আরাকু ভ্যালির ঝটিকা সফর শেষ হতে বিকেল চারটে বেজে গেল। আমরা রওনা হলাম অন্ধ্রপ্রদেশের আর-এক শৈলাবাস লাম্বাসিঙ্গির উদ্দেশে। পথ অনেকটা, প্রায় ৯৫ কিলোমিটার। গাড়িচালক গণেশ অনেক ক্ষণ ধরেই তাগাদা দিচ্ছিল। তিন ঘণ্টা সময় লাগবে। শীতের বেলা। একটু পরেই সন্ধে নামবে। সে এ পথে এর আগে কখনও আসেনি।
আধঘণ্টা দূরত্বে চাপারাই ওয়াটারফলস। রাস্তা থেকেই দেখা গেল পাথরের গা বেয়ে নেমে আসা শীর্ণ জলধারা। সামনে টিকিট কাউন্টার। বনপথ ধরে কিছুটা যেতে হয় ফলসের কাছে পৌঁছতে চাইলে। শুটিং স্পট হিসেবে জায়গাটি খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া, স্থানীয়রা পিকনিক করতে আসেন। আমাদের হাতে সময় কম বলে, চাপারাই প্রপাতের কাছে যাওয়াটা এ যাত্রায় বাদ রাখা হল।
রাস্তার ধারে আদিবাসী হাট বসেছে। চিকেন কাবাব, মাছভাজা, মশলা মাখানো ভুট্টাসেদ্ধর পাশাপাশি আনাজপাতি, ডাল, মশলাপাতিও বিক্রি হচ্ছে। কেউ হিন্দি বোঝে না। স্থানীয় একটি ছেলে দোভাষীর ভূমিকা পালনের ফলে ভাষা-সমস্যার খানিক সমাধান হল।
লাম্বাসিঙ্গিতে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যটন দপ্তরের হরিতা রিসর্টে অগ্রিম বুকিং করাই ছিল। কিন্তু সারাদিন অনেক বার ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। ডিনারের অর্ডার দেওয়া নেই, বুঝতে পারছিলাম না রাতে খাবারদাবার কিছু পাওয়া যাবে কিনা। আশপাশে কোনও হোটেল আছে কিনা তাও জানা নেই।
সন্ধে সাতটায় আমরা পৌঁছলাম জমজমাট শহর পেদেরুতে। বড় বাজার এলাকা। রাতের খাবার পাওয়ার অনিশ্চয়তার কথা ভেবে পাঁউরুটি, মাখন, জ্যাম, দু'রকম ফল কেনা হল।
Bu hikaye Bhraman dergisinin September - October 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin September - October 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উমরুকুঠির অতিথি
শীতের মুখে শিকারি পাখি আমুর ফ্যালকন সাইবেরিয়া থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাড়ি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। দীর্ঘ উড়ালপথে তারা খানিক বিশ্রাম নেয় আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুরের নানা জায়গায়। আসাম-মেঘালয় সীমান্তের উমরুকুঠি গ্রাম গত পনেরো বছর ধরে তাদের বিশ্রামের এমনই এক আস্তানা। নভেম্বরের অভিজ্ঞতা।
পথের বাঁকে তিলওয়ারা
তিলওয়ারার মন্দাকিনী রিসর্টের চত্বরের গাছে গাছে ফুল, ফল আর তার টানে পাখিদের আনাগোনা। মন্দাকিনীর বয়ে চলার নিরন্তর কুলুকুলু ধ্বনিটিও মনে রয়ে যায়। রুদ্রপ্রয়াগ থেকে তিলওয়ারা যেতে আধঘণ্টা লাগে। উখিমঠ থেকে তিলওয়ারা ৩৭ কিলোমিটার।
কাঠমান্ডুতে পাঁচ দিন
কাঠমান্ডুর প্রাসাদ, মন্দির, স্তূপ, জলপ্রপাত, পাটনের অপরূপ প্রাচীন সব স্থাপত্য আর নাগরকোটের আকাশজোড়া হিমালয় তুষারশৃঙ্গ— পাঁচদিনের এক জমজমাট ভ্রমণকথা । বর্ষার দিনগুলি বাদে যাওয়া চলে সারাবছর।
নিস্তরঙ্গ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
পথের ধারে বিস্তীর্ণ শালবন, জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিরতিরে নদী চাট্টি আর ডুগাডুগি, স্থানীয় মানুষের সরল জীবনযাত্রা, অ্যাংলো সাহেবদের ছেড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, সব মিলিয়ে শীতের ম্যাকলাস্কিগঞ্জে এক নিস্তরঙ্গ অবসর যাপন করতে ভালো লাগে।
সন ট্রা পাহাড় ঘুরে পুরনো শহর হোই আন
বিপন্ন প্রজাতির বানর রেড-শ্যাংকড ডুকের বাসস্থান সন ট্রা পাহাড় ভিয়েতনামের দানাং শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাচীন বর্ণময় শহর হোই আন যেতে দানাং থেকে লাগে ৪০ মিনিট। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। তবে, এপ্রিলে গেলে সদ্যোজাত ডুকছানাদের দেখা মিলবে।
ওমানের মরুতে মরূদ্যানে
ডেজার্ট ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি, ডেজার্ট ট্রেকিং, স্যান্ড বাইকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
ওড়িশার জলে জঙ্গলে
নৌকো নিয়ে মংলাজোড়ির জংলাজলায় পাখি দেখে ভিতরকণিকার খোলা থেকে নৌবিহারে একের পর এক কুমিরদর্শন করে সিমলিপাল অরণ্যসফর। ওড়িশার জলে-জঙ্গলে বেড়ানোর সেরা সময় নভেম্বর থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত।
গাঢ় সবুজ ওয়েনাদ
দিগন্তবিস্তৃত সমভূমি, পাহাড়ের গায়ে একদিকে চা-বাগান, অন্যদিকে জঙ্গল, অরণ্যে ঘেরা হ্রদ— সব কিছু নিয়ে সজল সবুজ ওয়েনাদ। বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল।
কানাকাটা পাস
কুমায়ুন হিমালয়ের সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকার দক্ষিণে কানাকাটা পাস। পথের শুরুতেই পেরতে হয় পিণ্ডার আর সুন্দরডুঙ্গা নদী। হাঁটাপথের সাক্ষী থাকে ভানোটি, থারকোট, মৃগথুনি, মাইকতোলি শৃঙ্গেরা। পথে পড়ে পাহাড় ঘেরা দেবীকুণ্ড, নাগকুণ্ড সরোবর। পথের ধারে ফুটে থাকে ব্রহ্মকমল, ফেনকমল ফুল। সাতদিনের এই হিমালয় পদযাত্রা ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরের।
ইন্ডিয়ান স্পট-বিলড ডাক
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে 'বনের পাখি' (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।