
তামিলনাড়ু রাজ্যের বেশ কিছু দ্রষ্টব্যস্থলে বেড়ানোর সেরা সময় শীতকাল। | বিশেষ করে পুস্পৃহার, ট্র্যাংকুইবার, নাগোর, ভেলানকান্নি, তাঞ্জাভুর, থিরুমায়াম আর চেট্টিনাদ অঞ্চলে। এদিকটায় শীত একেবারেই পড়ে না। তবে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়া মনোরম থাকে। এই সফরে ইতিহাস, প্রকৃতি আর ধর্মস্থান— তিনেরই ছোঁয়া পাবেন। যাত্রা শুরু হবে পুদুচেরি থেকে। পুদুচেরিতে এক রাত কাটিয়ে পরদিন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। প্রথম গন্তব্য পুম্পুহার। দূরত্ব ১০৯ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরের তীরের প্রাচীন জনপদ পুম্পুহার, অতীতে কাবেরী পুমপত্তিনাম নামে পরিচিত ছিল। পুম্পুহারের অবস্থান নাগাপত্তিনাম জেলার শিরকালি তালুকে। চোল রাজত্বে এখানে গড়ে উঠেছিল বন্দরনগরী। তৈরি হয়েছিল নানা সৌধ, স্থাপত্য। তবে সেইসব আজ সাগরজলে তলিয়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে সুনামিও আছড়ে পড়েছিল এখানে। তার ক্ষতচিহ্নও চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে। তবে এখানকার প্রকৃতি অনবদ্য।
গাড়ি থামবে সাগরতীরে। ধনুকাকৃতির বিস্তৃত বেলাভূমি। সাগরতীরে রয়েছে লাইটহাউস, ধীবরদের গ্রাম। বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত লাইটহাউসের শীর্ষে ওঠা যায়। অদূরেই আর্ট গ্যালারি। খোলা থাকে প্রতিদিন সকাল ন'টা থেকে সন্ধে ছ'টা। পুম্পুহারের প্রাচীন ধ্বংসস্তূপ থেকে পাওয়া পাথরের শিল্পকর্মের নকল প্রতিরূপে সাজানো এই সংগ্রহশালা। বিচের উপর রয়েছে পুরনো জনপদের স্মৃতিস্তম্ভ।
পুস্পৃহার থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে আরও একটি প্রাচীন জনপদ ট্র্যাংকুইবার। এর আর-এক নাম থরঙ্গমবাড়ি। প্রায় চারশো বছর আগে এখানে গড়ে উঠেছিল ডেনমার্কের উপনিবেশ। এই জনপদটির অবস্থানও করমণ্ডল উপকূল সংলগ্ন নাগাপত্তিনাম জেলায়। সবুজে ছাওয়া গঞ্জে প্রবেশের মুখেই রয়েছে ড্যানিশ রাজপরিবারের প্রতীক খোদাই করা সপ্তদশ শতকের প্রবেশতোরণ। ইউরোপীয় স্থাপত্যের নানা নমুনা আজও ছড়িয়ে আছে এই জনপদে।
Bu hikaye Bhraman dergisinin December 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Bhraman dergisinin December 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

পাসিঘাট থেকে আলো হয়ে মেচুকা-দোর্জেলিং
অরুণাচলের সিয়াং নদীর তীরের পাসিঘাট থেকে ইয়োমগো চু-র তীরের আলো। আলোতে দুটি রাত কাটিয়ে ইয়ারগাপ চু-র তীরের মেচুকা। ৪০০ বছরের পুরনো গুম্ফা থেকে দেখা বিস্তীর্ণ মেচুকার রূপটি মনে রয়ে যাবে। চোখে পড়ে যেতে পারে ইয়ারগাপ চু-র তীরে ঘোড়ার পালের হঠাৎ ছুটে চলাও । যাওয়া চলে বর্ষা বাদে সারা বছর।

উপকূল পথে কোনারক থেকে প্ৰয়াগি লাইট হাউস
কোনারক থেকে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ধরে প্রয়াগি সৈকত। পথের বেশিটাই পদযাত্রা। তবে, যে নদীগুলি বঙ্গোসাগরে এসে পড়েছে, নৌকো করে সে সব নদীর মোহানা পেরিয়ে আবার সমুদ্রতীর ধরে চলা । এই ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের এই উপকূল যাত্রায় কোথাও পথশ্রম লাঘব করেছে অটোও। শীতকালই উপকূলযাত্রার উপযুক্ত সময়।

