কুতুব মিনার, ইন্ডিয়া গেট, যন্তর-মন্তর, লোটাস টেম্পল, লাল কেল্লার মতো পরিচিত ভ্রমণ-গন্তব্যের বাইরেও দিল্লির অলি গলিতে ছড়িয়ে আছে বহু ঐতিহাসিক স্থাপত্য, যার খোঁজ অধিকাংশ পর্যটক রাখেন না।
এবারের শারদীয় ছুটিতে উত্তর ভারত ভ্রমণের ফাঁকে দিল্লিতে দু'-একটা দিন থাকতে পারলে আবিষ্কার করে নিন চেনা দিল্লির পাশেই থাকা এক অচেনা দিল্লিকে। ইতিহাসের প্রতি যাঁদের প্রগাঢ় প্রেম, অচেনা দিল্লি তাঁদের মুগ্ধ করবে।
অগ্রসেন কি বাওলি 'বাওলি' শব্দের অর্থ ধাপকুয়ো। মহারাজা অগ্রসেন প্রজাদের জলের কষ্ট দূর করতে ১০৮টি ধাপ বিশিষ্ট এই কুয়োটি তৈরি করান। তবে এই তথ্যের কোনও ঐতিহাসিক প্ৰমাণ নেই। মহারাজ অগ্রসেন ছিলেন রামের পুত্র কুশের বংশধর এবং উত্তর ভারতের বণিক-নগরী অগ্রোহা শহরের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন শান্তিকামী, যজ্ঞের সময় পশুবলির ঘোর বিরোধী। তাঁর চিন্তাভাবনাকে মর্যাদা দিয়ে ভারত সরকার ১৯৭৬ সালে একটি ডাকটিকিট প্রচলন করে। তবে, কোনও কোনও ঐতিহাসিকের মতে, এই ধাপকুয়োটি লোদি ও তুঘলক যুগের নির্মাণ। আবার কারও মত, অগ্রসেন কি বাওলির পুরনো সোপানটির উপর অগ্রওয়াল সম্প্রদায় নতুন সোপান নির্মাণ করে। লাল বেলেপাথরে তৈরি এই বাওলিতে ঋতু অনুযায়ী জলের স্তর ওঠানামা করত। ফলে প্রয়োজন মতো ধাপে ধাপে নেমে জল তুলে আনা যেত।
সফদরজং টুম্ব অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ-দৌলা হুমায়ুন টুম্বের আদলে, তাঁর পিতা মির্জা মুকিম আবুল মনসুর খানের সমাধিতে গড়ে তোলেন এই সৌধ। সৌধটি কনট প্লেস থেকে ৫ মিনিট দক্ষিণ-পশ্চিমে অরবিন্দ মার্গে।
Bu hikaye Bhraman dergisinin July 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin July 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
বসন্তে মানাং
নেপালের বেসিশহর থেকে মার্সিয়াংদি নদীর তীর ধরে মানাং ৯৮ কিলোমিটার। এখন ফোর হুইল গাড়িতে পৌঁছনো যায়। যাত্রাপথের আকাশ জুড়ে নামি নামি তুষারশৃঙ্গ আর মার্সিয়াংদির বয়ে চলা নিবিড়ভাবে দেখতে চাইলে মাঝপথে খানিক আনন্দময় পদযাত্রাও করতে পারেন। বসন্তে মানা গেলে ফোটা ফুলের শোভা বাড়তি পাওনা।
কর্ণাবতীর পাড়ে
কর্ণাবতী বা কেন নদী বয়ে গেছে পান্না অরণ্যের মধ্য দিয়ে। ঘন সবুজ বন, নীল নদী, পাথুরে নদীতট, গভীর গিরিখাত, ঝরনা আর অরণ্যের রাজা-প্রজাদের নিয়ে পান্নার জঙ্গলের কোর অঞ্চল খোলা থাকে অক্টোবর থেকে জুন। বাফার অঞ্চলে যাওয়া চলে বছরভর। খাজুরাহো থেকে পান্না ৩০ কিলোমিটার।
পৌষ সংক্রান্তির শিলাই পরব
পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে শিলাই নদীর উৎপত্তি। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে নদীর উৎসস্থলে বসে টুসু বিসর্জনের মেলা। এবারের শিলাই পরব শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি।
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস