সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে লাল আর সবুজ ফল ধরলে কী অপরূপ হয়ে উঠবে এই সব বাগান ! মাঝেমাঝেই রাস্তার ধারে ঝাঁকড়া চিনার গাছ। দূরে পপলার গাছের সারি ছাড়িয়ে পাহাড়ের মাথায় তাজা বরফ। খানিক পরে ওয়াসিম এক জায়গায় গাড়ি দাঁড় করাল। এবার হাঁটতে হবে একটু। পথের দু'ধারে হালকা বরফ পড়ে আছে। পাহাড়ের ঢালে চিনারের বন, ঝরা পাতা পড়ে সোনালি হয়ে আছে তলা। সেখানেই এক গাছের কোটরে টনি আউলের দেখা পেলাম। আরও কিছুক্ষণ আশেপাশে ঘুরে বেড়ানোর ফাঁকে দেখা দিয়ে গেল স্কেলি-বেলিড আর ব্রাউন-ফ্রন্টেড উডপেকার এবং এক ঝাঁক ইয়েলো-বিল্ড ব্লু ম্যাগপাই ।
বাদাম জেলার চাড়ুরা শহরের এক রেস্তোরাঁয় মধ্যাহ্নভোজ সেরে নিলাম কাশ্মীরী ব্যঞ্জনে। মাটন রোগানজুস, মিট বল আর কাশ্মীরী কেবাব খেয়ে রসনা পরিতৃপ্ত! হোটেলে ফেরার পথে পেয়ে গেলাম শীতের এক বিশেষ পরিযায়ী পাখিকে— ব্ল্যাক-থ্রোটেড অ্যাক্সেনটর। ছোটখাটো এই পাখিটি তিয়েনশান আর আলতাইয়ের পাহাড় থেকে শীতে নেমে আসে কাশ্মীর উপত্যকায়।
পরদিন সকালে আবহাওয়া মেঘলা। ওয়াসিম বলল, বাদামের উপর দিকে গতকাল রাতে বরফ পড়েছে, আজ সকালে তাই যাওয়া যাক ইউসমার্গের রাস্তায়। সেখানে বরফের মধ্যে কিছু নতুন পাখি পাওয়া যেতে পারে।
চাড়ুরা হয়েই আমরা এগোলাম ইউসমার্গের পথে। কিছুটা যাওয়ার পর দেখলাম রাস্তায় সেনার টহলদারি চলছে। প্রতিটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সামনে আর্মি ক্যাম্প। আমরা আরও কিছুটা উপরে উঠে এলাম। চারপাশে শুধুই বরফ, রাস্তার দু'ধারে পাইন-দেওদার গাছগুলোতে টাটকা বরফের আস্তরণ। রুফাস-নেপড টিট, কাশ্মীর নাটহ্যাচ, হোয়াইট-চিকড নাটহ্যাচের দেখা পেলেও, পাখির আনাগোনা প্রায় নেই। আবহাওয়া বেশ খারাপ, হয়তো সেজন্যই। তার মধ্যেই নতুন করে বরফ পড়া শুরু হয়ে গেল। যদিও পাহাড়ে বরফ পড়া দেখার উত্তেজনা পাখি দেখার থেকে কিছু কম না! নির্জন পাহাড়ি পথে, পাইনের বনে অত্যন্ত উপভোগ্য সময় কাটল। বিকেলে ওয়াসিম নিয়ে গেল শ্রীনগরের উপকণ্ঠে এক আমন্ড বাগানে। বৃষ্টি হয়ে গেছে, কাদামাটির মধ্য দিয়ে খানিক হাঁটাচলা করে সেই বাগানে এক ঝাঁক ব্র্যাম্বলিংয়ের দেখা মিলল। সেই ঝাঁকে মিশে ছিল পাইন বান্টিংও। তবে
Bu hikaye Bhraman dergisinin March 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin March 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।