চুলের ‘মরসুমি’ চর্চা

বসন্ত উপস্থিত। মানে গরম পড়তেও আর বেশি দেরি নেই। চুলের চাহিদাও কিন্তু মরসুমের মতোই ক্রমশ বদলাচ্ছে। তাই যত্নআত্তির ধরনে কিছু পরিবর্তন আবশ্যক। রইল পরামর্শ।

বাতাসের শীতল ভাবটা প্রায় কেটে গিয়েছে। আবার গ্রীষ্মের তীব্রতাও নেই। শরীরের পক্ষে এই আবহাওয়া আরামদায়ক বটে, তবে এ সুখও যে ক্ষণস্থায়ী! বিশেষ করে চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে। এতদিন যেমন রুক্ষতাকে কাবু করতে কাহিল হতে হয়েছে, তেমনই আসন্ন ক'মাস তেলতেলেভাব আর নির্জীবতাকে বাগে আনতে কালঘাম ছুটবে... যদি না এখন থেকেই তোড়জোর শুরু করেন। বেশি কিছু না, একটা ট্রানজ়িশন জরুরি। মানে এতদিন যে ধরনের যত্ন প্রয়োজন ছিল, আসন্ন গ্রীষ্ম অবধি তা ক্রমশই বদলাবে। চুলের যত্ন নিন এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। শাল-সোয়েটারের মতোই চুলের পুরনো রুটিনও আলমারিতে তুলে রাখুন আগামী ক’মাসের জন্য। তবে তার আগে জেনে নিন, গ্রীষ্মে চুলের চাহিদা ঠিক কতটা বদলায়। এতে মরসুম অনুযায়ী চুলের নতুন রুটিন সাজাতে সুবিধা হবে।

গ্রীষ্মের প্রভাব চড়া রোদ, অতিরিক্ত ইউ-ভি এক্সপোজ়ার, বাড়তি ঘাম... কোনওটাই যে চুলের পক্ষে ভাল নয়, তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু এতে চুলের কী কী ক্ষতি হয়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং ইউ-ভি রশ্মিতে চুল ‘পোরাস’ হয়ে পড়ে। অর্থাৎ, চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখা ক্ষমতা কমে আসে। ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে পড়ে এবং তার প্রাকৃতিক রংও ফ্যাকাশে হয়ে আসে। অতিরিক্ত ঘাম এবং তেল জমে থাকার কারণে পুষ্টি ব্যাহত হয়, সঙ্গী হয়ে দেখা দেয় স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা, দুর্গন্ধ। এর থেকে চুলকে সুরক্ষিত রাখতে কয়েকটা টিপস মেনে চলুন।