অনিকেত ভাবনা

লিভ-ইন নয়? আশ্চর্য!” “না নয়,” হেসে জবাব দেয় নেহা, “মাথা খারাপ!

- দেবব্রত দাস

না মী কর্পোরেট অফিসের চাকরি থেকে যে শেষমেশ ছাঁটাই হবে, বুঝতে পারছিল নেহা কিছু দিন আগে থেকেই। সময় মতো অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারছিল না বহু চেষ্টা সত্ত্বেও। তাই অনেক দিন থেকেই চাপা ভয় বাসা বেঁধে ছিল তার মনের একান্তে। তার পর সে ভয় কয়েক গুণ বেড়ে গেল, যে দিন থেকে কাজপাগল অফিস-বস এক জরুরি মিটিং ডেকে বলেছিলেন, “এমপ্লয়িদের কাছ থেকে আরও দ্রুততায় কাজ করার দক্ষতা আশা করছে কোম্পানি। আপনারা নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল যে, আমরা ইতিমধ্যেই 'আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স'এর সাহায্য নিয়েছি। তাই, কোম্পানি ডিমান্ড করছে, আপনারা এ আই-এর মতো দ্রুত হওয়ার চেষ্টাই শুধু নয়, ইনোভেটিভ হওয়ারও সাধনা করুন। আগামী দিনে চলার পথের সঠিক রূপরেখা এটাই।”

আজ সেটাই ঘটল। অফিস থেকে ফিরে অল্প কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে ফ্রেশ হওয়ার পর প্রায় রোজই সাংসারিক কাজকর্মে বয়স্ক মা-কে সাধ্যমতো সাহায্য করে নেহা, আজও করেছে। সাড়ে দশটা নাগাদ ডিনার শেষ করে যখন পছন্দের গান শোনার জন্য সবে মোবাইলে লাগানো কর্ডটা কানে দিতে যাবে, তখনই এল কলিগ বিজুরির ফোন, “ভেবেছিলাম আজ রাতে না জানিয়ে কাল সকালে জানাব তোকে, তার পর ভাবলাম...” সঙ্কোচ কাটানোর চেষ্টায় বিজুরির ঢোক গেলার বিরতির মধ্যেই তাকে থামিয়ে দেয় নেহা, “বুঝে গিয়েছি আমি বিজু, এত কিন্তু কিন্তু করছিস কেন তুই! আমি জানতাম....”