ড্রাইভ গ্রিন

ইলেকট্রিক গাড়ি। ক্রেজ় বরাবরের। পরিবেশ রক্ষায় বিজ্ঞানের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়ার আরও একটা ধাপ। সবিস্তার আলোচনায় অটো কনসালট্যান্ট এন কে সিংহ। শুনলেন অনিকেত গুহ।

বিশ্ব জুড়ে সাসটেনেবল উন্নয়নের জোয়ারে দিন দিন বাড়ছে ইলেকট্রিক গাড়ির প্রসার ও পসার। বিভিন্ন দেশে ডিজ়েল-পেট্রল চালিত গাড়ির চেয়ে ইলেকট্রিক গাড়ির উৎপাদনে অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। ধীরে হলেও আমরাও সেই পথেই হাঁটছি।

চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। শুধুই বিজ্ঞানের অগ্রগতি নয়; এর পিছনে রয়েছে এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।

১. পরিবেশগত দিক: পরিবেশ রক্ষাই সম্ভবত এখন আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্য পূরণের দিকে তাকিয়েই বিশ্বব্যাপী ই-যানের ব্যবহার ক্রমে বাড়ছে। বায়ুদূষণের প্রায় ১৬ শতাংশ সরাসরি গাড়ির ধোঁয়ার থেকে সৃষ্টি হয়। ভারতের মতো বৃহৎ দেশের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও গুরুতর। ২০২১ সালের ওয়র্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম একশোটা সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে প্রায় তেষট্টিটাই ভারতের অন্তর্ভুক্ত। ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহারে শহুরে

দূষণের মাত্রা প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ কমানো সম্ভব। ২. অর্থনৈতিক দিক: জীবাশ্ম জ্বালানির ভাণ্ডার ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে। ভারতের জ্বালানির (খনিজ তেল যেমন পেট্রলিয়াম, ডিজ়েল, গ্যাসোলিন) প্রায় সবটুকুই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে কমবেশি প্রায় একশো বিলিয়ন ডলার খরচ হয়। ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জ্বালানির জন্য এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় অনেকটা কমানো সম্ভব। যা দেশের রাজকোষ বাঁচাতে সাহায্য করবে ও পাশাপাশি ফরেন এক্সচেঞ্জের পরিমাণও আয়ত্তে আনবে। MG ZS