মেডিকেটেড ফেশিয়াল

বিয়ের দিন সুন্দর হয়ে ওঠার এক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ত্বকের সুস্থতা। সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে মেডিকেটেড ফেসিয়ালের সম্বন্ধে বিশদে জানালেন ডার্মাটোলজিস্ট ড. মেহেনাজ় জাহান। লিখলেন দেবলীনা অধিকারী।

হলুদ ও চন্দন বাটা সারা শরীরে মেখে দুধে স্নান করা– এই ছিল আগেকার দিনের বিয়ের আগে ত্বকের যত্ন। তার সঙ্গে থাকত কেশরের ব্যবহার। এই বিউটি রেজিমের জন্যই বিয়েতে আস্ত এক প্রথার জন্ম হয়েছে, ‘গায়ে হলুদ'। কিন্তু আজকের এই ব্যস্ততার যুগে ঘরোয়া যত্নের সময় কোথায়? চটজলদি ফলাফল পেতে তাই আমাদের ভরসা সেই ‘পার্লার দিদি’। তবে এই ফেশিয়ালের ফল অনেকসময় উল্টোও হতে পারে। বিশেষত সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখানেই আসে মেডিক্যাল ফেশিয়ালের উপকারিতা। বিশেষ দিনে নিজেকে সুন্দর দেখাতে রূপচর্চা শুরুর আগে জেনে নিন কী এই মেডিক্যাল ফেশিয়াল?

নরমাল ফেশিয়াল vs মেডিকেটেড ফেশিয়াল সাধারণ ফেশিয়াল ত্বকের উপরের স্তরে হয়। এতে যে ধরনের প্রডাক্ট ব্যবহৃত হয়, তাতে নানাধরনের ক্ষতিকারক কেমিক্যাল উপস্থিত থাকে। অন্যদিকে মেডিকেটেড ফেশিয়াল চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হওয়ায় তা অনেক বেশি সুরক্ষিত। সেখানে ত্বকের প্রয়োজন বুঝে মেডিকেটেড উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই ফেশিয়াল হল মূলত ত্বকের চিকিৎসা। বর্তমানে বাজারে নিয়াসিনামাইড, হায়ালুরনিক অ্যাসিড প্রভৃতি মেডিকেটেড উপাদান যুক্ত প্রডাক্ট পাওয়া যায়। কিন্তু কসমেটিক ব্র্যান্ড এই ধরনের উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি ব্যবহার করতে পারে না। মেডিকেটেড ফেশিয়ালে চিকিৎসকরা ত্বক পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনমতো এই উপাদান বাড়াতে বা কমাতে পারেন। অর্থাৎ আবার আগের কথাতেই ফিরে আসতে হয়, অ্যাকনে, হাইপার পিগমেন্টেশন প্রভৃতি সমস্যায় এই ফেশিয়াল আসলে চিকিৎসারই নামান্তর। উজ্জ্বল, মসৃণ, ব্রাইড রেডি ত্বক, এর একটা বাড়তি গুণ মাত্র।

কীভাবে হয়? প্রথম ধাপ ডার্মাটলজিস্টের কাছে যাওয়া। সেখানে গিয়েই কিন্তু চটজলদি এক অথবা দু’টো সিটিংয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। চিকিৎসক আপনার ত্বক পর্যবেক্ষণ করে জানার চেষ্টা করবেন সমস্যাটা ঠিক কোথায়? তারপর তিনি প্রয়োজনমতো স্কিনকেয়ার ও ওষুধ প্রেসক্রাইব করবেন। সঠিক ফল পেতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পোস্ট স্কিন কেয়ার রেজিম মেনে চলতে হবে।