স্ত্রী কখনও পুরনো হয় না! গত বছরের ডিসেম্বরে পুরীর স্টেশন চত্বর থেকে বেরিয়ে একটা গাড়ি নিয়ে চললাম হোটেলের উদ্দেশে। একটু পরেই দূর থেকে সমুদ্র দেখতে পেয়ে ও তার গর্জনের শব্দে অনাবিল আনন্দে মন ভরে গেল। এ যেন অনেক দিন পর প্রিয় বন্ধুর কাছে বেড়াতে আসা !
হোটেলের বারান্দা থেকেই দেখা যাচ্ছে ঢেউ ভাঙাগড়ার দৃশ্য। প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়লাম বালির উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে সাদা ফেনায় পা ভেজানোর জন্য। সৈকতে বসার জন্য চেয়ার ভাড়া পাওয়া যায়। সকালবেলায় ছাতার তলায়ও চেয়ার নিয়ে বসা যায়। ডিসেম্বরের শুরুর দিক হলেও রোদের তেজ আছে। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই সমুদ্রস্নানে মেতে অসংখ্য মানুষ। তাঁদের উচ্ছ্বাসে মুখর
চারিদিক। মিষ্টিওয়ালা, ‘বুড়ির চুল’ বিক্রেতা, ঝালমুড়িওয়ালা, চা-ওয়ালা, মুক্তো বিক্রেতাদের হাঁকডাকে পুরীর সৈকত জমজমাট। পিপলির রংচঙে অ্যাপ্লিক শিল্পকর্মে সাজানো উট আর ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ঘুরছে বাচ্চা থেকে বুড়ো। শঙ্খবিক্রেতারা ঘুরে ঘুরে শাঁখ বাজিয়ে ফিরছেন। এত হইচইয়ের মধ্যে জনাদুয়েক সন্ন্যাসী দিব্য বালির উপর শুয়ে ঘুমোচ্ছেন। একেই বোধহয় বলে যোগনিদ্রা! এই বিচিত্র দৃশ্যপট দেখার জন্যই তো পুরী আসা! আমরা ঠিক করেছিলাম, পরদিন জগন্নাথ দর্শন সেরে সমুদ্রস্নানে যাব। তবে এবার শুধু জগন্নাথদেব দর্শনই নয়, পুরীর কাছে রঘুরাজপুর ও পিপলি নামের শিল্পগ্রামদু'টি ঘুরে দেখার ইচ্ছে। মধ্যাহ্নভোজ সেরে তাই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। প্রথম গন্তব্য রঘুরাজপুর।
ওড়িশার পটশিল্পীদের গ্রাম রঘুরাজপুর, পুরী থেকে ১২ কিলোমিটার। প্রায় ১২০ ঘর শিল্পী বাস করেন এই গ্রামে। এছাড়া বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যগুরু কেলুচরণ মহাপাত্র এবং গতিপুয়া নৃত্যগুরু মাগুনিচরণ দাসের জন্মভিটে এই গ্রামে। অর্থাৎ, চিত্রকলার পাশাপাশি দু'টি প্রসিদ্ধ নাচেরও পীঠস্থান রঘুরাজপুর। ২০০০ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ সংস্থা রঘুরাজপুরকে ‘হেরিটেজ ভিলেজ’ স্বীকৃতি দিয়েছে।
থ ধু র য়ে গাছপালায় ঘেরা গ্রামে ঢোকার মুখে গাড়ি থামল। একটা ছোট মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে রামচন্দ্র, সীতা, লক্ষ্মণ, গণেশ, হনুমান, শিব একই ফ্রেমে পটচিত্র আঙ্গিকে আঁকা। মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। এক দল পর্যটক দেখে গ্রামের জনাকয়েক এগিয়ে এলেন। প্রত্যেকেই তাঁদের
Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin June 2023 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।