সবচেয়ে বড় প্রজাপতি
বিশ্বে প্রায় ১৭,৫০০ প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় কুইন আলেকজান্দ্রাস বার্ডউইং। এটি ১৯০৬ সালে আবিষ্কৃত হয় এবং মূলত পাপুয়া নিউ গিনির রেন ফরেস্টে পাওয়া যায়। স্ত্রী প্রজাপতিদের ডানার বিস্তার ২৮ সেমি-এর বেশি, আর পুরুষদের প্রায় ২৭ সেমি। তবে আবাসস্থল সংকোচনের কারণে এরা এখন বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

নীলনদের তীরে
পিরামিডের শহর গিজা থেকে শুরু হল ট্যুরিস্ট ট্রেনে সফর। নীলনদের তীর ধরে ট্রেন চলল। পরদিন সকালে পৌঁছল আসওয়ান। ফিলেই ফেরিঘাট থেকে মোটরবোট ছুটল আজিলকিয়া দ্বীপে। সেখানে প্রাচীন ফিলেই মন্দির দেখে ওবেলা নীলনদের ধারের বর্ণময় নুবিয়ান গ্রাম ঘার্ব সোহিল ভ্রমণ ।

লুকোনো হ্রদেদের গ্রাম মাওফানলুর
হ্রদেদের রাজ্য মাওফানলুরের কাছেপিঠেই ঢেউ খেলানো ঘাসের উপত্যকা মারখাম, কিনসি নদীর ওয়েনিয়া ঝরনা হয়ে ঝরে পড়া, কিনসির নদী-দ্বীপ নংখনম। শিলং থেকে মাওফানলুর যেতে ঘন্টাতিনেক সময় লাগে।

ঘুমপাড়ানি পাহাড়ি গাঁ মানেদাঁড়া
রুংডুং নদীর ধারে অচিন গাঁ মানেদাঁড়া। রুংডুং আর পাখপাখালির কলতান যেন মানেদাঁড়ার আবহসংগীত।

কাশ্মীর সীমান্তে করনা উপত্যকার টিটওয়াল
এপারে ভারত, ওপারে পাক অধিকৃত কাশ্মীর। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে কিষেণগঙ্গা নদী। করনা উপত্যকার টিটওয়াল গ্রাম ভ্রমণ এই জুনে।

লালগঞ্জের নিরালা সৈকতে
সপ্তাশেষের ছোট্ট ছুটিতে চিরচেনা বকখালি ফ্রেজারগঞ্জের সঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন অচেনা লালগঞ্জ সৈকত।

লুকনো এক দানব আগ্নেয়গিরি
পুহাহোনু, বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি, প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে লুকিয়ে রয়েছে। এটি মৌনা লোয়ার দ্বিগুণ আকারের হলেও বহু বছর ধরে নিষ্ক্রিয়। সাগরের ওপরে এর ছোট দুটি শিলা ‘গার্ডনার পিনাকলস’ মাত্র ১৭০ ফুট উঁচু, কিন্তু নিচে বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। একসময় এটি পৃথিবীর উষ্ণতম অগ্ন্যুৎপাত সৃষ্টি করেছিল, যার তাপমাত্রা ছিল ৩,০৯২°F!

বছর চল্লিশ আগে স্কুল থেকে একবার বন্ধুরা মিলে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর ও শুশুনিয়ায় শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেই সুখস্মৃতি আজও অমলিন। বহু বছর পর সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে স্কুলজীবনের পাঁচ বান্ধবী আবার একত্রিত হয়েছি। স্থির করেছি সংসার থেকে দিন তিনেকের ছুটি নিয়ে আমরা পাঁচজন আবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া বেড়াতে যাব। এই দুই জায়গায় কি রাজ্য পর্যটনের থাকার কোনও ব্যবস্থা আছে?
গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড-র যাত্রীদের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা এখন বাধ্যতামূলক। অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য দেখুন এই ওয়েবসাইট: https://registrationandtouristcare.uk.gov.in এই লেখাটি যখন প্রস্তুত হচ্ছে, তখন বদ্রীনাথে জি এম ভি এন-এর হোটেল দেবলোক এবং বদ্রীনাথ যাত্রী নিবাস এই দু'টি অতিথিনিবাসের বুকিং বন্ধ রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে বুকিং চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গাড়োয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের তরফ থেকে ‘ভ্রমণ’কে জানানো হয়েছে