বিউটি অ্যাজ় বিজনেস

বিউটি প্রডাক্ট বানিয়ে ব্যবসা করতে চান? কী কী মাথায় রাখতে হবে, বলে দিলেন এই পেশার বিশেষজ্ঞরা। জানলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

ত্বক-চুলের যত্ন কিংবা অন্য কোনও বিউটি প্রডাক্ট, বাজারচলতি জিনিস না কিনে যদি হাতে বানানো জিনিস ব্যবহার করা যায়, তা ত্বক-চুলের পক্ষেও ভাল এবং অনেক বেশি কাস্টমাইজ়ড হয়। ফলে ভাল বিউটি প্রডাক্ট যদি বানাতে পারেন, তা হতে পারে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে খালি।

ফর্মুলেশন বুঝতে হবে যে ধরনের প্রডাক্ট আপনি ক্রেতাদের জোগাবেন— যেমন স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার, পারফিউম, যেটাই হোক— সেই ক্ষেত্রটার প্রতি ভালবাসা এবং তার ব্যাপারে একটা সম্যক ধারণা তো লাগবেই। তা ছাড়া কি কোনও নির্দিষ্ট পড়াশোনা বা সার্টিফিকেশনেরও প্রয়োজন হবে? স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড ‘অলি’র কর্ণধার ঐশ্বর্য বিশ্বাস বললেন, “যে কোনও বিউটি প্রডাক্ট বাড়িতে বানানো খুব কঠিন কাজ। প্রিজ়ার্ভেটিভ, ইমালসিফায়ার ছাড়া ফর্মুলেশন করাই বলতে গেলে অসম্ভব। বাড়িতে আপনি ঘরোয়া কোনও উপকরণ সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বা চুলে ব্যবহার করে ফেললেন, সেটা এক রকম। কিন্তু যেটা কেউ বাড়িতে বানিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন, তাতে তো অনেক রকমের জিনিস থাকছে। সেগুলো মিলিয়ে-মিশিয়ে বানানোর একটা বিজ্ঞান রয়েছে। যিনি বানাচ্ছেন, তাঁর সেই বিজ্ঞানটা জানা দরকার। দ্বিতীয়ত, ফর্মুলা-গ্রেড উপকরণ আর কিচেন আইটেমের গ্রেড কিন্তু আলাদা। মানে যে হলুদ আপনি রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন, সেই হলুদ দিয়ে কিন্তু বিউটি প্রডাক্ট বানানো চলে না! উপকরণগুলোকে এক্সট্র্যাকশন, ডিস্টিলেশন ইত্যাদি একাধিক ধাপের মাধ্যমে প্রডাক্ট বানানোর উপযোগী করে তুলতে হয়। সেই ধাপগুলো মেনে চললে তবেই ভাল ফর্মুলেশন হবে। ফলে এ ব্যাপারে পড়াশোনা করেই কাজে নামতে হবে। আর যদি আরও প্রফেশনালি, ভালভাবে কাজ করতে চান, সবচেয়ে ভাল