেও, গল্পের প্রয়োজনে তিনি তা করতে প্রস্তুত ছিলেন
যৌথ পরিবারের নস্টালজিয়া
৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’ মানসী সিনহার নতুন ছবি, যেখানে উঠে এসেছে যৌথ পরিবারের ভাঙনের গল্প। এই ছবিতে পরিবার, প্রেম, এবং সম্পর্কের জটিলতা তুলে ধরা হয়েছে। অভিনয়ে আছেন অপরাজিত আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, অন্বেষা হাজরা এবং আরও অনেকে।
শ্রদ্ধা
শাস্ত্রে শ্রাদ্ধকার্যের মহিমা বারবার বর্ণিত হয়েছে। ব্রহ্মপুরাণে এক কাহিনিতে বলা হয়েছে, বিষ্ণু বরাহদেব কোকাজলে পিতৃগণের শ্রাদ্ধ করেছিলেন। একদিন কান্তিমতী নামে চন্দ্রদেবীর কন্যা পিতৃগণের সম্মুখে উপস্থিত হন, যা সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ এবং শ্রাদ্ধের সূচনা করে।