সুগার কমাতে ফাইবার ডায়েট

বেশ কিছু ফাইবারযুক্ত খাদ্য প্রতিদিন পাতে রাখলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ পরামর্শে ওডিএম ক্লিনিকের মেডিসিন এবং ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশিস মিত্র।

ফাইবার কী: ফাইবার আলাদা কিছুই নয়। বরং ফাইবারও একধরনের কার্বোহাইড্রেট যা পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ নানা উপাদান যেমন ফল, শাকসব্জি এবং ডালজাতীয় শস্যে। আমাদের শরীরে ভাত, রুটি, আলুর মতো শর্করা প্রধান খাদ্য প্রবেশের পর তা পুরোপুরি ভেঙে যায় ও গ্লুকোজের আণবিক কণায় পরিণত হয়। এরপর অন্ত্রের মাধ্যমে শোষিত হয়ে তা রক্তে মেশে। তবে ফাইবার পরিপাকের ক্ষেত্রে এমনটি করতে পারে না শরীর। অপাচিত অবস্থাতেই ফাইবার আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আর এই সমগ্র প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়েই ফাইবার আমাদের শরীরে সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রাশ টানে ক্ষুধাবোধেও।

এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, দুই ধরনের ফাইবার থাকে। জলে দ্রবণীয় ফাইবার এবং জলে অদ্রবণীয় ফাইবার। জলে দ্রবণীয় ফাইবার: এই ধরনের ফাইবার জলে গুলে যায়। রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। একইসঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয় কোলেস্টেরল। জলে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বিনস, ওটমিল, কিছু ফল ও ডালে।

জলে অদ্রবণীয় ফাইবার: এই ধরনের ফাইবার জলে মিশে যায় না। এই ধরনের ফাইবার সমগ্র পৌষ্টিকতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে খাদ্যকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই ধরনের ফাইবার আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও বাড়ায়।

জলে অদ্রবণীয় ফাইবারের উদাহরণ: টম্যাটো, ব্রাউন রাইস, শিম, গাজর, শসা, আটার পাঁউরুটি ইত্যাদি। অর্থাৎ শরীরের অন্দরে ফাইবার অনেকটা স্ক্রাবারের মতো কাজ করে। এমনকী পৌষ্টিকতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে ক্ষতিকর পদার্থকেও বেঁধে ফেলে ও বেরিয়ে যায়।

ডায়াবেটিসে ফাইবার খাওয়ার সুবিধা ডায়াবেটিস থাকলে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হওয়ার र আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি। কার্ডিওমেটাবলিক ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স কমাতে এবং স্থূলত্ব প্রতিরোধে এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে ফাইবারের বিরাট ভূমিকা আছে।